তিনটা বৃক্ষ
তিনটা বৃক্ষ;
পাশাপাশি দাঁড়ায়া কথা কয়,
তারা সম্পর্কে ছায়াতুত।
প্রৌঢ় বৃক্ষের শাখায় জড়ানো ঘর-গৃহস্থালি,
তরুণ বৃক্ষের শিকড়ে দিকভ্রান্ত নদী,
কিশোর বৃক্ষের পাতায় বাউলি বাতাস।
তারা পরস্পর কথা কয় আর-
একদল রাস্তা সেইসব শুনতে থাকে...
তারা মনে করে-
তিনটা বৃক্ষ;
পাশাপাশি দাঁড়ায়া কথা কয়,
তারা সম্পর্কে ছায়াতুত।
প্রৌঢ় বৃক্ষের শাখায় জড়ানো ঘর-গৃহস্থালি,
তরুণ বৃক্ষের শিকড়ে দিকভ্রান্ত নদী,
কিশোর বৃক্ষের পাতায় বাউলি বাতাস।
তারা পরস্পর কথা কয় আর-
একদল রাস্তা সেইসব শুনতে থাকে...
তারা মনে করে-
ইতিহাস থিকা কিছু প্লেটোনিক পক্ষী আইসা-
এই বুঝি বসলো তাদের-
মাথায়-ঘাড়ে কিংবা বুকের খাঁজে।
রাস্তাগুলো তখন নিশ্চিত হয়,
এরা প্রত্যেকেই একেকটা পতিত বৃক্ষ;
পরাবাস্তব ডানার ঘোর কাটে নাই আজও।
১২.০৬.১৬
এই বুঝি বসলো তাদের-
মাথায়-ঘাড়ে কিংবা বুকের খাঁজে।
রাস্তাগুলো তখন নিশ্চিত হয়,
এরা প্রত্যেকেই একেকটা পতিত বৃক্ষ;
পরাবাস্তব ডানার ঘোর কাটে নাই আজও।
১২.০৬.১৬
আগ্রাস
এতোটা আঁধার,
এতোটা নৈঃশব্দ,
ছড়িয়ে যাচ্ছে-
আমার ঘরে
বারান্দায়
নক্ষত্র থেকে নক্ষত্রে...
আমি দেখছিনা কিছুই।
এতোটা আঁধার,
এতোটা নৈঃশব্দ,
ছড়িয়ে যাচ্ছে-
আমার ঘরে
বারান্দায়
নক্ষত্র থেকে নক্ষত্রে...
আমি দেখছিনা কিছুই।
একটা বোবাবৃষ্টি,
ক্রমশ শীতল করছে আমায়,
আর আমার
অন্তরআত্মা-
তার পতনের আঘাতে
ক্ষতবিক্ষত...
অথচ তাকে শুনতে পাচ্ছিনা।
কিভাবে ফাটছে এমন
রক্তজবা!
কতোটা সবুজ খুবলে খাচ্ছে
থকথকে ইঁদুর!
বুকের জমিনে উদ্ধত বাইসন
তেড়ে আসছে তীব্র...
আমার শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
দূরে কোথাও
উপ্রে যাচ্ছে পাহাড়
এখানে
ডুবে যাচ্ছে নগর
সমুদ্র স্বর্বগ্রাসী-
আমাকে টানছে এমন!
আমি ঘুমোতে পারিনা।
৪.০৭.১৬
__________________________________________________
No comments:
Post a Comment