গোপন কান্নাটুকু
গোপন কান্নাটুকু গোপনই থাক, অধরা জ্যোৎস্না ছুঁয়ে করতলে
রেখেছি প্রণয়। গহিন দরোজা খুলে দেখেছি এখনো সেখানে আছে কান্নার বুদবুদ। যা কিছু
লোকায়ত তার অফুরান দুঃখগাঁথা আহত করে যায় সময়ের দাপট। সময় এক অদ্ভুত খেয়ালি ঘোড়া—দৌড়ুচ্ছে ক্রমশ দিগ্বিদিক।
যে নদী হারিয়ে যায় তার দায় নেই উজানের হাহাকার।
সেইসব গোপন গোলাপ
দৃশ্যাবলী ফুড়ে উঠে গহিনের ডুবসাঁতার। গোঙানির রঙ রপ্ত
করেছি কৈশোরিক উত্তাল দিনে; যুদ্ধের দামামা যখন বেজেছে কেবল। উজানের স্মৃতি
ভাটিতেও পুড়িয়ে দেয় যা কিছু সুন্দর, যা কিছু
নান্দনিক। আহত ডানা শুধু উড়তেই পারে না, উড়ালের তীব্র
আকাঙ্ক্ষাকে পরাজিতও করে দেয়।
সেইসব গোপন গোলাপ সুবাস ছড়ানোর আগে ঝরে যায়।
কখনো ছুঁয়ে দেখিনি আকাঙ্খার রঙ
কখনো ছুঁয়ে দেখিনি আকাঙ্খার রঙ, কতটা রঙ্গিন হলে দৃশ্যের ভিতরে নতজানু অদৃশ্য অথচ
স্পষ্টবাদিতার চিহ্ন সকল। জানালার দৃশ্যান্তরে কখনো কাঠবাদামের পাতারা ঝিরিঝিরি
ঝরে যায় হপ্রলয়ের দিন, বিরহের মনস্তাপ। কখনো ছুঁয়ে দেখিনি স্বপ্নের আদিম
উৎস স্মৃতিকূয়া থেকে
উঁকি মারে হারানো চোখের জল, বৃষ্টির সন্দিগ্ধ ফোঁটা।
আমার কি কখনো
ভেজা জ্যোৎস্নার রাতে কাতরতা বিষয়ক হাবিজাবি দৃশ্যবন্দি
হয় নিমগ্ন চোখের ক্যানভাসজুড়ে। পোড়াকাল, হারানো
জিরাফের গ্রীবা, ফুলের উড়ে যাওয়া পরাগের দুঃখ এইসব ছুঁয়ে দিতে
ইচ্ছে করে ভীষণ। রাত বিষয়ক যাবতীয় বিভ্রম সরল আলোর মত চুঁইয়ে পড়ে দৃষ্টির করিডোরে।
এইসব রাতে আমার হারাতে নেই, হারাতে নেই পুরোনো খাদে, কিনারে দাঁড়িয়ে একা ঝুলে থাকা শূন্যসময়, আমার কি কখনো মরে যেতে ইচ্ছে হয়।
No comments:
Post a Comment