কেমন জানি পেট পোড়ে গো...
কী দারুণ ঘুম ঘুম ভোর, কুয়াশা, শিশির, মিষ্টি রোদ
কী দারুণ ঘুম ঘুম ভোর, কুয়াশা, শিশির, মিষ্টি রোদ
প্রিয়
কাপে চায়ের হালকা লিকার—
পাহাড়ি মেঘের গা ছুঁয়ে আসা বাতাসে
মন খারাপের মিশাদ
সবকিছুতেই কেমন একটা সুখলাগা পাই
তবু আমার কেমন জানি পেট পোড়ে গো
আমি ঠিক আজও এসব বুঝতে শিখি নাই
হাওড়ে হাজার মীন, পথের পাশে ভাঁটফুল
ঝুপ করে বৃষ্টি নামে, ভাসে মনে সাতকুল
আসমানে দেখি জাদুর প্রদীপ কেবলই জ্বলে
সময়ে অসময়ে আহা সত্য—মিথ্যার ছলে
এসব কথা নিজের মনে নিজেই তো লুকাই
তবু আমার কেমন জানি পেট পোড়ে গো
আমি ঠিক আজও এসব বুঝতে শিখি নাই।
পাহাড়ি মেঘের গা ছুঁয়ে আসা বাতাসে
মন খারাপের মিশাদ
সবকিছুতেই কেমন একটা সুখলাগা পাই
তবু আমার কেমন জানি পেট পোড়ে গো
আমি ঠিক আজও এসব বুঝতে শিখি নাই
হাওড়ে হাজার মীন, পথের পাশে ভাঁটফুল
ঝুপ করে বৃষ্টি নামে, ভাসে মনে সাতকুল
আসমানে দেখি জাদুর প্রদীপ কেবলই জ্বলে
সময়ে অসময়ে আহা সত্য—মিথ্যার ছলে
এসব কথা নিজের মনে নিজেই তো লুকাই
তবু আমার কেমন জানি পেট পোড়ে গো
আমি ঠিক আজও এসব বুঝতে শিখি নাই।
ছানিপড়া চোখ কাজল পরা চোখ
ধবধবে শাদা চুলে আমাকে দেখতে তোমার ভালো লাগবে—আমি জানি
একটিও দাঁত যখন আর অবশিষ্ট থাকবে না, আমি এমনই উচ্ছ্বাসে ফোকলা হাসব
সেই হাসিটুকু দেখে তোমার চোখে মায়ার মেঘ জমবে—
ছানিপড়া চোখে কাজল পরতে যদি
কখনও ভুলে যাই সে সময়ের অষ্টাশি আমি
তুমিই মনে করিয়ে দেবে
শাড়ির কুচিগুলো গুছিয়ে দেবে
গোলাপি রং নেলপলিশ পরিয়ে দেবে শাদা নখে
ব্লাউজের পেছনের বাইন্ডিং ফিতা সযত্নে জড়িয়ে দেবে আমার পিঠে, জানি
তখনও প্রতিদিন বিকালে আমি চা করব
স্বচ্ছ কাচের মগে তুমি আয়েশ করে চুমুক দেবে
কাজের ফাঁকে তুমি
ঠিক আমার হেঁটে যাওয়া খেয়াল করবে
তোমার পড়ার টেবিলের চারপাশে ঘুরঘুর করার অভ্যাসটা আমার রয়েই যাবে অবিকল
নইলে তুমি কিছু লিখতে পারবে না, জানি তো
তখনও প্রতিরাতে তোমার বুকে সেই আমিও প্রশান্তির ঘুমে তলিয়ে যাব,
আমি জানি—
ধবধবে শাদা চুলে আমাকে দেখতে তোমার ভালো লাগবে—আমি জানি
একটিও দাঁত যখন আর অবশিষ্ট থাকবে না, আমি এমনই উচ্ছ্বাসে ফোকলা হাসব
সেই হাসিটুকু দেখে তোমার চোখে মায়ার মেঘ জমবে—
