জীবনজয়ী
হুমায়ুন
আজাদ
অগ্রজ সুন্দরের আকর্ষণে উন্মাতাল হুমায়ুন আজাদ;
তিনি এলেন, প্রথা ভাঙলেন, বিতর্কিত হলেন;
নির্মাণ করলেন জীবনের নতুন তাৎপর্য, রূপ ও রঙ।
মৃত্যুতে তার বিশ্বাস নেই; বিশ্বাস নেই অমরতায়
কিংবা শক্তিমানের আধিপত্যে, ভণ্ডামির উচ্চতায়;
নষ্টদের ভ্রষ্টাচারে উদ্বিগ্ন তিনি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার;
শ্রদ্ধেয় জ্ঞানপাপীদের, দূষিত বিবেকের দৌরাত্ম্যে দুঃসহ তার
বাংলাদেশ-বাংলাভাষার শত্রুদের প্রতি ঘৃণা তার তীব্র;
মৃত্যুর প্রতি বেপরোয়া তিনি; অমরতায় নেই আস্থা;
পুনর্জন্মে আকাঙ্খাহীন; মৃত্যুর পরেও মৃত্যুঞ্জয়ী তিনি।
ধর্মের নামে দখল-খুন ঘৃণা করতেন বেশ;
রাজনীতির নামে সন্ত্রাস, ক্ষমতার নামে দুর্নীতিতে ঘৃণা তার;
তিনি এলেন, প্রথা ভাঙলেন, বিতর্কিত হলেন;
নির্মাণ করলেন জীবনের নতুন তাৎপর্য, রূপ ও রঙ।
মৃত্যুতে তার বিশ্বাস নেই; বিশ্বাস নেই অমরতায়
কিংবা শক্তিমানের আধিপত্যে, ভণ্ডামির উচ্চতায়;
নষ্টদের ভ্রষ্টাচারে উদ্বিগ্ন তিনি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার;
শ্রদ্ধেয় জ্ঞানপাপীদের, দূষিত বিবেকের দৌরাত্ম্যে দুঃসহ তার
বাংলাদেশ-বাংলাভাষার শত্রুদের প্রতি ঘৃণা তার তীব্র;
মৃত্যুর প্রতি বেপরোয়া তিনি; অমরতায় নেই আস্থা;
পুনর্জন্মে আকাঙ্খাহীন; মৃত্যুর পরেও মৃত্যুঞ্জয়ী তিনি।
ধর্মের নামে দখল-খুন ঘৃণা করতেন বেশ;
রাজনীতির নামে সন্ত্রাস, ক্ষমতার নামে দুর্নীতিতে ঘৃণা তার;
আনন্দময় জীবনে, সৌন্দর্যময় সৃজনে, মনুষ্যত্ব বিকাশে তার আস্থা;
বিতর্কে উৎসাহ, জীবনের শিল্প সঞ্চারে আগ্রহ তার।
নিদ্রিত হয়ে যিনি জাগ্রত; বিতর্কিত হয়েও যিনি বরণীয়
তার নাম হুমায়ুন আজাদ জীবনজয়ী ও স্মরণীয়।
১২ মে, ২০১৪, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
জাতিজাগরণ থেকে আত্মজাগরণ
পয়লা বৈশাখ
আমার প্রিয় বঙ্গাব্দ।
কাল থেকে কালান্তরে এলো ১৪২১ সাল
নিজেকে আবিষ্কার করলাম আত্মজাগরণে।
গণজাগরণের শাহবাগ মঞ্চ বিগত বছরে
ছিল আন্দোলনে উষ্ণ, প্রতিবাদে উত্তাল।
নিবেদিত কর্মীরা দ্বিতীয় একাত্তর এনেছিল।
এমন বৈশাখ জমেনি কখনো;
সারাদেশে বৈপ্লবিক আনন্দের ঝড়ে
যুদ্ধাপরাধীরা অক্টোপাসে আটকে গেল।
সংস্কৃতিকর্মীরা অহিংস আন্দোলনে
শান্তির কপোত উড়িয়ে দিলো।
চারুকলার বৈশাখী উৎসব ছড়িয়ে গেল
সমগ্র ঢাকায়। বাঙালিত্বের পুনর্জাগরণে
আমিও জাগ্রত।
জাতি নববর্ষের এ দিনে উন্মুখ হয়ে আছে গণজাগরণে
উদ্দীপ্ত তারুণ্যের দিকে;
শুভ অর্জনের দৃপ্ত শপথে এগুচ্ছে বাংলাদেশ।
কাল থেকে কালান্তরে এলো ১৪২১ সাল
নিজেকে আবিষ্কার করলাম আত্মজাগরণে।
