নয় দরজার নদী
তোমার সঙ্গে দেখা হয়েছিলো নয় বছর
আগে
এই নয় বছরে নয়-দরজার-নদী তৈরী করেছি
তুমি কি এক বার সময় করে আসবে
জলের জানালাগুলো লাগিয়ে দিয়ে যাবে!
০২.
সময় পেরিয়ে যাচ্ছে ছিপছিপে এক
মাতামুহুরী নদী...
নদী পেরিয়ে যাচ্ছে সময়
হাতের নীলবর্ণ রেখায় এ-কার ছায়া
দেখা যায়!
ছাদের উপর বৃষ্টির গুঞ্জণ থামছে
না কিছুতেই
তানপুরার হৃৎপিণ্ডে আঙুল ফেটে গেলে
বুঝতে পারি না
এ-কান্না উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের নাকি
মাতামুহুরীর?
ঘরের জানালা কিছুতেই বন্ধ হয় না
আমাদের জানালায় আটকে রয়েছে নদীর
দরজা।
০৩.
চাঁদের শরীর থেকে বের হচ্ছে ধূয়া
ও শিশির
দুই হাজার বছর আগেকার রাত ছাই হবে
দুই হাজার সতেরো সালে
দু'চোখের অন্ধ ছায়া উড়ে যাচ্ছে
অন্ধকারে
পাখিরা নৌকা চালায় বাতাসের নদে
নিঃশ্বাস ফেটে যাচ্ছে ধীরে
গাছের
মানুষের…
ফাটা-নিঃশ্বাসে তুমি কি একবারও আত্মহত্যা
করতে আসবে না!
০৪.
বিষ পান করছি না কি বিষের নি:শ্বাস
নিচ্ছি
পান করছি পরমায়ু
প্রজাপতির ডানা লাগিয়ে দিয়েছি
ধীরে চলো
ধীরে চলো
নিমাই সন্ন্যাসীর গ্রাম যে বহু দূর
ঐ দূরত্বে
নিভে যাচ্ছে অতলান্ত এক আত্মার ছায়া...
০৫.
কে যেনো আমার কণ্ঠস্বর থেকে
নিদ্রাতুর কিছু শব্দ লুণ্ঠন করে
নিয়ে যায় নিধুয়া পাথারে
অতঃপর কাচের করাত দিয়ে শব্দগুলো
কুচি কুচি করে ভাসিয়ে দেয়
আড়িয়ালখাঁ'র বুকে
ভাসে গলাকাটা নদী
ভাসে গলাকাটা নক্ষত্র
শকুনের ডানায় চিৎকার ভাসে জল ও
স্থলভূমে...
মৃত্যুর গন্ধ চৌদিকে
দূরে যাই
দূরে যাই
পৃথিবীর কোনো এক রান্নাঘরে আলু-পটল
কাটতে ভুলে যাই
আমি আমাকে কেটে ফেলতে ভুল করি না
ওহ পাখি, পরমাত্মা...
______________________
No comments:
Post a Comment