মুর্শিদ
বিনে কেউ নেই
একদিন ছিলাম আলমে আরওয়ারে, যেখানে যুগের
পর যুগ কাটছিল অবনত মস্তকে। কী ভেবে তিনি,
যিনি একক ও অদ্বিতীয়- একদা অন্য সবার সঙ্গে আমাকেও শপথের মেলায় ডাকলেন।
তিনি যা যা বললেন, সবই মেনে নিলাম। তারপর ছুটে আসা খেলার মাঠে। খেলার মাঠে খেলা করি,
দিনরাত খেলা করি। ডুবে রঙের মোহে, ভ্রান্তির ঘোরে খেলার মাঠ আর পথে-প্রান্তরে খেলা
করি। ফেলে আসা পথের মায়া ভুলে খেলা করি। রঙে ডুবে রক্ত মেখে সেলফি তুলি। ‘আমি’ আর
‘আমার’ শানে ছায়া খুন করি। মুর্শিদের চরণ ভুলে অভিনয় করি। এভাবে কতোকিছু যে এনেছি দখলে,
যৌবন গাঙে কেটেছি সাঁতার। তবুও আজ ঘিরেছে আঁধার।
কী যে করি, পাই না বুঝে- কী যে করি!
কালের গর্ভে সব হারিয়ে আজ অন্য আমি’র করুণায় হেঁটে চলি বুক-সমান নিচে থাকা শয্যার সন্ধানে।
কিন্তু মনে পড়ে না হায়! মনে যে পড়ে না- কোন পথে আসা। ভুল পথে তো হবে না যাওয়া
ফেলে আসা শয্যায়। তবুও সবাই আমাকে সেই পথেই যেতে তাড়া দেয়। অসহায় আমি তাই প্রলাপ বকি- ভুলে ভুলে
খেলাঘরে কী পেতে কী করেছি? নিজের বিপদ যে নিজেই টেনেছি!
বেলাশেষে নিরালে বসে তাই, মোরাকাবা করে
যাই। মোরাকাবায় হারাতে চাই মুর্শিদের চরণে। ধূলি হয়ে সেই চরণে পারি যদি মিশে যেতে- পাবো যে ফিরে
তবে হারানো পথের দিশা। ‘দয়া করো’, ‘দয়া করো’- বলে তাই কেঁদে যাই, মুর্শিদ বিনে যে
কেউ নাই।
চাঁদের ভালোবাসা
তুমি আকাশের চাঁদ পানে তাকিয়ে
যদি কাটিয়ে দাও সোনালী সময়
হয়তো বা ক্ষণে ক্ষণে জ্যোৎস্না পাবে
পাবে না চাঁদের ছোঁয়া।
চাঁদ যদিও তাকিয়ে থাকে তোমার পানে
চাঁদের মনে নেই- শুধু তোমার ভাবনা
চাঁদ উপভোগ করে তোমাদের রূপ!
তুমি জানো কি জানো না-
চাঁদের পানে তাকিয়ে থাকে
আরও কতোজন।
চাঁদের তুমি নও শুধু একজনা...
________________________
No comments:
Post a Comment