স্মৃতি
ঠাণ্ডা সবুজ দীঘি
শরতের বিষণ্ণ বৃষ্টি ঝরে টুপটাপ
রাঙ্গা পায়ের ঝাপটা।
রাঙ্গা পায়ের ঝাপটা
বিষণ্ণ সুখের বৈকালিক আলোড়ন
ড্রয়ারে বিস্মৃত নূপুর।
ড্রয়ারে বিস্মৃত নূপুর
সোনালী বিকেলের নির্জন নিক্বণ
তোমার আলতারাঙা পা।
তোমার আলতারাঙা পা
বিস্তর ঝরা পাতা অন্ধকার ঘাসে
নগ্ন, নমিত সময়।
মেঘে মেঘে বেলা
বায়বীয় অস্থিরতার উতল হাওয়ায়
ছিঁড়তে থাকে ঘুমের পাল
ভেঙ্গে ফেলার কয়েকদফা
চেষ্টার পরও সেই ক্ষমাহীন কাঁচের দেয়াল
কেন জেগে রয় -- এই
আমাদের, এই তোমাদের আর এই তোমার-আমার মাঝে?
তবুও ঘড়ির নিঃস্পৃহ মুখের 'পরে
নির্মোহ কাঁটা ঘুরতে থাকে সকাল দুপুর বিকেল সাঁঝে --
আর ক্ষণিকের শ্বেতাশ্বের
পিঠে চেপে যদিও সোৎসাহে -- ঘুরতে থাকে মোহ এবং ইতি-হর্ষ
সময়ের নীলাশ্ব এসে তারে ঠিক-ই
নিয়ে যায় যেখানে স্মৃতির শরৎ সতত উজ্জ্বল হয়েও বিমর্ষ।
যত দূরে সরতে থাকি পায়ে পায়ে
ঘাস, মেঘে মেঘে বেলা
তোমার আমার অবোধ ছোঁয়া, নির্মল
সুখে উথলে ওঠা -- খেলা শুধু খেলা।
অতঃপর নীলাশ্বের ধাবমান
খুরধ্বনি আবছা হয়ে এলে ছেঁড়া পাল আর ছেঁড়া ঘুমের ঘোরে
রাজকন্যের কাজল হয়ে
স্বপ্নেরা এসে ছেঁড়া পাল 'শিলি' করে নিঃশ্বাসের ভাপে মেলে
ধরে।
No comments:
Post a Comment