কোথায় কি!

07 May 2016

পাভেল আল ইমরান


বিড়ালের পাখনায়
বিড়ালের পাখনায় খসে পরা শুকনো আঁশটে গন্ধে উড়ে উড়ে
মাটিতে সেদিন কিছু মাছি বসা শোণিত শুঁকেছি
নখের আঁচর ছিল, মড়ার দাঁতের দাগ...
কালচে হওয়া কিনারে বুলেটভরা বন্দুকের ভয়
শকুনের পাখা ঝাপটানো শুন্যে চিকার করে নাচে
সদ্য প্রয়াত শিশিরদল
সদ্য প্রয়াত ঘাসেরঝাঁক
ঘাত কবুতর লোম চেতিয়ে মুষড়ে মুষড়িয়ে মরে
লবন ছিটানো কেঁচো
বিড়ালের পাখনার পাশে ছুঁইয়ে ছুঁইয়ে পরে
ঘাইহরিনীর আগু সঙ্গমের ত্রপিত লৌ রস, আর
দূষিত মাংসের গভীরে জানান দেয় জানোয়ারের অস্তিত্ব
কীরার অস্তিত্ব দেয় পূর্ণতা মানবতার!
বিড়ালের বিশাল পাখনা গুঁটিয়ে জড়তা
কখনো মোড়ক খোলার অতীক্ষ্ণ কেঁচি
সর্বজনীন কুকুর ঘেউ-তলোয়ারে কাটে লজ্জাবতী গাছ
গুঁটিয়ে যাওয়া বিড়ালের পাখনায় খসে পরা শুকনো আঁশটে গন্ধে
উড়ে উড়ে আমি, মাটিতে এখন দেখি কুকুর ভাসছে লহু কাঞ্চনজঙ্ঘায়




ইসরাইলী যুবতীকে
রক্তররঙা ইসরাইলী যুবতি
বুকের মাংসের নর্দমা সরিয়ে মুখ ডুবিয়েছিলাম
কাক সেইদিনও উড়ছিল পুরনো অভ্যেসে
প্রতিদিন আয়নায় দেখে পুরু স্তনে বোমার ম্যাসেজ সারো
দুধের বাচ্চার ঠোঁটে পুড়ে দাও বারুদ-ডেইরী
দেখেছ, আমার সন্তানেরা রক্তরঙা হয়ে উঠেছে আদেহ
এখন বোমার দুধ বাজারজাতকরণ করবে তারাও

উঠোন চৌধারে দেখেছি তোমার ডবকা পাছার উড়াউড়ি
আমি সহায়শুন্য আকন্দ গাছ হয়ে
দেখেছি উরুর সফেদ রাস্তায় কত ড্রোন বিমানের সঙ্গম অবৈধ
গুলি-বোমার বৃষ্টিতে মিশে ছিল জারজ সন্তান
রক্তরঙা আকন্দ গাছের সার হয়ে তারাও আজ
উড়তে শিখছে প্রস্রাবের বোমায় জেরুজালেম উঠোন ভরতে

দেখেছো, বড়ই গাছে বাজ পাখিটি বসতে কচি পাতারা ঝরছে
দেখেছ, বড়ই গাছের কাঁটারা কেমন বৈশিষ্ট্যহীন

গাঁজার সবজি ক্ষেতে রক্ত সেঁচ দেয়া হচ্ছে
কুমড়োর গাছে জলের বদলে রূধির ঢাললে
রসের বদলে রক্ত বয়ে
বড়ই পাতারা ক্রমেই কাঁটার বৈশিষ্ট্য শরীরে
ক্রমেই রক্তাক্ত ফিলিস্তিনের যুবক



যাদবপুরে সোনালী গানের ব্যবসায়ীরা
(যাদবপুরের ছাত্র আন্দোলনের স্বপক্ষে)

যাদবপুরে বালিরা উড়ে রক্তের পোশাক পরে পথে পথে
বালিদের খাতায় রাজনৈতিক অঙ্গীকার নেই
উড়ে উড়ে রক্ত খুঁজে বিষাক্ত হায়না-ছোবলের
বালিদের মুখে আটকানো থাকে যমের ফরমায়েশ পত্রের অনুবর্তন
বালিদের মিছিল ব্যতিত অন্যকোন ঠিকানা পায়নি বলশেভিকরা

বালিদের কোথাও সংসদ নেই
কোনো জোট নেই
কোনো অধীনের পাপোষে পা রাখেনি বালির ধর্ম
সংসদের অপ্রবিত্র জলে বালির আত্মাহুতির ঘটনা লজ্জাবনত ইতিহাস

যাদবপুরের রাস্তায় সীসার কন্ঠ বারুদের জাহাজ ভরিয়ে হাঁকছে বদলা
সীসার কন্ঠে কখনো উর্দিবিহীন পুলিশ ভীরুতা ঢুকাতে সক্ষম হয়নি
সীসার কন্ঠ বানাতে জানে পাথর ভাঙ্গার রং
সীসার কন্ঠে গড়তে জানে শাহবাগ , ফয়সাল হুসনী এবং বিদ্রোহ...
সীসার কন্ঠ ভাঙ্গতে জানে পেঁচার ডানার নিচে
অতর্কিতে ভাসা তরল অন্ধকারের দানা

যাদবপুরে এখন আন্দোলন দৌড়ে দৌড়ে কাঁপছে, যাদবপুরে আন্দোলন
 কাঁপাচ্ছে ভারত, কাঁপাচ্ছে মুখহীন নখের হাজার প্রস্তুতি ভীত
 কাঁপছে রুধিরহীন পরিকল্পনা ভরাট আর্মি যান
 কাঁপছে অসার রাজনীতি। আর লোহার পেরে থেকে বেরুচ্ছে ধোঁয়ার উক্তি-

"মাথা তুলে দাঁড়াক সোনালী গানের ব্যবসায়ীরা।"

No comments:

Post a Comment