কোথায় কি!

22 August 2017

সেবক বিশ্বাস



মৃত্যু
মৃত্যুরে ডেকেছি কাছে গোধূলির বলয়িত উৎসবে!
দিনান্তের প্রিয়তম ছায়ায় সব খেলা শেষে নক্ষত্রের বুকে- অনন্তের অগাধ শূন্যতায়-
তার অস্ত মুখের মতো মলিন পথে হেঁটে যাবো দীর্ঘ প্রণাম শেষে পৃথিবীর পায়ে!
সংসারের সত্যে ফেলে যাওয়া প্রেম,
গান,

গোপন মূল্যে কেনা মরণের ঘুম-
দীর্ঘতম সুন্দর ক্রোড়েরত বিমূঢ় উঠোনখানি;
মৃত স্বপ্নের ভীড়ে জেগে থাকা করুণ হাসির পল্লবিত ঠোঁট!
কোনো এক বেহালার রাতে সপ্তসুরের আশ্চর্য অনুভবে নিঃসংকোচ আলোর সন্ধান-
গুঞ্জরিত বিন্দু বাতাসে আত্মার উপচার!
রক্তসিন্ধু থেকে চাঁদের নাভিমূল-
নড়ে ওঠা সত্যের শঠতা
নিষ্ফল সমূদ্রের বাতাস ভেঙে আগুনের পথে;
লুপ্ত জলের তৃষ্ণা রাতের বাহু থেকে ক্রমে ক্রমে খয়েরি চেতনায়!
ইতিহাস মরে কি লোকোত্তর কালকূটে!
চিরস্থায়ী প্রশ্নের মতো একান্ত বিশ্বাসে প্রহেলিকার পৃথিবী থেকে সান্ত্বনার আকাশকুসুম-
ছিঁড়ে যাওয়া সময়ের গিঁটে জন্ম নেয় নতুন উত্তরণ!
প্রাচীন পাণ্ডুলিপির অন্তরালে যে নিঃসঙ্গতা একাকী হিজলের মতো-
তার মূঢ় পাতায় তিমিরের ছায়াপথ।
আত্মপ্রসাদ- খুলে যাওয়া নিষ্ফল পালকের মতো উন্মুক্ত বস্তুপুঞ্জ,
নগরের সেলসিয়াস ক্রন্দসী মাটির কঙ্কালে;
তবু মানুষ এক গ্রাম!
কংক্রিটে ঘাসের মতো শুয়ে থাকে কত পাখি,
অন্তহীন সময়ের সুরে গান ধরে পৃথিবীর প্রথম নদী!
পশ্চিম থেকে পূর্বে অতৃপ্ত যুবকের মতো
কালের দূরবীন নিঃশব্দে চেয়ে দেখে
প্রান্তরে প্রান্তরে কেবল মুছে যাওয়া হরিণের হাড়,
বিক্ষত বুকের রিক্ততা,নিঃশ্বাস-
মুক্তোদানার মতো দুঃখ,
অচল ঘড়ির জীবনপ্রবাহ;
কালে-কালান্তরে পথহাঁটা নবীন উল্লাসে
অনুরাগ,পরিহাসের পুরোনো আখ্যান-
শোকের শ্লোকে
উজ্জ্বল অন্ধকারে গাঁথা মৃত্যুর শঙ্খমালা!



পথ
একটি পথ!
আলোর নিঃশ্বাস।
ধোঁয়া।
কাঁটা।
তৃণের গ্রামীণতা।
বাতাস।
হঠাৎ চমকে ওঠা কিছু স্বপ্নের হাড়!
নতুন জন্মের শব্দ।
উড়ে যাওয়া ডানার খাম্বাজ!
রাত্রি।
নৈঃশব্দ্য।
ধ্বনিত বিপ্লব।
নির্মোহ সঙ্গীত।
মাড়িয়ে যাওয়া মাটির কঙ্কাল।
দুর্ভাগা ধুলো!
শিরস্ত্রাণের উত্তরাধিকার।
বাষ্পীয় বীজ।
মৌসুমী মেরুদণ্ড!
রক্তছাপ।
যুদ্ধ।
প্রস্তরতা।
স্বপ্ন।
লাল সংসার।
নৈঃসঙ্গ্য।
নগরের ডাল।
পুনরাবৃত্ত রঙ।
দলবাঁধা ঘুম।
ক্রমাগনন ছায়া।
ছুঁড়ে ফেলা শ্রম।
বৃষ্টি।
সূর্য।
সময়ের গোলক পৃথিবী!
সন্ন্যাস।
সৃষ্টি।
চৈতন্য।
একটি পথ!
ফুরিয়ে যাওয়া পায়ের মৃত্যু!



No comments:

Post a Comment