ভাতঘুমের
চোখ ছিটকে পড়ে উঠোনের ঝুলন্ত কাপড়ে।শীত শীত ভাব টপকে পড়ে মিশে যাচ্ছে
পশ্চিমগঙ্গায়। বৃষ্টির মতন ঝরঝরে স্রোতে চুষে নিলো শরীরের সমস্ত ঘ্রাণ।যেন একটি
ব্যাংক একাউন্টে সেভিংস হচ্ছে সারাদিনের সমস্ত ক্লান্ত কর্ম। প্রতি ফোটা যেন এক এক
সঞ্চয়ী হিসাব।কড়কড়ে রোদের কোরাসে টগবগে গন্ধরাজ আঁকতে গিয়ে ভাবি,জীবনের সাথে ওই
ঝুলিয়ে দেয়া শুকনো কাপড়ের বড্ড মিল!
ওদিকে
এক পাড়ায় আজ গায়ে হলুদ।রঙে পূর্ণ সব দরজা জানালা।ওপাড়ায় আজ রাত যাবেনা...
আশ্বিনের
কোল ঘেষে বসে থাকবে সমস্ত আধার।
অথচ
দেখ অন্য পাড়ায় একটা মানুষ নাকি আর ঘুম থেকে উঠবেনা, হাঁটবেনা...কালের স্নানে ডুব
দেওয়া সত্যজলে সে পরিশুদ্ধ হওয়ার অভিপ্রায়ে গা ভাসিয়ে দিল চিরন্তনে।তাই সমূহ আঁধার হেঁটেছে আজ ওই পাড়ায়। কর্পোরেট চোখ দুটি বন্ধ করতেই দেখি জানালাটি গুটি পায়ে কাপড়ের
সাথে ভাব বিনিময় করছে...আর আকাশে উঠেছে রংধনু...
গন্তব্য
মেঘের
কলিংবেলে চাপ দিতেই, ঝমঝমিয়ে নুপূর শব্দ শুনিয়ে দিল শেষ জলটুকু। সবটুকুন ঝেড়ে ফেলে
সফেদ আকাশ নিয়ে বসে পড়ল ইস্টিশন মাস্টার। আশ্বিনের মাস, ত্রয়োদশী তিথি! শহুরে নদে
এসব নেই। বাথটাবের ছলছল স্নানের শব্দে, ডিম-পাউরুটির ব্রেকফাস্টে অমাবস্যা
পুর্ণিমার গদ্য-পদ্য সব সাঙ্গ হয়।জিন্স আর সানগ্লাসের আড়ালে লুকিয়ে থাকে হোলির
দাগ। চাঁদের বুকে জ্বালায় আতশ বাজি!
ইস্টিশন
মাস্টার পঞ্জিকা গুটিয়ে দেখে শেষ জলটুকু ঝেড়ে আজ জানালা বেশ পরিষ্কার।
নক্ষত্র
ভালো, হেটে যাওয়া যাবে বহুদুর...!
No comments:
Post a Comment