গণজাগরণের শাহবাগ মঞ্চ বিগত বছরে
ছিল আন্দোলনে উষ্ণ, প্রতিবাদে উত্তাল।
নিবেদিত কর্মীরা দ্বিতীয় একাত্তর এনেছিল।
এমন বৈশাখ জমেনি কখনো;
সারাদেশে বৈপ্লবিক আনন্দের ঝড়ে
যুদ্ধাপরাধীরা অক্টোপাসে আটকে গেল।
সংস্কৃতিকর্মীরা অহিংস আন্দোলনে
শান্তির কপোত উড়িয়ে দিলো।
চারুকলার বৈশাখী উৎসব ছড়িয়ে গেল
সমগ্র ঢাকায়। বাঙালিত্বের পুনর্জাগরণে
আমিও জাগ্রত।
জাতি নববর্ষের এ দিনে উন্মুখ হয়ে আছে গণজাগরণে
উদ্দীপ্ত তারুণ্যের দিকে;
শুভ অর্জনের দৃপ্ত শপথে এগুচ্ছে বাংলাদেশ।
গণজাগরণ মঞ্চ, শাহবাগ, ঢাকা; ১০ এপ্রিল ২০১৪
চেতনায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশের চেতনাজুড়ে
বৈশাখ আসে আশার ঝড়ো হাওয়ায়,
একুশে ফিরে আসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা;
নবান্ন পালিত হয় কৃষির স্বনির্ভরতায়।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাগ্রত জনতা
মানব পতাকায় সুসজ্জিত স্বাধীনতা
কোটি কণ্ঠের জাতীয় সঙ্গীত শুভ ইঙ্গিতময়
বাঙালিরা বাংলাদেশ-বিশ্ব করেছে জয়।
ঐতিহ্যের পরিসরে উচ্চকিত লালন
নিরন্তর প্রেরণা দেন রবীন্দ্র-নজরুল;
বাঙালির ভুবন জুড়ে মহতের লাবণ্য ধরে
সংগ্রামে আর বিশ্বাসের খ্যাতি ঝরে।
বাংলাদেশের চেতনাজুড়ে
বৈশাখ আসে আশার ঝড়ো হাওয়ায়,
একুশে ফিরে আসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা;
নবান্ন পালিত হয় কৃষির স্বনির্ভরতায়।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাগ্রত জনতা
মানব পতাকায় সুসজ্জিত স্বাধীনতা
কোটি কণ্ঠের জাতীয় সঙ্গীত শুভ ইঙ্গিতময়
বাঙালিরা বাংলাদেশ-বিশ্ব করেছে জয়।
ঐতিহ্যের পরিসরে উচ্চকিত লালন
নিরন্তর প্রেরণা দেন রবীন্দ্র-নজরুল;
বাঙালির ভুবন জুড়ে মহতের লাবণ্য ধরে
সংগ্রামে আর বিশ্বাসের খ্যাতি ঝরে।
চারুকলা, ঢা. বি., ০৫.০৪.২০১৪
কৃষ্ণকলি
কৃষ্ণকলি গান শোনালে
মনের দরজায় একাকী দাঁড়ালে
বললে মনের রূপকথা
ছড়িয়ে রূপময়তা।
মন ছুঁয়েছ মন দিয়ে
তাকিয়ে তবু সুদূরে
কণ্ঠ দিয়ে এলে কানে
বৈশাখের তরঙ্গ-তুফানে।
মন করলে জয়
রবীন্দ্রনাথ অক্ষয়;
গীতল আলোয় ছড়ালে
নিজেকে প্রেমে জড়ালে
প্রেমের ঝলকানি মুখে
তাকিয়ে থাকো আমার চোখে।
কৃষ্ণকলি গান শোনালে
মনের দরজায় একাকী দাঁড়ালে
বললে মনের রূপকথা
ছড়িয়ে রূপময়তা।
মন ছুঁয়েছ মন দিয়ে
তাকিয়ে তবু সুদূরে
কণ্ঠ দিয়ে এলে কানে
বৈশাখের তরঙ্গ-তুফানে।
মন করলে জয়
রবীন্দ্রনাথ অক্ষয়;
গীতল আলোয় ছড়ালে
নিজেকে প্রেমে জড়ালে
প্রেমের ঝলকানি মুখে
তাকিয়ে থাকো আমার চোখে।
বাংলা একাডেমি, ০৪.০৪.২০১৪
রতনতনু ঘোষ
কবি,গবেষক,প্রাবন্ধিক
No comments:
Post a Comment