পূর্ণতা
চলোনা
দুজন
মিলে উড়াই কিছু সুখের ফানুস।
চলোনা এক
টুকরো পূর্ণিমার বাদলে করি স্নান...
দুজনে দুজনার
অতিলান্তিক ছুঁয়ে ফল্গুধারার সন্ধানে যাই
জানো?
ভালোবাসা
যদি ভালোবেসে জ্বলে
ধ্রুব
তারায় রয়ে যায় সেই নাম।
এই
চলোনা...
নিরাভরণ
সখ্যতার কাব্য লিখি দুজনে ,
সুখের বেদনা র নোনা স্বাদ নেই।
অরণ্যের
নীরবতা ভেঙ্গে ফেলি ,
ছড়িয়ে দেই মহুয়া গন্ধী কিছু অব্যক্ত সুখ
শীর্ষ
অনুভূতি র আনন্দে মাতাল আমরা আলিঙ্গনে বয়ে নেই শূন্যতার বোঝ
এসো
কিছুক্ষন
জুঁই সাদা বৃষ্টির স্নিগ্ধতা আকণ্ঠ পান করি ,
সুখের
সোনালি গরলে বয়ে যাওয়া নদীতে খেয়া বাই ,
আজন্ম
কুড়ে খাওয়া দুঃখ গুলো যাক মহা প্রস্থানে।
জারুলের
উজ্জ্বলতা , চাপার মাদকতায় আমরা শুদ্ধ হব...
যাবে
আমার সাথে শিমুল তুলার মত সুখ বিলাতে?
সুখি
মানুষের সুখ জামা গায়ে ...
ভোরের কুয়াশার মত সুখ
ছুয়ে যাক ধরণীতে
গাহন তোমাতে
শিউলি কুড়ানো ভোরের শিশিরে যখন শিহরিত হতাম বালিকা আমি,
সেই ফুল কুড়ানোর আনন্দে থেকেই তোমাতে গাহনের
দিনের শুরু। ফ্রকের কোঁচরে হাজারী গোলাপ ,ঝুমকো
জবা্ কাবেরি কিংবা নয়ন তারা আর ভিনদেশী কসমস, চেরী মোরগ ফুল, দোপাটি, কাঠ গোলাপ, নীলকণ্ঠ অথবা কখনো সদ্য ফোটা গোলাপের ঘ্রান যখন মিলেমিশে একাকার হত ভেবে দেখ সেই সুবাসে আকুলিত চিরন্তন বালিকা হৃদয়ে তুমিই থাকো ।
চঞ্চলা চড়ুই হৃদয়ের ছটফটানির নিস্তব্ধতায় দুহাতে
ভরতি বড়ই,কাঁচা তেতুল নিয়ে পালিয়ে বেড়ানো আমিতোমারই ছিলাম তোমার হয়ে । দুই বিনুনির লাল সারটিনের ফিতায় ফুল ফোটানোর আনন্দের
মুহূর্তে ঘোর বর্ষার মধ্যদুপুড়ে তলিয়ে যাওয়া ধানক্ষেতে শ্রাবন ধারার গাহনে কোন এক
আষাঢ়ে ঢলে লাল মাটির রাস্তায় ঝরে যাওয়া বেলির হাহাকার বুঝে নেয়ার তীব্রতায় সাথে
আমি তোমার হয়েছিলাম।
খেলার সাথির হিজল ভাসা টলটলে নবীন জলের স্বচ্ছ
দৃষ্টিতে তাকিয়ে বিরান চরে ঘুঘুর ফাঁদ পাতার দুঃসাহসিকতায় মুগ্ধ হয়েছি যখন উথল
হাওয়ার বুকে চাদিয়াল ভাসানো কিশোরের আকাশ চাওয়া অপেক্ষায় বিষন্নতা খুঁজে পেতে শুরু করার হু হু করা দিনগুলোতেও।
স্মৃতি জাগানিয়া আম আঁঠির ভেঁপুর সুর চকচকে
কাঠের সেতুতে দাঁড়িয়ে খালের পানিতে ঝিলমিল বট পাতার খেলা দেখার মগ্নতায় বয়সন্ধির
চৌকাঠ পেরিয়ে সেবা রোমান্টিকের নায়ক হয়ে ,দূরবীনের ধ্রুব ,একা এবং
কয়েকজনের সূর্য ,পার্থিব এর হেমাঙ্গ ,
হীরক দীপ্তি র হিরক কে ভালবাসায়। শহরতলীর দিনগুলিতে দুর্গা অষ্টমীর দিন ভেসে আসা মাইকে কিশোর কুমারের -“সে যেন আমার পাশে আজো বসে আছে” গানের
সুরে অবেলায় কাঁথা মুরি দিয়ে বুকের ভিতর কেমন করতে থাকা অনুভুতিতে আমি তোমার
হয়েছিলাম....
ভাবো তো,
ফেব্রুয়ারির পলাশ রোদ আর শোকের সাদা কালো শাড়ী
র ভাজে কাকে লুকাতে চাইতাম? বৈশাখি মেলার সবুজ কাচের চুড়ি র রিনঝিন সজীবতায় ছিলাম মার্চের
উত্তাল কবিতা দিন,দোলন চাঁপা গুচ্ছের খোঁপায় শোভা পাবার লাজুক নত চোখ আর পাতা ঝড়া বসন্ত থেকে শীত ক্যাম্পাসের ধোঁয়া উঠা ভাপা পিঠার মিষ্টি সুবাসে
আমি তোমাতে বিলীন হয়েছিলাম ।
No comments:
Post a Comment