গিয়ারটা চেপে ধরো
এবার
নিজেকে সামাল দাও, সামিনা,
গিয়ারটা চেপে ধরো,
গিয়ারটা চেপে ধরো,
জীবন
মানেই কী, “কানামাছি ভোঁ ভোঁ যাকে পাবি তাকে ছোও”!
অথবা জাকিয়া যাবে—লং ড্রাইভে?
লং ড্রাইভ, জাকিয়া, লং ড্রাইভ!
অথবা জাকিয়া যাবে—লং ড্রাইভে?
লং ড্রাইভ, জাকিয়া, লং ড্রাইভ!
শিলালিপির
বয়স বাড়ছে, ওজোন—স্তর ক্ষয়ে যাচ্ছে!
আমাদের বদরাগী বাবার নিশ্বাসে কষ্ট হচ্ছে
উফ! হাসিটা থামাও তো বড্ড কানে লাগছে!
আমাদের বদরাগী বাবার নিশ্বাসে কষ্ট হচ্ছে
উফ! হাসিটা থামাও তো বড্ড কানে লাগছে!
সামিনা
তুমি কি শমীবৃক্ষ?
যুগ যুগ ধরে একই রকম থাকবে?
দেখছো না সবকিছু কেমন পালটে যাচ্ছে!
মোড়ের দোকানের মতিন এখন হবু শিল্পপতি!
ব্যবসাটা ভালোই বুঝেছে সে!
উফ! হাসিটা থামাও তো,
জীবনের গিয়ারটা চেপে ধরো!
যুগ যুগ ধরে একই রকম থাকবে?
দেখছো না সবকিছু কেমন পালটে যাচ্ছে!
মোড়ের দোকানের মতিন এখন হবু শিল্পপতি!
ব্যবসাটা ভালোই বুঝেছে সে!
উফ! হাসিটা থামাও তো,
জীবনের গিয়ারটা চেপে ধরো!
ভালোবাসা ছিলো ধূমায়িত কাপে, ক্যান্টিনের ঝুল বারান্দায়, কখনো কখনো
সামনের ফ্লাটের নন্দনতত্ত্ববিদের চাপা হাসিতে; মাঝে মাঝে টিএসসির খোলা
প্রান্তরের মুক্ত বাতাসে অথবা মতিহারের সবুজ গালিচায়, যেখানে রবিঠাকুরের
গান গাওয়া হতো পা ছড়িয়ে আয়েশ করে,বাসে ঝুলে ঝুলে যেতেও সে গানের রেশ
দ্যুতি ছড়াতো চোখে মুখে! প্রাকটিক্যাল ক্লাসগুলো সতীনসম বিষময়তা এঁকে দিত
মননে, বয়সী জহির স্যারের লেকচার জল ঢালতো বোধে, ছিলো না তখন মুঠোফোন,
রঙিন আখরে নীল খামে ঢলাঢলি ঢিলে ভালোবাসা স্থান করে নিয়েছিল হৃদে!
পৃথিবীর বয়স তো অনেক হলো, তবুও স্মৃতি জাগানিয়া, মন কাঁদানিয়া ভালোবাসা
পুরাতন শরীরে শরীরে কিসের আমেজ জাগায় !
বেছে নেব কাকে
এখন
ভীষণ দ্রুত সন্ধ্যা নামে
কেমন যেন বিষণ্ণ মলিন সন্ধ্যা!
অথচ উচ্ছল থেকে আরও উচ্ছল,
ছলনাময়ী কর্পোরেট রাত!
কেমন যেন বিষণ্ণ মলিন সন্ধ্যা!
অথচ উচ্ছল থেকে আরও উচ্ছল,
ছলনাময়ী কর্পোরেট রাত!
দিবা
এবং রাত্রি, চুম্বকের দুই মেরু
উভয়ই আকর্ষণ করে আমাকে
বেছে নেবো কাকে, কাকে?
মধ্যবিত্তের ঘেরাটোপে আবদ্ধ
আমি এক মানবী,বারবার প্রশ্ন
করি নিজেকে, নিম্নবর্গের দিন
নেবো নাকি, সাকি আউর শরাব কা
মাতাল করা রজনী নেবো?
