নড়বড়ে অভিমান
হাসিতে তার মিষ্টতা বড়ো, পিঁপড়েরা চেটে খাবে
কথার খোঁচায় এমনই জোর, যমদূতও মরে যাবে
এমন পুরুষ সাত জনমে দেখিনি তো আগে
তবু তাকে কেন যে আমার এত্তো ভালো লাগে!!
চার দেয়ালে বন্দি আছি বেদের বাক্সে সাপ।
পুতুল নাচের পুতুল- নাকি বাজিকরের বানর...!
তার ইশারায় নাচি কেবল একের পর এক ধাপ।
আমার তো নেই অভিমান করে ঠোঁট ফোলানোর বয়স
সম্পর্কের ভাঙা সাঁকোটাকে মিলেমিশে তাই গড়ি
এক ফুৎকারে উড়ানো যায় যে সংসারের ভীত
সে সংসারের নড়বড়ে খুঁটি শক্ত হাতে ধরি।
অভিশাপ
গোলাপেরা ঝরে যায়, গাছটা থেকে যায় অমর।
আকাশে বাতাসে নিত্য আলোর চলাচল
আমার গালে কড়া থাপ্পড় মেরে বল তুই বল-
তোর কাছে যতই চেয়েছি সুখ, কেন বেধেছে সমর!
আমার দু’চোখ কেন ভরে যায় লোনা অশ্রুর বন্যায়
তোকে আমি দেবী ভেবে করেছি কি অন্যায়...!
বুকের ভেতর বাসা বাঁধে আবেগ, গভীর আবেগ
ব"ষ্টি ঝরে গেলে মনে হয় ছায়া রেখে উড়ে
গেছে মেঘ।
বিশ্বাসের চারাগাছ ডালপালা গজিয়ে করছিল ছায়ার
বিস্তার
তুই তার শিকড় উপড়ে দিলি গহিন মাটির হৃদয় থেকে
যার প্রতি আত্মার টান নেই তাকে জোর করে যায়
না আটকে রাখা
তোকে আমি মুক্তি দিলাম, যারে যা, উড়ে যা...
পিঞ্জিরা রেখে।
যে ধনাঢ্য করে না দান তাকে অভিশাপ দেয় ভিক্ষুক
আমাকে দিলি না ভালোবাসা, ভালোবাসা বিহনে তোর
সর্বস্ব ভস্ম হোক।