কুয়াশার চাদরে জবুথবু শিউলির উচ্ছ্বাসিত উঠোন।স্নিগ্ধ বিস্ফোরণ শুভ্র সৌন্দর্যের গ্যালারী এঁকে যায় চোখে।যেন মিষ্টি রোদ,দূর্বাঘাস,বিন্দু জল,ধানসিঁড়ির ক্ষেত একেকটি অ্যাপ্লিকেশন হয়ে আঁচল ছড়িয়ে আছে।চড়ুই পাখির মতন কুয়াশা উড়ে উড়ে স্নানার্থীনি করে তোলে ঠোঁট।জমতে থাকে বরফের মতন ঘোর।মাঝে মাঝে দেয়াল টপকে রোদ এসে ব্যবচ্ছেদ করে দিয়ে যায় আমার ঘর।রথের চাকার মতন দুলতে থাকি এপাশ ওপাশ।ভুলে বসি সব কারফিউ, ফরমালিটির আস্তাকুঁড়ে স্বভাব,ফুটপাত,জানালার বাইরে হা করে থাকা সূর্য,যে কিনা সমস্ত দিন গিলে খায়।মুহূর্তেই লুফে নেয় বিকেল সুখ।শীতের কোলে গোধূলি বিলিয়ে নিয়ে আসে ঝাউবনের তরুণ আধার…
মাঝে মাঝে ভিজে যায় সমুদ্র চৌকাটে।শীতের সেলুনে সমূহ রাত ঘুঙুর পায়ে আমি দেখি মাতাল মেঘ গায়ে মেখে দু-হাত টইটুম্বর পূর্ণিমা।আলোকরশ্মি ছিটকে আসে করিডোরে,এক এক চোখে একটি আকাশ যেন সহস্র ভাগে বিভক্ত।স্রোতের শীত লতায় ফিনকি দিয়ে উঠে মানুষের হলুদ খামের স্বপ্ন।সহস্র নিঃশ্বাস,মাছরাঙা সব সুখ,বালিশের নিচে পড়ে থাকা যতিচিহ্ন,এক একটি দিনের মৃত্যুদণ্ড গল্প নিয়ে সটান করে আবছায়া হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে চাঁদ।মাঝে মাঝে রাতের বুকে গনগনে মোমের ফুলকি এসে পূর্ণচ্ছেদ করে যায় আমার কবিতা।চোখের রেটিনা ঘেঁষে জন্ম নেয় আঁধারের স্থাপত্যকলা। ভালোমানুষি ট্রাডিশন ভুলে হয়ে উঠি প্রাণপণে আমি।লিখে রাখি শীতরাতের উপকথা।আমার মাঝে বয়ে যাওয়া বিষুবরেখায় চন্দ্রিমার ঘোরকথা। নিশিরঙে রাঙিয়ে থাকা ফুটপাত, টিনচালের ঘর,শহুরে বারান্দা,গাড়ির ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দ,ইলেকট্রিকের দোলনায় বসে অজস্র বাতির আলোকছটা কিভাবে তীব্র আঁধার মলিন করে মানুষ জাগিয়ে রাখে!
মায়াবতী ফড়িঙের জোনাকি প্রেম। শব্দমইয়ে সাজিয়ে তুলি জলপাই রঙা পৃষ্ঠার চুমু,এঘর থেকে ওঘরে।লিখে রাখি আত্মশুদ্ধির নীলনকশায় জুতোর ছাপ চলে যাওয়া এক বলয় থেকে অন্য বলয়ে।ভেসে আসা অরগ্যানের সুরে ক্ষয়ে যাওয়া শীতরাতের অটোগ্রাফের গল্প...
No comments:
Post a Comment