কোথায় কি!

04 February 2019

অরুণিমা মন্ডল দাস—দ্যা ইংলিশ টিচার




ইংলিশ টিচার
হেঁটে হেঁটে আসা আনমনা তিনতলার “ছাদ”
ইংরেজী নামক চারকোনা “তলোয়ার” দেখলেই—
মাধ্যমিকের উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ’র ডেফোডিলস কবিতাটি
চোখের সামনে ভেসে ওঠে—
সেই ফুলেদের বার বার ঘুরে বেড়ানো 
আকাশ বাতাস জুড়ে “ফুলমেলা”।
বসে থাকা, উঠে দাঁড়ানো, ঘুরে বেড়ানো 
বড্ড প্র্যাকটিক্যাল “চশমা”র শিক্ষা প্রদান
চোখের গভীরতা এতটাই বেশী—
হারিয়ে যাওয়া “প্রকাণ্ড মারিয়ানা খাত”।
বারবার বই চাপড়ানো আর মিষ্টি মিষ্টি ল্যাডিকানি ব্যবহার—
“খুব ভালো হয়েছে,খুব ভালো হয়েছে”।
সাজেশনের প্রতিটি পিঠে নিমপাতার গন্ধ
পুরোটাই চাপের কঠোর “বাস্তব”—
বাঁকা বাঁকা “টেনস” ভার্ব” সেনটেনস”র আলপনা।
দুই কানের দুইপাশ দিয়ে
“ইংলিশ” গুলি হ্যাভ” আর
“ইঙ্গ” লাগিয়ে সাদা “সাবানের ফেনা” বনে জানালা দিয়ে উড়ে চলেছে…
কিছু কিছু শব্দ কুয়াশাচ্ছন্ন
দূর থেকে “দীঘা র সমুদ্র দেখলে ঠিক যেভাবে নিজেকে বড্ড অসহায়” মনে হয়;
ঘন্টা বেজে ওঠে—
কালো কালো অক্ষরগুলো একটু ক্লান্ত 
অনেকক্ষণ আছড়ে আছড়ে“ আখের রস” বের করাতে, মাথাগুলো“ সাইলেন্স জোন”
এ পৌঁছে যায়—
 “খোলা হাসিখুশি আধা রাগি তিনতলা ছাদের ধীর গতিতে প্রত্যাবর্তন
যতটা এনার্জি আসার সময় থাকে যাওয়ার সময় তাঁর “হার্ট” যেন ক্লাশের এককোণে রেখে যায়—
কপালের কুঁচকানো ফিলিংসের ভিতরে ও বড় “হরপ্পা”র স্নানাগারে র হদিস পাওয়া যায়।

দাঁতের ফাঁক দিয়ে “সততা” কেবলই প্রবেশ করছে
বেরিয়ে কেবলই অস্পষ্টবাদী বদ মোমবাতি গুলো পুড়িয়ে দেয়।
“চেয়ার, টেবিলের” প্রতি একটা আমোঘ বন্ধন সামনের দরজা দিয়ে আসা—
সকাল, বিকেল, দুপুর সবই “উনার ছাত্র—”
“মাথা নামানো গড়িয়ে আসা সন্ধ্যা”
তাঁর মধ্যে থাকা একটি “ফুলের গাছ”
 “ছোট্ট শিশুর খিলখিল হাসি”
এরাও উনার ছাত্র”।


সারা শরীরে জড়িয়ে থাকা “প্রিয় বাইকের গন্ধ” চলতে থাকা খোলা রাস্তা 
ধিমিধিমি সুরে গাওয়া “কিশোর কুমার, অরিজিত সিং এর গান—
উড়ে যাওয়া রঙিন ঘুড়ি
কোন বাঁধাহীন কানে বাজতে থাকা “ অট্টহাসি”
ঝিমোতে থাকা “রোমান্সের কবিতা”
উঠে দাঁড়ানো “ভারত ছাড়ো আন্দোলন, লবন সত্যাগ্রহ, সিপাহী বিদ্রোহ, আইন অমান্য আন্দোলন”
ক্লাসে দেওয়া লেকচার শুনছে—
গান্ধিজী আজ ও“ অহিংস” নীতি নিয়ে   প্রতিটি কলেজে ,স্কুলে ,প্রাইভেট স্কুলে,বিএড কলেজে   লাঠি হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন…
“ইংলিশের” লেকচার শুনছেন,
“নেতাজী” ও অনেকটা ক্লান্ত “বিদ্রোহী আত্মা” নিয়ে “জ্বালাময়ী” বক্তব্যে ক্লাশে ক্লাশে ঘুরে ফিরে ক্লাশরুম প্রতিটি ক্লাশে ই যেন নড়ে ওঠে,
এক একজন এক একভাবে নাড়ায়
লাটাইয়ের প্রতিটি সুতোই রঙবেরঙের শিক্ষা” নামক বড় গামলায় আমরা ডুবছি—
“ইংলিশ” জোন আস্ত একটা “সুইমিং পুল” বাংলা মিডিয়াম প্রাণীদের জগতে।
“ইংলিশ টিচার” বাংলার ছেলেমেয়েদের ব্যাগে “অর্ধেক ভগবান”—!




বিষয় এবং  অনূভূতি কাল্পনিক 

উৎসর্গ- আমার সমস্ত প্রিয় মানুষজন

No comments:

Post a Comment