পথটি কোথায়
স্ব-বোধ থেকে ক্রমশ দূরে আমি আরো অন্তর্গত
মানুষ -
দায়িত্ব সচেতনার মতো রঙিন সব ব্যস্ত দিন পিছনে ফেলে
দেখি এক বিস্তীর্ণ শূন্যতার বাইরে কিছুই ছিলো না আমার
যেন কোন অলীক অরণ্যে বহুকাল ঝড়িয়েছি ঘাম-ক্লান্তি
উদ্দেশ্যহীন হেঁটে বেড়িয়েছি অলিগলি মরিচিকার ভেতর
প্রেম ক্ষুধা স্বপ্ন আর কাব্যময়তার মুখোশ নিয়ে এতটা কাল
কোন পাথরে লিখতে পারি নি প্রজাপতির চিত্রল সৌন্দর্য্য।
একলা ঘোরে অন্তর্দ্বন্দ্বের কাল বড্ড স্থায়ী, নিরুত্তর প্রশ্নে
বিভ্রম যন্ত্রণাবোধ নিয়ে কমে আসে আয়ুষ্কাল, চেতনা-
স্তব্ধ হয়ে আসা অগুনতি কথামালার ভারে নীল হয়ে আসা
শরীর নিয়ে প্রায়শ্চিত্ত তীর্থস্থানে যাবো, পথটি কোথায়?
দায়িত্ব সচেতনার মতো রঙিন সব ব্যস্ত দিন পিছনে ফেলে
দেখি এক বিস্তীর্ণ শূন্যতার বাইরে কিছুই ছিলো না আমার
যেন কোন অলীক অরণ্যে বহুকাল ঝড়িয়েছি ঘাম-ক্লান্তি
উদ্দেশ্যহীন হেঁটে বেড়িয়েছি অলিগলি মরিচিকার ভেতর
প্রেম ক্ষুধা স্বপ্ন আর কাব্যময়তার মুখোশ নিয়ে এতটা কাল
কোন পাথরে লিখতে পারি নি প্রজাপতির চিত্রল সৌন্দর্য্য।
একলা ঘোরে অন্তর্দ্বন্দ্বের কাল বড্ড স্থায়ী, নিরুত্তর প্রশ্নে
বিভ্রম যন্ত্রণাবোধ নিয়ে কমে আসে আয়ুষ্কাল, চেতনা-
স্তব্ধ হয়ে আসা অগুনতি কথামালার ভারে নীল হয়ে আসা
শরীর নিয়ে প্রায়শ্চিত্ত তীর্থস্থানে যাবো, পথটি কোথায়?
স্মৃতিচিত্র
তোমার
আবছা মুখ কোনদিন দেখবো না বলে তরতরিয়ে সন্ধ্যা নামে
আমি
রেলিং-এ চুপচাপ হাত রেখে দেখি ডুবন্ত পৃথিবীর রঙ-
কোনওদিন
ঠিক মনে পড়ে সান্ধ্যগীতের মুগ্ধতা আর বহুমাত্রিক সুগন্ধি
শরীরে
ঠিক মেখে দিয়ে যেত পৌতপ্রবিত্র হাওয়ার আবেশ;
আবাসন
ছেড়ে গেছে সেবিকার দল তাই হাওয়ারা আজ অবিরাম-
অন্ধকার
দেয়ালের দিনপঞ্জি সময় পেণ্ডুলামের মত কেবল দোলে
কত শত
অনিবার্যতা ছেড়ে গেছে বলে বিগত দিনের থেকে
ফিরে-
মুহূর্ত
আজ কেবলই ধূলিকণা হয়ে বাড়িয়ে যায় স্মৃতিবৈচিত্রের বেদনা;
ভ্যালেন্টাইন
হলুদ ফুল, তোমাদের
আমার বড় ঈর্ষা হয় -
ধ্যানধর্মী দুচোখের নিমগ্নতা কেড়ে নিলে ঘনীভূত হয় অন্ধরাত
আমিও কি স্বপ্নাতুর শৌকর্য বিলাসী, ক্ষয়ে যাওয়া চাঁদের দুঃসাহস
পরাজয় চক্রাকারে বাজে চতুর্দিকে যার, বিমূর্ত মৃগের নাভি হয়ে।
আমি কি দেখিনি শাদা তুলোর উড়ন্ত ডানা, কেবলই যায়
আর ফিরে আসে অনুর্বরা উদ্যান রহস্যে নিজের কাছে একান্তে
অস্বীকার করে সর্ষে ফুলের উদ্যান মাথায় তুলেছো যত অনাম্নী
ঘুঙুরের শব্দ নিয়ে দ্রুত চলে যাও, রহস্যময় কোন দেশে
তুমি তোমরা এবং সমলয়ে পদার্পন করা যাজক কিংবা প্রেমিক
আমি বরফের দেশ থেকে ধার করে আনি অনেক অনেক ঘুম।
ধ্যানধর্মী দুচোখের নিমগ্নতা কেড়ে নিলে ঘনীভূত হয় অন্ধরাত
আমিও কি স্বপ্নাতুর শৌকর্য বিলাসী, ক্ষয়ে যাওয়া চাঁদের দুঃসাহস
পরাজয় চক্রাকারে বাজে চতুর্দিকে যার, বিমূর্ত মৃগের নাভি হয়ে।
আমি কি দেখিনি শাদা তুলোর উড়ন্ত ডানা, কেবলই যায়
আর ফিরে আসে অনুর্বরা উদ্যান রহস্যে নিজের কাছে একান্তে
অস্বীকার করে সর্ষে ফুলের উদ্যান মাথায় তুলেছো যত অনাম্নী
ঘুঙুরের শব্দ নিয়ে দ্রুত চলে যাও, রহস্যময় কোন দেশে
তুমি তোমরা এবং সমলয়ে পদার্পন করা যাজক কিংবা প্রেমিক
আমি বরফের দেশ থেকে ধার করে আনি অনেক অনেক ঘুম।
অবশেষ
উড়ে উড়ে আরো বহুদূরে যায় নক্ষত্রফুল,
বয়েসী বটের মতো ভার নিয়ে পড়ে রই,
অচিন হাওয়ারা ডেকে আনে অন্ধ শিষ,
অনুর্বর অনাবাদী ভূমির রন্ধ্রে রন্ধ্রে ভুল।
বয়েসী বটের মতো ভার নিয়ে পড়ে রই,
অচিন হাওয়ারা ডেকে আনে অন্ধ শিষ,
অনুর্বর অনাবাদী ভূমির রন্ধ্রে রন্ধ্রে ভুল।
আড়াল থেকে আসে কাদের পদসংগীত,
শ্বেত বসনে কাদের নিয়ে ছুটেছে সেবিকা দল,
কান্না সুর লিখছে কোথায় গীত অনর্গল?
শ্বেত বসনে কাদের নিয়ে ছুটেছে সেবিকা দল,
কান্না সুর লিখছে কোথায় গীত অনর্গল?
No comments:
Post a Comment