প্রাণের পরশে পিতৃভূমি
এপার বাংলা ওপার বাংলা যেন দুটি
ভাই,
সকাল সন্ধ্যা খুঁজি মোরা কোথায়
শান্তি পাই।
কলিকাতার ঝলক যেন অহংকারের খোলস,
ওপার বাংলার মাটি যেন শান্তি সুখের
কলস ।
এইভাবেতে দিন চলে যায় দিবারাত্রির
তালে,
কোথায় পাব কোথায় পাব কান্না-হাসির
দোলে।
যখন চলে এলেম ছুটে প্রাণের পরশ
নিতে,
পেয়ে গেলাম জীবনসুধা আমার সকল
চিতে ।
স্বর্গ-নরক কোথায় আছে কেউ জানে
না ভাই,
পিতৃভূমির পরশ পেয়ে ধন্য হলাম
তাই ।
জীবন যেন ধন্য হল এক ঝুড়ি ফুল
পেয়ে,
তোমার পায়ে অর্ঘ্য দিলাম ফুলগুলি
সব দিয়ে ।
এপার বাংলা কলিকাতায় এ ফুল ফোটা
নাই,
কঠিন জীবন শুষ্ক হাসি তাই পেয়েছি
ভাই।
ওপার বাংলা ভরে উঠুক নতুন ফুলে
ফলে,
বিশ্ববিধাতার নিকট আমি এই কথা যাই
বলে ।।
নারী
শুনছেন, আমি একটু হাসতে চাই
,
বাঁচতে চাই তাই ।
প্রাথমিকে বৃত্তির পর আমার পড়াশোনা
শেষ,
বেশি জানলে আমার নাকি বাড়বে
শুধু ক্লেশ।
আমার রন্ধন শিক্ষার শুরু, মা-কাকিমা
গুরু।
মানতে হবে, জানতে হবে,
তখন যে কাকির ছেলের বয়স মাত্র
শুরু ।
শুনছেন আমি একটু হাসতে চাই,
বয়স যখন ষোলো, আঃ মলো,
এমন ধিঙ্গি ঘরে থাকে, জোটে নাকো
ছেলে,
আমার ব্যাজার মুখে,এক মদ্যপ আসে
তার পাখাটি যে মেলে।
চলে গেলাম, হলাম সেথায় মা হবার
এক যন্ত্র,
ষোলোজনের ঘরে আমি যে রাঁধুনী
এক,এটাই নাকি মেয়ে হবার মহামন্ত্র।
শুনছেন আমি একটু হাসতে চাই
বাঁচতে চাই তাই।
বয়স বেড়ে আমি নাকি এখন এক যে
বুড়ি,
মায়ের কথা ভোলে ছেলে। এসব কথা
বলতে নেই যে,থুরিঃ।
পিতাহীন স্বামীহীন এক নারী, থাকি
নাকি সন্তানেরই বাড়ি ।
মায়ের কথা মেয়ের কথা বলা নাকি
পাপ ।
করুণ মুখে বলি শুধু, ‘মুখে একটু জল দিস’,আমার বাপ।
শুনছেন আমি একটু কাঁদতে চাই।
বাঁচতে না চাই আর,
এই পৃথিবী দেখে শুধু দেই “তাই তাই”।।
No comments:
Post a Comment