এক
জানিনা কতটা যোগ্য হবার পরেই কেউ-কেউ পায়
জগতে বহুল হাতে-হাত রাখবার অভিপ্রায়...
অসম যুদ্ধরত আশপাশে আশ্রয়হীন যত...
কি খায় কি পায় বেলা কত হলো জানেও না ঠিকমতো!
আমারও অজানাই রয়ে গেলো কোন পথে প্রিয়জন যায়-
মেধাহীন ভাতঘুম চারবেলা চারদিকে হৃদি কেন ধায়?
আসছে বেলায় পেয়ে সঠিক পথের গতি-
দেশের দশের পাতে শাকান্নভোজের নিশ্চয়তা ঢেলে যদি-
মেধাহীন ভাতঘুম চারবেলা চারদিকে হৃদি কেন ধায়?
আসছে বেলায় পেয়ে সঠিক পথের গতি-
দেশের দশের পাতে শাকান্নভোজের নিশ্চয়তা ঢেলে যদি-
এদেশের প্রিয় ঘাস নদী বন পাহাড় মানুষ আর
এদেশের পিতামাতা ভাইবোন বধূজামাতা আর
এদেশের প্রপিতামহের মহানিম ছায়ার মতোন-
এদেশের মাতাদের স্নেহভাজন আহা পরম আপন!
বলি,আর কিছু লাগে না কি? এদেশের পিতামাতা ভাইবোন বধূজামাতা আর
এদেশের প্রপিতামহের মহানিম ছায়ার মতোন-
এদেশের মাতাদের স্নেহভাজন আহা পরম আপন!
আহ, আর কিছু লাগে না কি?
দুই
লাগে না, লাগে না ভাই।
শুধু ছাত টুকু লাগে ভাই।
শুধু পায়ের তলায় মাটি-
অই ভিত্তিমূল হতে হয় খাঁটি।
তাই গীতিকার তাই শিল্পী গায়-
'ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি
আমার দেশের মাটি'
সুরে ও বাণীতে হৃদি ভেসে যায়।
অশ্রুত কাব্য পাতায় খুঁজে খুঁজে বেলা যায়... 'ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি
আমার দেশের মাটি'
সুরে ও বাণীতে হৃদি ভেসে যায়।
অশ্রুত কাব্যে আমার দিবারজনী ধায়।
তিন
পাতাগুলি নিয়ে বেশ আছি ভাবতেই-
বুঝি হায় অনেকেই আজ নেই।
কত সখী এইদেশে নেই।
কত প্রিয়মুখ পৃথিবীতে নেই।
তাহাদের কথাগুলি...
তাহাদের ব্যথাগুলি...
লালনীল ভুলগুলি...
অকস্মাৎ সোনাঝুরি বাগানের ফুলগুলি!
অশরীরী তাহাদের প্রতিনিধি আসমানী তারাগুলো জ্বলে! তাহাদের ব্যথাগুলি...
লালনীল ভুলগুলি...
অকস্মাৎ সোনাঝুরি বাগানের ফুলগুলি!
অশরীরী তাহাদের প্রতিনিধি জোছনার ধারাগুলো জ্বলে!
তাহারা হারালো বলে সবুজাভ জোনাকি হারিয়ে গেলো।
তাহারা হারালো বলে রঙিন ডানার রঙ হাহাকার হলো।
কেবল অ্যালবামের ছবিগুলো হৃদয়ের হলো।
কেবল এষণা মাখা দিনগুলো রাতের কালোয় গেলো।
চারকেবল এষণা মাখা দিনগুলো রাতের কালোয় গেলো।
আজও জীবনীয়া কালা কালের মহাগুঞ্জনাদি...
শুনে শুনে জানলা তলে ছায়া জ্বেলে কাঁদি।
কান্না কি আর অন্যজীবন তবু জীবনবাজি...
দেশে দেশে মহাজীবন বাঁধা জীবন পাখি।
দেখি তুমুল রঙবেরঙের ছটফটানো ডানা...
ডানার ভাঁজে জীবনপুরের অগ্নি সংযোজনা।
জ্বলেপুড়ে নদনদীরও এপার ওপার কানা...
কে কার আপন কে বা অপর কেউ তো জানি না।
কে কবে কোন ভরদুপুরে সন্ধে বাতির সুরে ...
ডেকেছিলো খুঁজেছিলো মনোহরপুরে।
আজও জোয়ারভাটার বঙ্গদেশে পাগল পানা ঢেউ...
ঢেউয়ের গন্ধে দেশবিদেশে রাজা রাজরা ফেউ।
তাদের লোভী চোখ...
চোখল বাজের নজর লেগে পোড়ে বাংলা চোখ।
তাহার অধিক পোড়ে মাঠে বাংলা মায়ের মন ...
মনোজিয়া ঘাটেঘাটে ধূলি সন্তরণ।
ধূলি কাদায় ঝলমলানো পদ্মপাতায় জল ...
মায়ের স্বপ্ন ছলছল।
স্বপ্নে পাওয়া সোনার দেশের চন্দ্র সূর্যতলে...
জীবনপুরের জীবন গুলি নেভে আর জ্বলে।
জ্বলে বৃক্ষ বনভূমি হাওড় বাওড় হিয়া...
চিরকালের মনপবনের নায়ে উড়াল দিয়া।
শুনি একূল ওকূল দুই কূল চেরা মাঝিমাল্লার গান...
ছলছলাইয়া ওঠে কাঙাল এক জনমের প্রাণ।
আর যত প্রাণঘাতি সব হৃত উচাটন...
তাহার তরে জনম জনম ধন্য বৃন্দাবন।
আহারবিহার ছাড়া তারা ছটফটাইয়া ধায় ...
জীবনমরণ চষেও সে তাহারে না পায়।
আহা হাছন আহা লালন কালিদাসের কাল ...
কালা কালের গর্ভে সে চিরকালের লাল।
চরণতলে জীবন পুথি তাহাদের তরে ...
মরণ সাগরপারের ঢেউ ধন্য ধন্য করে।
চরণতলে জীবন পুঁথি তাহাদের তরে ...
মরণসাগরপারে ঢেউ ধন্য ধন্য করে।
No comments:
Post a Comment