ছানিপড়া চোখে কাজল পরতে যদি
কখনও ভুলে যাই সে সময়ের অষ্টাশি আমি
তুমিই মনে করিয়ে দেবে
শাড়ির কুচিগুলো গুছিয়ে দেবে
গোলাপি রং নেলপলিশ পরিয়ে দেবে শাদা নখে
ব্লাউজের পেছনের বাইন্ডিং ফিতা সযত্নে জড়িয়ে দেবে আমার পিঠে, জানি
তখনও প্রতিদিন বিকালে আমি চা করব
স্বচ্ছ কাচের মগে তুমি আয়েশ করে চুমুক দেবে
কাজের ফাঁকে তুমি
ঠিক আমার হেঁটে যাওয়া খেয়াল করবে
তোমার পড়ার টেবিলের চারপাশে ঘুরঘুর করার অভ্যাসটা আমার রয়েই যাবে অবিকল
নইলে তুমি কিছু লিখতে পারবে না, জানি তো
তখনও প্রতিরাতে তোমার বুকে সেই আমিও প্রশান্তির ঘুমে তলিয়ে যাব,
আমি জানি—
বেহুলা
বেহুলার কম্পিত দুই হাতে জড়িয়ে থাকে লখিন্দর
যেন লোহার বাসর নয়, এই নিবিড় রাতে তারা কোনো এক বটমূলে বসে আছে, গল্পে বিভোর—
যে গল্পের কোনো কাহিনি নেই
সবই জীবনের ছাঁচে ঘটে যাওয়া
নিছক জীবনাচার—
বেহুলার দীঘল চুল মেঝেতে লুটিয়ে
নিজের অজান্তেই তখন
মনসা দেবীর ঈর্ষার সাথে একাত্ম হয়
তার চোখের ঘন পাপড়ি
দুই চোখকে ঘুম ভুলিয়ে রাখে
তার রূপ লখিন্দরকে ভুলিয়ে রাখে সব
বেহুলার কম্পিত দুই হাতে জড়িয়ে থাকে লখিন্দর
যেন লোহার বাসর নয়, এই নিবিড় রাতে তারা কোনো এক বটমূলে বসে আছে, গল্পে বিভোর—
যে গল্পের কোনো কাহিনি নেই
সবই জীবনের ছাঁচে ঘটে যাওয়া
নিছক জীবনাচার—
বেহুলার দীঘল চুল মেঝেতে লুটিয়ে
নিজের অজান্তেই তখন
মনসা দেবীর ঈর্ষার সাথে একাত্ম হয়
তার চোখের ঘন পাপড়ি
দুই চোখকে ঘুম ভুলিয়ে রাখে
তার রূপ লখিন্দরকে ভুলিয়ে রাখে সব
করে
দেয় হিতাহিত জ্ঞানশূন্য প্রেমিক—
বেহুলার দীঘল চুল মেঝেতে লুটিয়ে
রাতের অন্ধকারের সাথে একাত্ম হয়।
বেহুলার দীঘল চুল মেঝেতে লুটিয়ে
রাতের অন্ধকারের সাথে একাত্ম হয়।
প্যারাডক্স
যদি কখনও আনন্দ তোমাকে ছেড়ে যায়
তুমি তাকে ভুল বুঝো না প্লিজ
আস্থা রেখো, সে তোমার মনজুড়ে
ফিরবে আবার—
বিশ্বাস না রাখলে বন্ধুত্ব কী হয় বলো!
বেদনাকেও তুমি দোহার নিতে পারো
হাওরের গানে ভিজতে পারো দিনমান
বেদনার নীল রঙে, ভালোবেসে
জড়াতেও পারো নিজেকে—
কে না জানে!
দূরত্ব বাড়লে বেড়ে যায় হৃদয়ের টান।
যেটুকু বেদনা তোমার, সেটুকু না থাকলে
তুমি এমন সুখী হতে পারতে না
No comments:
Post a Comment