পিরিতির নজির
পিরিতের নজির চাও নাগর?
হাট থেইকা কিনা দেওয়া তাজা ফুলের মালা
রাইখা দিছি যতন কইরা-
পিরিত কি আর বাসি অয় নাগর
তাজা ফুলের লাহান?
হাত ভরা লাল রেশমি চুড়ি-
টুনটুনাইয়া পরানে তোমার ঢেউ উঠায়-
নাগর, পরাণ কান্দে আর কান্দে!
ঠোঁটের মইধ্যে ঠোঁট রাখছিলাম-
খামছাইয়া ধরছিলাম বুক;
অভাবীর ঘরে পিরিত আইল হাভাইত্তার লাহান,
ভর দুপুরের সুরুজের তাপের পিরিত দিলাম,
অহন ঝরা পাতার লাহান মড়মড়াইয়া ওঠে পরাণ আমার;
কান্দে পরাণ,কান্দে চক্ষু ওম লাগেনা গতরে;
কইছিলা লইয়া যাইবা-সেই যে গেলা-
আর খবর নিলা না, নাগর!
গতরের উজান বাইয়া পিরিতির বান আসিছে-
পরাণে জাগে ছলাৎ ছলাৎ, উথলি-পাথালি
ঢেউ;
মন পবনের নাও ভাসাইছি গাঙ্গের জলে;
যইবনের রঙ্গ মুইছা যায়-অন্তর জইলা যইবন হয়
খাক-
অহন পায়ের আলতায় মনে আর রঙ্গ ধরেনা;
নাগর, তুমি ক্যান আইলানা?
অপেক্ষার কষ্ট
কি করে সব কিছু পাল্টায়, চেয়ে চেয়ে দেখে যাই শুধু-
নীড়ে বসে আনমনে...সময় ঝিমিয়ে থাকে যেন;
ফুলের সুবাস,
পাতার রঙ আকুল করেনা আগের মতন-
রাত পাখির ডানা ঝাপটানোর শব্দ
নিঝুম রাতে ঝুর ঝুর তুষার পাত,
হাডসনের কুল কুল বয়ে যাওয়ার ধ্বনি-আগ্রহ নিয়ে শুনি;
প্রতিবেশীর আদরের কুকুরটি কেঁদে উঠে...একাকি কি?
মৃত্যুর রঙ খুব ভাবায় আজকাল-
কেমন হয়...?
কাল?
ধূসর?
সাদা?
নাকি নীল?
নষ্ট কষ্ট গুলো নীল করে দেয়-
মরনের রঙ ও কি নীল?
একাকীত্বের কষ্ট কি মরনের সমান...?
হবে হয়ত!
অনুভবে জড়িয়ে বহুদূর থেকে ফিসফিসিয়ে বলেছিলে,
চল...বৃষ্টি নামাই,
পাগলি!
তোমার সেই অদৃশ্য ভালবাসার স্পর্শ-
অন্তরে গচ্ছিত রেখেছি অমূল্য সম্পদ করে!
আজ গভীর অমানিশায় নিজের অস্তিত্বে কাটাকুটি খেলি-
শরতের রোদেলা সকালে তোমার হাত থেকে একমুঠো শিউলি,
খুব ভালোবেসে নেওয়ার অপেক্ষায়
...তুলে
দেবে তো...অনি?
No comments:
Post a Comment