রাজ তাকিয়ে আছে ইরার দিকে। ঠিক যেমনটা দৈনিক তাকিয়ে থাকে। সকালে ঘুম থেকে উঠে একবার ছাদ থেকে। দুপুরে জানালা দিয়ে। বিকেলে গায়ে হাওয়া লাগানোর ছুতো ধরে ছাদে উঠে। কখনো ইশারা দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা। কখনো বা উঁকিঝুঁকি মেরে পড়ার ঘরে তাকানো। শ্রাবণের বধির বর্ষণে পাগলের মত ভিজতে ভিজতে পলেস্তরা খসা বাড়িটির দিকে তাকিয়ে থাকা। যদি ইরা ভিজতে আসে? আসলে এবার সাহস করে নাম ধরেই ডাক দিবে রাজ। কী অদ্ভূত মেয়ে! একটিবারও তাকায়নি এদিকে। তাকালেই তো দেখত রাজ ওর তাকানোর অপেক্ষায় আছে।
রাজ তাকিয়ে আছে ইরার দিকে। ইরার চোখদুটো বন্ধ। মুখে মিষ্টি হাসি লেগে আছে। এতদিন ও দূর থেকে দেখতো। আজ কাছ থেকে দেখছে। খুব কাছ থেকে। হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায়। কিন্তু রাজ ছুঁতে পারছেনা। ওর কষ্ট হচ্ছে। ভীষণ কষ্ট! এতো কাছে ইরা, অথচ সে ছুঁতে পারছেনা!
রাজ নির্বাক তাকিয়ে আছে ইরার দিকে। ও একা নয়, আরো অনেকে তাকিয়ে আছে ইরার হাসিমুখ চেহারার দিকে। ইরা আজ সাদা হিজাব পড়েছে। ধবধবে সাদা হিজাব। ওর লাবণ্য বেড়ে গেছে বহুগুণে। সেগুন কাঠের নকশা করা একটি খাটে শুয়ে আছে ও। আর কিছুক্ষণ। খানিক বাদেই ইরাকে নিয়ে যাওয়া হবে তার আসল ঠিকানায়। যেখানটায় বাকিটা সময় কাটাবে ও। রাজ আর সেখানে ওকে দেখতে পাবে না!
--------------------------------০০--------------------------------
No comments:
Post a Comment