কোথায় কি!

29 November 2016

সুলতানা শিরীন সাজি



তোমাকে 
স্বপ্নলোকে জেগে থাকা স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে এসেছিল ভালোবাসা।
ভুল স্রোতে মিশে গিয়ে সুখ হলো দুখের কাঁপন।
তুমিহীনা এই বিজন শহরে বহুদিন হয়ে গেলো পথ হাঁটা।
এক
দুই
তিন করে


রাবেয়া রাহীম


কলরাডো অঙ্গরাজ্যের ডেনভার শহর। কলোরাডোর প্রতীক রকি মাউন্টেইন। প্লেনে বসেই সুকন্যার মনে পড়ছিল জন ডেনভারের সেই বিখ্যাত গান‍ রকি মাউন্টেইন হাই। শেকড়ের কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য আকুতি নিয়ে গাওয়া গান। হ্যা, শেকড়ের কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রতিটি প্রাণেই থাকে তাড়া কিন্তু সবাই কি আর পারে ফিরে যেতে! আপনজন, নিজ জন্মভূমির জন্য ছটফটানি থেকেই যায়। নিউ নিউইয়র্কের যান্ত্রিক জীবনে হাঁফ ধরে যায় তার। প্রকৃতির খুব কাছাকাছি থাকতে ইচ্ছে করে। পাহাড়, অরণ্যে, মাটি তিনটেই ভীষণ টানে তাকে।এই শহরটি পাহাড় বেষ্টিত। দেখে মুগ্ধ হয় এয়ারপোর্টের টার্মিনাল বিল্ডিংও রকি মাউন্টেনের আদলেই বানানো।

রিয়া চক্রবর্তী



অভিমান
নীল আকাশের ওই চাঁদটার থেকে অভিমান তুলে নিয়ে
যদি ইচ্ছে করে মন উড়ে যাই হাওয়া পথ ধরে
সেই যে কবে ভেসে গেছে বৃষ্টির ফোঁটা জলে মিশে
আর ফেলে গেছে সবটুকু আলোজ্বলা নীড়ে


শীর্ষা মণ্ডল



ঘর বাঁধার গান
আমি বিরহের পায়ের শব্দ শুনি
জোর করে বলি -
ফিরে এসো না চাকা আর
আর এসো না ফিরে!
ততক্ষণে মেঘ নিজেকে ভাঙতে শুরু করে দিয়েছে
আমার পারমিশন না নিয়েই;
বুকের টোলে চিকচিক পদ্মপাতার
মোমজড়ানো মুক্তো

নিবেদিতা পুণ্যি সঞ্চারিণী




আব্দার
তোমার কাছে ভালবাসা ধার নিয়ে; বাঁচতে চেয়েছিলাম,
ভালবাসা পেয়ে তো নয়!
হাত পেতে চেয়েছিলাম - দু'পায়ে মাড়িয়ে যাওয়া স্পর্শ-ধূলি। 
দু'হাঁটু মুড়ে করজোড়ে ভিক্ষা চেয়ে বলেছিলাম, আজীবনের দাসী করো প্রিয়! 
তবুও তো পাবো তোমায়; কিছুটা সেবার অধিকার।
ভালবাসা না-ই বা দিলে, হেলা-ই নাহয় দিও! 
দাওনি, নাও-ও-নি!

26 November 2016

মুক্তি মণ্ডল




দূত
প্রতিদিন ঠাট্টায়-উপহাসে 
নিজেকে দেখি আর 
মনে হয় ঠুনকো 
একটা শুকনো পাতার মচমচ
এ বেঢপ জীবন থেকেও
অনেক রহস্যময়,দরকারি

তবু আনমনে মহুয়ার কাছে যাই
এমনি এমনি ক্ষমা চেয়ে 
ঝড়বৃষ্টির মধ্যেই ফিরে আসি
নিজের ডেরায়

ভাবি কখন মনের ভেতর 
তুমি ভেসে উঠবে
কখন পৌঁছাবে
আমার বেঢপ আঙিনায়? 



এই সময় 
এই সময় 
বাণিজ্য-দাসের তুবড়ানো মুখের টোল
ফাঁকা-শব্দের ঢেউয়ে
তলিয়ে গেছে ন্যায্যতার আকার 
মনোহর বিজলি সুরতে 
তবু কিছু কিছু মনুষ্য স্ফুরণ
উদোম করে দিচ্ছে
শত শত অন্যায্য নীতির খড়ম
গোপনে কি কাঁপছে
দুমড়ানো বাঁকাচোরা গর্তে ভরা
রাষ্ট্র নির্মিত রেহেল! 

এই সংশয় 
এই আচমকা বিস্ময়ে ঠাসা
কালোব্রণভরতি মুখের আদল
দেখছি আর ভাবনাচূর্ণে
ছড়িয়ে যাচ্ছে
উড়ে যাচ্ছে পতঙ্গ প্রেম 

চুপচাপ দেখে যাওয়া 
এই বহুরূপী দর্জির শহর 
দিনে দিনে ভরে গেছে
ইন্দ্রীয়লুপ্ত
মানুষের কর্পোরেট দঙ্গলে

শুধু নিজেরোপর উপগত রোদ ছাড়া 
প্রেমময় আর কিছু নেই

________________________

সোয়েব মাহমুদ




শুভা কবিতা অথবা কথা
আমারতো কবিতা লিখবার কথা ছিলোনা,শুভা।
আমারতো কবিতায় আসবারই কথা ছিলোনা।
আমি বড়জোর লিখতে পারতাম উনত্রিশ দেশ ভ্রমণ।