চোখ ত্যাড়া
মহাত্মা
গান্ধী করেছিলেন তেরো বছর বয়সে, শেখ মুজিবকেও
আঠারোতে
বিয়ের পিঁড়িতে
বসতে
হয়। আর রবিঠাকুর...?
সে যুগের সবাই কমবেশি
মুকুল
ধরতে না ধরতেই বয়সী বকুল।
দাদারা
ভারি কাচের চশমায় পড়তেন সংবাদপত্র। কোথাও
ধর্ষণ
নেই, শব্দটা অভিধানে ছিল না নাকি...!
বউকে
কুপিয়ে তিনারা এতটাই
ঘেমে
যেতেন যে ধর্ষণ করার সুযোগই জোটেনি ঘর্মাক্ত কপালে।
গোলাম
সারওয়ার, এ যুগের বিচক্ষণ সম্পাদক, অনিচ্ছা সত্ত্বেও
লাল
কালির শিরোনামে ছাপা হয় একটি মেয়ের শ্লীলতাহরণ
তার
দৈনিকে প্রায় প্রতিদিন।
উনত্রিশে
আমাদের লেখাপড়ায় ইতি, ত্রিশে চাকরির সন্ধানে জুতো ক্ষয়
তেত্রিশে
বিবাহ বন্ধন-এই বিশাল সময়ের আনাচে-কানাচে কদাচিৎ ধর্ষণ
অস্বাভাবিক
কিছু তো নয়।
ভুলে
গেলে চলবে না, সে যুগের তিনাদের মতো
নাভীর
নিচের পশম এ যুগেও তেরো-চৌদ্দতে গজায়।
সংবাদপত্র
হাতে নিয়ে চায়ের কাপে
ঠোঁট
ডুবিয়ে সহকর্মীর দিকে চোখ ত্যাড়া করেন
সরকারি
কাচারির দ্বিতীয় শ্রেণির চাকুরে নিরঞ্জন-
করতে
গেলে বেড়ে যেতেই পারে ধর্ষণ।”
যোগ্য উত্তর
‘তোমার চোখ এতো ডাগর কেন?’
‘স্বর্ণ দিনের স্বপ্নঠাসা দুচোখ
জুড়ে।’
‘তোমার বুকের পাঁজর বিশাল কেন?’
‘সঞ্চয়েছি স্বদেশ প্রীতি থরেথরে।’
‘তোমার আঙুল এমন রুক্ষ কেন?’
‘ছদ্মবেশীর মুখোশ ছেঁড়ার
আক্রোশে।’
‘তোমার পায়ের গতি তীব্র কেন?’
‘অত্যাচারীর পতন দেখে থামবে সে।’
No comments:
Post a Comment