কোথায় কি!

20 September 2017

শ্রাবণী সিংহ



প্রেমে-অপ্রেমে রাধা
দিনের ঠিকানা কেউ রাত্রি দেয়?
অশ্রুপাতের শব্দকেও কবিতা ভাববে কেন কেউ?  
অঙ্কে কাঁচা আমি ,গাণিতিক ভুলে বুকের তিতির
নিয়ত বিদ্ধ হচ্ছে শরসমবায়ে...
অনেকদিনের স্পর্শ ভেঙ্গে দুপুর হয়,
সে সম্পর্ককে বাঁধে অন্তর্গত শেকলে ও মুক্তিতে,
আজব কুদরতি আলো জ্বলে
পিদিমে এক তারা,
আমার আর একলা থাকা হয় না ...
শুধু কলসের আত্মদহনটাই নদীর ঘাটে উহ্য পড়ে থাকে।



একটা ভালোবাসার কবিতা
অর্চার্ডের গুটিকয়েক আপেল চারা নির্জনতা
পজ হয়ে গেছে শীতকাল
যতবার নাম ধরে ডাকি , তুমি জন্মদিন খোঁজো 
বাটির পায়েসে।
৯ অগস্ট রাত
প্রতিবাদের প্রতিফলন হিসেবে চিহ্নিত কর ডুয়েট
একটা ভালোবাসার কবিতা,
নরুণের খোঁচায় প্রতিহত
চকখড়ির স্বাধীনতা
ক্ষত থেকে ক্ষতান্তরে ...
চোয়াড়ে রক্তে ভাসে
লাল গ্রানাইট

উইজাবোর্ড এবং প্রজাপতি
উইজাবোর্ড
ঘুরে বেড়াই যত্রতত্র,
নিজের ভেতর একা হওয়াটাই  বিচ্ছিন্নপথ...
একা একা জল  কেটে আরো ধারালো হয় যেমন জলবৈঠা,
অস্ত্র নয়,
নিজেকেই ভয়।
কিছু অশরীরী  প্রশ্নের উত্তরে
উইজাবোর্ডে হাত রাখি ...
এবং প্রজাপতি
একে দুইয়ে বৃষ্টি নামে, কোন ছাতিমগন্ধী  অভিমানে!
ঘাসের আশ্রয়ে যে শিশিরদানা, পড়ো পড়ো
এই আমাদের বিবেক
ছোট ছোট  অন্তক্ষরণকে ভালোবাসা বলে
চিহ্নিত কর ,
প্রেমই তো  অবলম্বন
মুঠোর চাপ আলগা হলে প্রজাপতি বসেন।

ভাদ্রের বারান্দা
নিষিদ্ধ বাতাসে এত কি কথা? বহতা অলীক ...
কাদের ফিস্‌ফাস ঘুরে যায় এ জানলা, ওঘর
ভাদ্রের বারান্দায় খড়মচিহ্ন,
মাঝেমাঝে ঈশ্বরও কলকাঠি নাড়েন
সারারাত তারস্বরে ডেকে যায় যমের কুকুর।
হিং-বোনা গন্ধ আঙ্গুলে জড়িয়ে থাকাও সুখ, বিউলির ডালে সুখ
ফোড়ন বাতাসে দুপুর নড়ে, তাল পাকা
সম্ভাব্য বৃষ্টি  আঁচ করেই  পিঁপড়েদের মানব-মিছিল..
পায়ে পায়ে উঠে আসে  খাদ্যসম্ভারে নতুন
গোবরে পোকার শব।

বিকেলের কনফেশন
বিকেলের কনফেশনে স্পর্শকাতরতা-
সবটুকু নিয়ে বলতে চাই
অথচ,
কন্ঠস্বর উধাও
এখন
বৃষ্টির পর কিছু কথা থেকে যায় ...
কিছু কথা পেকে যায়
ঝুনো নারকেলমালার মত, কুমোরপাড়ার মাটি ও দুর্বাঘাসে
পূজোর  হিম ।
দু-পেয়ে গাছগুলোই সূর্যাস্তের এলিজির অপেক্ষায়,
তুমি ফিরে যাচ্ছ একটা আত্মহত্যার কাল্পনিক পরিসমাপ্তি শেষে।
খাঁচাটাও আজব স্থির আজ,চোখের তারার মত
পাখি উড়ে গেছে
বিশ্রামটুকু তার পড়ে আছে
দুরূহ শেকলে

মেরুণ তারার ফুল
কেউ আয়াত পড়ে নির্জনে, কেউ  দোহা
শতনামে ডাকে কেঊ তাঁকে,
বিস্মিত হওয়ার স্বভাব মুছে ফেলি যতবার
একসময় ধারাবাহিক নেশায় হাঁপিয়ে উঠি।
গন্তব্য থেকে দূরে সরে গেলে পথ,
পাঁচটি মেরুন
তারার ফুল
কেউ এগিয়ে দেয় ...
ঈশ্বরপ্রতীম




No comments:

Post a Comment