প্রস্থান পর্ব: ১
হিম
বাতাসের গায়ে কাঁটা দেয়া ঘ্রাণ। সকালের ত্রস্ততায় তোমাকে বলিনি সেইসব অনাদি
দৃশ্যের ভিতর বাহির। আমার জানলা খোলে রেখেছে কে যেনো—দূরের ছায়াবন। শিস তোলা দোয়েলের গলায় ঠাণ্ডা মেজাজ। ছায়াবনে
ঝিরিঝিরি সুরের মূর্ছনা। আর আমি জমে জমে একাকার সেই পাখিঘুম, সেই পাতাগানের কৌলীন্যের ভিতর। শীতের তীব্রতা ভেঙে যাচ্ছে
কৌলীন্যের গহিন থেকে।
দূরে, ছায়াবনের ফাঁকে দোয়েলের মগ্ন শিসের ভিতর কে যেনো হারানো
দিনের সিম্ফোনি গলায় তুলছে একা একা আমি তার রাখিনি খবর।
প্রস্থান পর্ব: ২
প্রত্মদিনের
ভাঁজে হারিয়ে গেছে তোমার নাকফুল। বাতায়নে বসে তুমি হারিয়েছো কাজরের রঙ। ঘাতক সময়ের
কাছে জমা রেখেছি আমাদের অস্ত্রবিদ্যার সকল চাতুরী। চষ্ণুতে অনাগত দিনের ভাবনা নিয়ে
চড়ুঁইয়ের প্রস্থান। আমাদের সন্তানেরা দিনে দিনে থিওসফিস্ট হচ্ছে। স্টেথোস্কোপের
মাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে ঊর্ধ্বগতিতে। তুমি কি মনে করতে পারো তোমার নাকফুলের নকশা
কিংবা কাজরের গভীরে বেদনার অভিমানী চোখ।
কোথায়ও
আমাদের যুগলবন্দি উল্লাস মনে পড়ে না, মনে পড়ে না, মনে পড়ে না।
প্রস্থান পর্ব: ৩
কৃষ্ণবিবর
কোথায় লুকিয়ে থাকে। কোনখানে বাস তোমার হে বিপ্রকর্ষ আন্ধার। আমাদের আলোহীন দিনের
শেষে তোমাকে খুঁজে পেতে চাই প্রিয়তম রাত্রি। কখনো মনে রাখিনি বৃদ্ধাশ্রমের স্মৃতিতে শোকপ্রস্থান। অন্ধকার জীবনের
উল্টোপিঠে আলোকোৎসব শেষে তোমাকে
খুঁজে পেতে চাই হে কৃষ্ণবিবর,হে অন্ধজনের
সখা।
No comments:
Post a Comment