ভিক্টোরিয়া খুব ধীর করে কবির দিকে
তাকালেন। কবি যে কোন দূরের পাতার আড়ালে হারালেন বোঝা গেল না। একজন কবি কতোদূর
তাকাতে পারে?
বিকেলের পাড়ানির কড়ি এখনো ফুরায়নি। বিকেল বেলাটা পাতার আড়ালে গুম হয়ে থাকে । শহরে নীরবতা নেমেছে,তার দীর্ঘ ছায়া এই পার্কে। দূরে কিছু পাখি গাছের মগডালে নেমে পড়া সন্ধ্যার আগমনী গান করছে আপন সুরে । কবি কান পাতলেন। পাখির জানান দেয়া শব্দের ভাষা এক ও সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক।
ভিক্টোরিয়া তার কর্মচারীদের দিয়ে আরামদায়ক চেয়ারটা পার্কের এক ছায়া ঘন জমিনে বসিয়ে দিয়েছেন। এসময়টা গরম নেই,অনুরণিত নরোম বিকেল। মন্থরে মন্থরে দুজনের সময়।
ভিক্টোরিয়ার চোখে ঋষি হয়ে ওঠেন কবি। অন্য গ্রহের । ভারত উপমাহদেশ কি ঋষিদের দেশ?
ভিক্টোরিয়া এই কবিকে নিয়ে প্রচুর পড়েছেন। পড়তে পড়তে মনে হয়েছে কবিকে দেখতে হবে..সমস্ত বিকেল সন্ধ্যা অনুভব করে দেখবে কবি'র লেখা 'সন্ধ্যা ও প্রভাত'এর মতো কিনা।
কবি ডাকলেন,
- বিজয়া।
মেয়েটা শুধু ডাকটা শুনল,কোনো জবাব এলো না মুখে । বাংলা ভাষায় বিজয়ার ডাকটা স্প্যানিশ ভাষায় এসে মিশে গেল যুগল মোহনায়। মেয়েটি অনুভব করলো বটে,জবাব দিতে
পারল না। কবি গুনগুন করলেন;
-বল গোলাপ মোরে বল
তুই ফুটিবি সখী কবে ?
ভিক্টোরিয়া চুপ করে পা ভাঁজ করে সবুজ ঘাসের উপর বসে পড়ে । কোথাও কি যেন ভেসে যায় বুয়েনেস আইরেস এর সন্ধ্যায় । কবি বিজয়াকে অপলক দেখছেন । মনে হলো এই বিদেশিনীকে
চেনেন,সিন্ধুপারের এই মেয়েকে চেনেন। এই মেয়েকে তিনি শারদপ্রাতে দেখেছেন,মাধবীরাতেও দেখেছেন । কবি আবার ডুব দিলেন লাতিন সন্ধ্যায়।
ও দূরবর্তী,এ কোন মায়াবন বিছিয়ে রেখেছো আমার চোখের সীমানায়। আজ এর পূরবী ওর বিভাসকে আশীর্বাদ করে চলে যাক।
কবি জিজ্ঞেস করলেন;
-ভালেবেসেছো বিজয়া কখনো?
অনেক ক্ষণ কথা বললো না ভিক্টোরিয়া। তারপর আস্তে আস্তে বলতে শুরু করে দূরে কোথাও তাকিয়ে;
- না পারি শুন্যতা সৃষ্টি করে পূর্ণতা আনতে। পুরুষকে মুগ্ধ করার ছলাকলা রমনীরা তো অনেক জানে। আমি জানি নাই বলেই প্রেম হয়নি হয়তো...।
রবীন্দ্রনাথ ও ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো দুজন চুপ। রাঙা সন্ধ্যা আচমকা নেমে এলো বুঝি আর্জেন্টিনার বিষন্ন আকাশে।
বিকেলের পাড়ানির কড়ি এখনো ফুরায়নি। বিকেল বেলাটা পাতার আড়ালে গুম হয়ে থাকে । শহরে নীরবতা নেমেছে,তার দীর্ঘ ছায়া এই পার্কে। দূরে কিছু পাখি গাছের মগডালে নেমে পড়া সন্ধ্যার আগমনী গান করছে আপন সুরে । কবি কান পাতলেন। পাখির জানান দেয়া শব্দের ভাষা এক ও সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক।
ভিক্টোরিয়া তার কর্মচারীদের দিয়ে আরামদায়ক চেয়ারটা পার্কের এক ছায়া ঘন জমিনে বসিয়ে দিয়েছেন। এসময়টা গরম নেই,অনুরণিত নরোম বিকেল। মন্থরে মন্থরে দুজনের সময়।
ভিক্টোরিয়ার চোখে ঋষি হয়ে ওঠেন কবি। অন্য গ্রহের । ভারত উপমাহদেশ কি ঋষিদের দেশ?
ভিক্টোরিয়া এই কবিকে নিয়ে প্রচুর পড়েছেন। পড়তে পড়তে মনে হয়েছে কবিকে দেখতে হবে..সমস্ত বিকেল সন্ধ্যা অনুভব করে দেখবে কবি'র লেখা 'সন্ধ্যা ও প্রভাত'এর মতো কিনা।
কবি ডাকলেন,
- বিজয়া।
মেয়েটা শুধু ডাকটা শুনল,কোনো জবাব এলো না মুখে । বাংলা ভাষায় বিজয়ার ডাকটা স্প্যানিশ ভাষায় এসে মিশে গেল যুগল মোহনায়। মেয়েটি অনুভব করলো বটে,জবাব দিতে
পারল না। কবি গুনগুন করলেন;
-বল গোলাপ মোরে বল
তুই ফুটিবি সখী কবে ?
ভিক্টোরিয়া চুপ করে পা ভাঁজ করে সবুজ ঘাসের উপর বসে পড়ে । কোথাও কি যেন ভেসে যায় বুয়েনেস আইরেস এর সন্ধ্যায় । কবি বিজয়াকে অপলক দেখছেন । মনে হলো এই বিদেশিনীকে
চেনেন,সিন্ধুপারের এই মেয়েকে চেনেন। এই মেয়েকে তিনি শারদপ্রাতে দেখেছেন,মাধবীরাতেও দেখেছেন । কবি আবার ডুব দিলেন লাতিন সন্ধ্যায়।
ও দূরবর্তী,এ কোন মায়াবন বিছিয়ে রেখেছো আমার চোখের সীমানায়। আজ এর পূরবী ওর বিভাসকে আশীর্বাদ করে চলে যাক।
কবি জিজ্ঞেস করলেন;
-ভালেবেসেছো বিজয়া কখনো?
অনেক ক্ষণ কথা বললো না ভিক্টোরিয়া। তারপর আস্তে আস্তে বলতে শুরু করে দূরে কোথাও তাকিয়ে;
- না পারি শুন্যতা সৃষ্টি করে পূর্ণতা আনতে। পুরুষকে মুগ্ধ করার ছলাকলা রমনীরা তো অনেক জানে। আমি জানি নাই বলেই প্রেম হয়নি হয়তো...।
রবীন্দ্রনাথ ও ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো দুজন চুপ। রাঙা সন্ধ্যা আচমকা নেমে এলো বুঝি আর্জেন্টিনার বিষন্ন আকাশে।
No comments:
Post a Comment