কেরানী ও জ্বর
চেয়েছিলাম উথালপাতাল হবে,
উত্তাপে পুড়ে যাবে আদরের শরীর।
ভেবেছিলাম খুব তেজী হবে—
ঢালাই মেশিনের সবটুকু শক্তি নিংড়ে ওলটপালট করে দেবে।
খুব রাজকীয় ভাবে না হলেও জ্বরটা এলো অবশেষে।
এলো ভিখারির মত মলিন মাথাব্যথা আর—
উত্তাপে পুড়ে যাবে আদরের শরীর।
ভেবেছিলাম খুব তেজী হবে—
ঢালাই মেশিনের সবটুকু শক্তি নিংড়ে ওলটপালট করে দেবে।
খুব রাজকীয় ভাবে না হলেও জ্বরটা এলো অবশেষে।
এলো ভিখারির মত মলিন মাথাব্যথা আর—
বেকার
হতাশ প্রৌঢ়ের মত গা ম্যাজ ম্যাজ সাথে নিয়ে।
তবু আমি খুশি, দুটো দিন ছুটি পাওয়া যাবে
অনিচ্ছুক বাধ্যতামূলক এই বন্দিজীবনে স্বেচ্ছাবন্দী হয়ে
তবু আমি খুশি, দুটো দিন ছুটি পাওয়া যাবে
অনিচ্ছুক বাধ্যতামূলক এই বন্দিজীবনে স্বেচ্ছাবন্দী হয়ে
দুটো
দিন মুক্তি পাবার আশায় একটু জ্বরের প্রার্থনা ছাড়া
একজন
ভীতু স্বপ্নভুক কেরানী আর কিইবা করতে পারে।
বৃষ্টি ভালোবাসে সে, ভেজে অনেক্ষণ,
রোদ ভালোবাসে, গায়ে মাখে খুব করে,
তাতে যদি একটু জ্বর আসে।
তাতে যদি একটু ছুটি মেলে।
বৃষ্টি ভালোবাসে সে, ভেজে অনেক্ষণ,
রোদ ভালোবাসে, গায়ে মাখে খুব করে,
তাতে যদি একটু জ্বর আসে।
তাতে যদি একটু ছুটি মেলে।
খুব নন রোমান্টিক নয়
অকপট হতে পারি আমরাও,
কিন্তু জানো কি, খুব বেশি জোরালো আলো
দিয়ে চোখ ধাঁধানোর চেয়ে আমরা বরং মিটিমিটি হাসি, জোনাকির
মত, দূরের তারার মত, জহির মাঝির
বউ মোমের যে আলোয় নাকের নোলকের দুলুনির ছায়া নাচায় সেই আলোর মত, কিংবা ধরো— ওই সেই কিশোরীর মত যে কিনা
তার সদ্য ফেলে আসা ছোট্ট ফ্রক মনের ভুলে পড়ে ফেললে, যে সংকোচ আনন্দে আয়নার সামনে
দাড়িয়ে কল্পিত কোন যুবকের নজর নিজ শরীরের উপর অনুভব করে শিহরিত হয়....তার মত হয়ত
ভাবতে আমাদের ভালো লাগে। এই ভালোলাগাটুকু খুব নন রোম্যান্টিক নয় নিশ্চয়....
কেমন মিহি হয়ে যায়
আকাশে চাঁদ উঠলে মানুষ তাকিয়ে দ্যাখে।
কি দ্যাখে? আলো?
নাকি নিজের অক্ষমতার আঁধারে হাতরায় আফসোসের কালো কালো অসুখী দাগ?
চাঁদের বুড়ি মরে গেছে শুনে কাঁদতে গিয়ে ওরা কেউ কেউ জেনে গেল
কি দ্যাখে? আলো?
নাকি নিজের অক্ষমতার আঁধারে হাতরায় আফসোসের কালো কালো অসুখী দাগ?
চাঁদের বুড়ি মরে গেছে শুনে কাঁদতে গিয়ে ওরা কেউ কেউ জেনে গেল
বুড়ীর চরকাটা গান্ধীবাবা ধার নিয়েছিলেন— রানী এলিজাবেথের গাউন
বানাবেন বলে।
ওরা জানতে চাইল,
মৌমাছি কি হুল দিয়ে মধু চাখে কখনও?
জানি বলবে রাজনীতির পশমী স্পর্শ তোমাকে তাড়িত করে পিপঁড়ের মত।
তবে চল ওই কিশোরের কথা শুনি,
যার বয়ঃসন্ধি জ্বরের ঘুম ঘুম আবেশে উন্মাতাল হয়ে বেলি ফুটলো অকারণে।
কিংবা চল দেখি বুলা মাসি কেন বিশ বছরের বিধবা শরীরে খুঁজে পায় অনাঘ্রাতা অনুভব।
নাকি তাকিয়ে দেখবে একবার আকাশ,
যে আকাশ বন্ধ ছিল ঘুণে ধরা জানালায়।
চাঁদের আকাশ,
আকাশের চাঁদ,
সব কেমন মিহি হয়ে যায়...
ওরা জানতে চাইল,
মৌমাছি কি হুল দিয়ে মধু চাখে কখনও?
জানি বলবে রাজনীতির পশমী স্পর্শ তোমাকে তাড়িত করে পিপঁড়ের মত।
তবে চল ওই কিশোরের কথা শুনি,
যার বয়ঃসন্ধি জ্বরের ঘুম ঘুম আবেশে উন্মাতাল হয়ে বেলি ফুটলো অকারণে।
কিংবা চল দেখি বুলা মাসি কেন বিশ বছরের বিধবা শরীরে খুঁজে পায় অনাঘ্রাতা অনুভব।
নাকি তাকিয়ে দেখবে একবার আকাশ,
যে আকাশ বন্ধ ছিল ঘুণে ধরা জানালায়।
চাঁদের আকাশ,
আকাশের চাঁদ,
সব কেমন মিহি হয়ে যায়...
তুমি জানো
স্টকহোমের
সবচেয়ে উঁচু দালানটির ছাদে আমরা।
তুমি বেলুন গ্লাসের মার্গারিটা চুমুক দিয়ে জিজ্ঞেস করলে,
'কতটা ক্ষুধা জমে গেলে পূর্ণিমার চাঁদ ঝলসানো রুটির মতন লাগে?'
তোমার প্রশ্ন শুনে পশ্চিমে তাকিয়ে দেখতে পেলাম, একটা বড় রাজহাঁসের ডিমের কুসুম ডুবে যাচ্ছে।
আর আকাশের অনেকটা জুড়ে স্ট্রবেরি আইস্ক্রিম ঝুলে আছে।
উত্তরে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়লাম, 'ক্ষুধা কি জিনিস তা’কি তুমি জানো?'
তুমি বেলুন গ্লাসের মার্গারিটা চুমুক দিয়ে জিজ্ঞেস করলে,
'কতটা ক্ষুধা জমে গেলে পূর্ণিমার চাঁদ ঝলসানো রুটির মতন লাগে?'
তোমার প্রশ্ন শুনে পশ্চিমে তাকিয়ে দেখতে পেলাম, একটা বড় রাজহাঁসের ডিমের কুসুম ডুবে যাচ্ছে।
আর আকাশের অনেকটা জুড়ে স্ট্রবেরি আইস্ক্রিম ঝুলে আছে।
উত্তরে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়লাম, 'ক্ষুধা কি জিনিস তা’কি তুমি জানো?'
No comments:
Post a Comment