শুধু তোমার জন্য
চিবুকের ঘাম মুছে নিয়ে ফিরে যাবে রোদপাখি আকাশের দিকে
প্রভাতফেরিতে তুমি, যদি মনে হয়
বাইশে শ্রাবণ না, অন্য কিছু
...তাহলে কী করব আমি!
রবীন্দ্রজয়ন্তী থেকে তোমার মুখ সরে গেলে
সকালের আর থাকে না কিছুই।
রাতভর শ্রাবণের বৃষ্টি হয়ে গেছে কাল ,
আজকে গাছের পাতা উজ্জ্বল সকালের রোদে।
তুমি গাছ হয়ে ওঠো!
সবুজ ভেজা পাতার এমন সকাল ,
যদি বল , রেখে দিতে পারি আয়ুষ্মান
জীবনের সমস্ত সঙ্কেতে।
এসো ছুঁয়ে থাকি
এখন সমস্তই খুব সহজে মেনে নিতে শিখেছি কিছুতেই কিছু যায় আসে না;
কোন কিছু হারাবার বেদনায় উদ্বেল হয়ে উঠি না
কেননা এখন তীব্রভাবে চাওয়ার মতো কিছু নেই...
কখন বুকের ভিতর থেকে বাল্যকাল ঝরে গেছে...
এখন কবিতা লিখতে না পারার দুঃখে
বারবার মরে যেতে ইচ্ছা করে না-
সাদা পাতার অকারণ রক্তপাত বড় হাস্যকর মনে হয়!
কিছুকাল আগে আমার মৃত্যু হয়েছে...
এখন আমার শব অন্যান্য মৃতদের কাঁধে কাঁধ ঘসে
হাটে-বাজারে সহজে হেঁটে বেড়াছে!
তবু বলি...
এসো, ছুঁয়ে থাকি...এসো ছুঁয়ে থাকি
কবিতার শরীর ,রস ,রক্ত ,মজ্জা।
শব্দের পিঠে শব্দ সাজিয়ে
তুমি কথা বলো-
একটু উল্টো -পাল্টা করে দিলে ,
এদিক -ওদিক...একটু চাপা দীর্ঘশ্বাস ;
একটু বিষণ্নতা মাখিয়ে নিলে
কথারা কবিতা হয়ে যায় ,
আবার তুমি যখন নীরব থাকো
কবিতার পঙক্তি গুলি ফুটে ওঠে
শরীরী মুদ্রায়, স্বভাবী বিন্যাসে।
শব্দের সার্বজনীনতা-
আমি তাদের অনুবাদ করতে চাই ,
কখনো পারি , কখনো ব্যর্থতা।
No comments:
Post a Comment