উভয়ই আকর্ষণ করে আমাকে
বেছে নেবো কাকে, কাকে?
মধ্যবিত্তের ঘেরাটোপে আবদ্ধ
আমি এক মানবী,বারবার প্রশ্ন
করি নিজেকে, নিম্নবর্গের দিন
নেবো নাকি, সাকি আউর শরাব কা
মাতাল করা রজনী নেবো?
দিবা
এবং রাত্রি, চুম্বকের দুই মেরু
উভয়ই আকর্ষণ করে আমাকে
বলতো, বেছে নেবো কাকে, কাকে?
উভয়ই আকর্ষণ করে আমাকে
বলতো, বেছে নেবো কাকে, কাকে?
সেমন্তি হতে পারিনি
এতদিন লুকিয়ে ছিলাম বিবর্ণ ক্যাকটাসে
তোর কাছ থেকে পালিয়ে পালিয়ে
আজো তোর সেমন্তি হয়ে উঠতে পারিনি!
এতদিন লুকিয়ে ছিলাম বিবর্ণ ক্যাকটাসে
তোর কাছ থেকে পালিয়ে পালিয়ে
আজো তোর সেমন্তি হয়ে উঠতে পারিনি!
ক্ষয়ে গেছে শালগ্রাম
শিলা,
ঝড়ে উপড়ে পড়েছে শমীবৃক্ষ
বহতা নদীকে শাসন করেছে মানুষ
তোর নামাঙ্কিত পাথরে ফসিল
মাঝে মাঝে সে ফসিলে চোখ রাখি,
চোখের আলো যে নিভু—নিভু!
তোর সুনিকেতের নকশা ভাসা ভাসা দেখেছি,
দুঃখগুলো সেরেছে রে, অসুখ কী হয়?
আর কতকাল কেবল সুখ নিয়ে বাঁচবি!
ঝড়ে উপড়ে পড়েছে শমীবৃক্ষ
বহতা নদীকে শাসন করেছে মানুষ
তোর নামাঙ্কিত পাথরে ফসিল
মাঝে মাঝে সে ফসিলে চোখ রাখি,
চোখের আলো যে নিভু—নিভু!
তোর সুনিকেতের নকশা ভাসা ভাসা দেখেছি,
দুঃখগুলো সেরেছে রে, অসুখ কী হয়?
আর কতকাল কেবল সুখ নিয়ে বাঁচবি!
বিষণ্ণ মনের ভাবনা
চারপাশে কেবল ক্রুর অলস শব্দাবলি!
মনের ত্রিভূজ দ্রুত এঁকে ফেলেছি আমি
নিঃস্ব নই, রিক্ত নই, আমি আমাতে মৌতাত
ঢকঢক গিলে ফেলি তরলং মধুবৎ!
আসেনি সুপ্রিয় কেউ কিম্বা ঋভু, ঋষি
সম্পর্ক কাঁচের দেয়াল মানি তা আমি
কেউ কেউ বলে, আলোতে এস, মুখটা খোল,
বিচার চাও, অন্তর্জালের দুনিয়া জানো তো
কারো সাথে নেই, পাছে নেই, শূন্য ঘরে একা!
চারপাশে কেবল ক্রুর অলস শব্দাবলি!
মনের ত্রিভূজ দ্রুত এঁকে ফেলেছি আমি
নিঃস্ব নই, রিক্ত নই, আমি আমাতে মৌতাত
ঢকঢক গিলে ফেলি তরলং মধুবৎ!
আসেনি সুপ্রিয় কেউ কিম্বা ঋভু, ঋষি
সম্পর্ক কাঁচের দেয়াল মানি তা আমি
কেউ কেউ বলে, আলোতে এস, মুখটা খোল,
বিচার চাও, অন্তর্জালের দুনিয়া জানো তো
কারো সাথে নেই, পাছে নেই, শূন্য ঘরে একা!
No comments:
Post a Comment