কোথায় কি!

22 August 2017

সুদীপ সিনহা




তুমি পারলে?
পারলে তুমি পারলে?
এভাবেই হাত ছাড়লে?
অবাক আমি ,অবাক ভাবে দেখি
স্বপ্ন নাকি সত্যি আমার একি!
যে মূর্তি তব গড়েছিলাম মনে,
সব চুরমার এক মূহূর্ত ক্ষণে
এভাবেও তবে চলে যাওয়া যায়
মুহুর্তে আর অনায়াসে অবলীলায়
তাহলে সবটা নিছক গল্প ছিল,
সময় কাটানো জীবন কল্প ছিল
যে মূর্তি ছিল গভীর মনের কোলে,
ধুলায় ফেলে পায়েই দিলে দলে--
হটাৎ সেদিন মুখটা ফিরিয়ে নিলে,
কি করে তুমি এমনতর হলে?
ভেবেছি তো আমি পৃথিবীর মরূপথে,
সবুজ কোনো গাছ আছে তবু সাথে
এভাবেই কিছু শান্তি ছিল কি ছলে,
মুহূর্তে তুমি সবই ছিনিয়ে নিলে,
পারলে তুমি পারলে!

হলদিয়া বাড়ি-///


আমরা ঘুরছি
আমার ঘুরছি ভীষণ রকম বৃত্তে
যার যার শ্রেণী তার তার মতো ঘুরতে।
ঘুরছি কেহ আড়ম্বরের জলসা
কারোর বৃত্ত গুড় জল আর মালসা।
কেহ খোঁজে তার স্টাইল স্টেটাস
কারো শ্রেণী হলো উদাস হতাশ।
কারো কাছে শ্রেণী নিজের মতোই
নোংরামি আর বুকের ক্ষতই।
কারো শ্রেণী হায় মেক আপে ঢাকা
সকল কর্মে তার ভুরু বাঁকা।
কেউ কেউ হায় শিক্ষার ভারে
মানবিকতার সব ভুলে ভরে।
কেউ বা সরল,কেউ বা তরল
কেউ বা এযুগে ভীষণ অচল।
সুট বুট টাই ফ্যাশন শাড়ি
পরলে তবেই বৃত্তেতে ধরি।
গন্ডি কেটেছি আমি নিজে নিজে
অন্য ছোঁয়ায় যাব না কি ভিজে।
ওরা অচ্ছুৎ গরিব গোবরা,
ওদের সঙ্গে মিশবো আমরা।
ওরা সব চোর ডাকাতের দল
পরছে। মুখোশ রঙ এর বদল।
ওদের সঙ্গে মেশো নাকি তুমি।
সব মুছে দাও ওরা কম দামি।
তার পরে ফের হাতে হাত রাখা
বদলাবে নাকি বৃত্তের চাকা।
দেখো দেখো সব গরীব নোংরা
ওদের সঙ্গে মিশছো তোমরা।
ওরা সব যেনো কুলি বা মজুর,
কেরানি কিংবা পিয়নের সুর।
আমরা সবাই এ গ্রেড ধরি,
বলো কি করে মেলামেশা করি।
চোখ ও কানের মাথা খেলে নাকি,
তাইতো আমরা এত সরে থাকি।
আমাদের যাহা সবকিছু সেরা,
ওরাও করছে দেখাচ্ছি দাঁড়া।
নিচু শ্রেণী হয়ে এত কি সাহস
আমাদের নিয়ে করা উপহাস।
এই দেখ এই লোকটা পাগল
শ্রেণীতে উঠবে আচ্ছা ছাগল।
অনুকরণ কে চুরি বলে এরা
তার পরে হায় হাতে হাত ধরা।
এরা নিন্দুক আপন বৃত্তে
নগ্ন কথায় নগ্ন নৃত্যে।
এরাই আবার শিক্ষিত রাজ
বদলানো কথা বদলানো সাজ।
নগ্ন মনেতে একি কারুকাজ,
যত দেখি তার তত পাই লাজ।
এদের গন্ডি ভাঙো গো তোমরা
এরা সমাজের হোমরা-চোমরা।
এগিয়ে এরা যাচ্ছে ঠিক ই,
আমাদের গায়ে পা টা রেখেই।
আমরা হেথায় ভ্যাবাচ্যাকা খাই
কিছু না বুঝে মাথা কামড়াই।
গালাগালি দিলে চোখ বুজে খাই
এটাই প্রসাদ মনে ভাবি তাই।
মনে পড়ে গেলো কুলি ও মজুর
নজরুল লিখে ছিলো।
এই সব উঁচু শ্রেণীদেবতারা
মনে করিয়ে দিলো।
তোমরা আছো কি আমার সঙ্গে
বন্ধু পরম প্রিয়,
আমার কান্না তোমাদের চোখে
একটু লাগিয়ে নিও।
অগ্রগতি তে মানবিক মন
ঘুচে যাক সব শ্রেণী।
তোমার কণ্ঠে আমার কণ্ঠে
হৃদয়ের আগমনী।

রাধামনী





No comments:

Post a Comment