বৃষ্টি কি আসলেই প্রেমিকের গান?
জীবন যাপনে আমি যতবার প্রেমে পড়েছি
সেই ডালিম কুমারেরা প্রত্যেকে এসেছিলো
আষাঢ় মাসে সাজঘরের দুয়ারে, হলদে রঙ
ব্যাঙডাকা বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে,
চোখ বলতে তাদের যা ছিলো,
মেঘের কোলাজ!
মানকচু পাতার আড়াল দিয়ে তারা যখন
এই ঠোঁটে চুমু খেয়েছিলো তখন জলের
ঝাঁড়বাতির ঘুঙুরে বাজছিলো এক
অভিনব ঐন্দ্রজালিক পাখোয়াজ!
ত্বকের গভীরে জাগরে যে আজ অজগর;
নি:শ্বাসে তার গুন গুন সেই অতীত গানের গণিত,
এমন আকালের দিনে আমি তালুতে তৃষ্ণা রেখে
বৃষ্টির কাছে পাতি হাত, যারা এ গান বোঝে না
তারা কি প্রেমিক নাকি বাগীশ্বর ছিনাল!
শব্দ’রা যেভাবে বর্গী এবং আততায়ী হয়ে উঠছে
‘তদন্ত’ শব্দটা পড়লেই আমি ঘুমিয়ে পড়ি!
ম্যাজিক ওয়ান্ড টুলের মতো শব্দটি সব হত্যার
আশে পাশে ঘুম এঁকে দিয়ে বলে এবার ঘুমা
সব ঠিক হয়ে যাবে, কমিটি ঠিক তার আত্মাকে
খুঁজে নিয়ে আত্মহত্যার প্লট সাজিয়ে নেবে।
যারা ইনসমনিয়ায় ভুগছেন তারা মাঝরাত্তিরে
তদন্ত শব্দটি পড়ে ফেলুন, নিথর নৈ:শব্দ ডিঙায়
ভাসুন। আগামীতে পরিপূর্ণ ‘তদন্তকমিটি’ শব্দটি
পড়লেই স্বাদ আস্বাদন করা যাবে নিটোল আত্মহত্যার!
ঘুম নেই!
নির্ঘুম মানুষেরা
মারা যায় না,
তাদের নিশিতে পায়
তারা পাগল হয়ে যায়!
আমিতো আজন্ম
জেনেছি আমি পাগল
তাহলে চোখের পলকেরা
আমাকে আষাঢ়ী পূর্ণিমার
ঘোরে রেখে ভাদাইম্মা মেঘের
সাথে কার উষর পৃথিবীতে বৃষ্টি
ঝড়াতে চলে গেলো? চারিদিকে
এখন উদ্ভিদের যৌবনে পড়েছে
সাড়া, আমি কি এখন ঘুম নেই
ঘুম নেই বলে বাইফোকাল কাঁচ
ঘষে ঘষে মাতাবো ঘুমন্ত পাড়া
ফিরে আয় পলকেরা এই বেলা!
No comments:
Post a Comment