কোথায় কি!

17 May 2016

পলিয়ার ওয়াহিদ




তেজপাতা
তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে নিজেকে পাইলাম
তুমি যদি ভাবো
তেজপাতারই রঙ

যেন হারায়ে হারায়ে নিজেকে চেনায়।

নিজেকে ভুলে যাওয়াই
তোমার স্মরণ করা!

উড়ে গেল ডানা-দল
পুচ্ছ নেড়ে নেড়ে
নিঃসঙ্গ আকাশে ওরা বলে
আমরা আছি তোমার দলে

কিছু রঙ আঁকো
বর্ণহীনতা খেয়ালে



সম্পর্ক
তোমার হাতে আমার ভালোবাসার সনদ
যেখানে মানুষ তার নিজের নয়, সেখানে আমি
তোমার হবো কি করে? সত্যি কি কেউ কারও নাই।
দীর্ঘশ্বাস পুড়ে যায় স্বার্থের ছ্যাকায়।

তোমাকে আমার ভারি ভালো লাগে! চেষ্টা করি প্রতি
মুহূর্তে তোমাকে ভালোবাসতে এবং এ মুহূর্তেও
চালিয়ে যাচ্ছি পূর্বের প্রতিশ্রুতি।

কোনো কারণে বিচ্ছেদ হলে
ভেবো না যে ছিড়ে গেল সম্পর্ক-অদৃশ্য সুতো।
টান পড়লে নিজেকে তুলবা ভালোবাসার হাতে।
মনে রেখোভালোবাসা সম্পর্কের টানা-পড়েনে
জেগে ওঠা একখ- সীমাহীন ভূমি।

এখনো তাই সম্পর্কের নাটাই নিয়ে প্রতিদিন বেহিসেবী
সুতো ছাড়ি বিশ্বাসী কাগুজে দেহের লেজে।

প্রজাপতি হতে খুব ইচ্ছে ছিলো
অনিচ্ছায় তবু হয়ে গেলাম রাতের ঝিঁঝিঁ।

 



ক্ষুধা
ক্ষুধার্ত কুকুরমুখে বাসি পাউরুটি
ঢুকতে দেখেই মনে হলো
পৃথিবী পঁচা পাউরুটির মতো গোল!

ওগো কমলালেবুর ফুলা ফুলা বুক
তুমি চিরকাল ভুলভাল।



বিষন্ন বাদামতলা

মুগদাপাড়ার গোরস্থান
ফিরবে মৃত্যুর পয়গম নিয়ে
পাশাপাশি শুয়ে মাটি ও মানুষ
নিরবতা চালায়েই যাবে
কেউ কারো নিয়ে মাথা ঘামাবে না

গোরস্থানে পা ফেললে নাকে লাগবে মৃত্যুর গন্ধ
মুরদা ব্যক্তির বাড়তি পাওনা বটে
ঘুমের সুইচ অফ রেখে
দেখতে থাকবে দুনিয়াদারির মশকরা।
তিনিই জানতে চাইবেন পৃথিবীর খবরা-খবর?

আমরা কুরসি পাঠ করতে করতে
আকাশের দিকে হাত তুলবো, দেখবো
জীবনের পানপাত্রে জুয়া খেলছে মৃত্যু!


দশ বছর পর
বাড়িতে যাবার আগে একবার এসো
জরুরী অনেক কথা
ব্যাস এটুকুই বলতে সে কাটায়েছে দশটি বছর..
লাল মোরগের মতো দূরন্ত স্বপ্নের কেশর ফুলায়ে
হাজির হয়েছিলাম তার সম্মুখে

তার জোড়াদিঘী চোখআজ যেন পরিত্যক্ত কুয়ো!
পিঁপিলিকার মতোন মুখে খাদ্য-কথা
এখনো অপেক্ষা করো কেন?
মহুয়াকে বিয়ে করো
সে তোমায় খুব ভালোবাসে!

মনে পড়ে গেল সেই বালক বেলাকার হারানো কথা
একজোড়া কবুতর স্মৃতি

কোনো কথাই শুনলো না সে
তার কথা শুনে
গুনে গুনে পান করি
একটা জীবনী বছর।



মায়ামাছ
দুপুরের প্লেটে মায়া মাছের সাঁতার। সাঁতার মানে ভেসে থাকা নয়। অস্থির জনপদ। গা বাঁচায়ে হাঁটা। অন্ধ সময়ের পিছু ছুটছে যে নষ্টঝিনুক তাকে তুমি কি নামে ডাকো? ভুলে থাকো গণিতের খাতা? চলো এখন আঁকা যাক চারুকারুকলা!



কামুক শামুক
যে কোনো নতুন প্রেমিকার কাছে
পাছেদোঁ আশলা গন্ধ
ছন্দ নয়যেন পাকা পেঁপের মতোন ফালি ফালি
খালি প্রাক্তন আহার!

তুমি পৌছোবার আগে অন্য কেউ
ফেউ-ক্ষত শুকানোর আগে
দাগে দাগে পূর্বাভাস মিলে যাবে
দেখবে বয়স কমবার সাথে সাথে
রাতে রাতে শারীরিক অঙ্গগুলো
কুলোউড়া ধুলোর মতো শাসাবে বাদ্য
অবাধ্য শরীর..

কামনার বনে তারা ঢেলে দেবে
নেবে কামুক শামুক


No comments:

Post a Comment