25 September 2018

সেই বসন্ত —অনুপ চক্রবর্তী



যৌবনা পদ্মানদীর পাড়ে শরৎকালের পড়ন্ত বিকেলে একা বসে আছে প্রতাপ। সময় কাটে না তার। তাই পদ্মার উন্মত্ততা দেখতে এসেছে সে। একসময় এখানে নিয়মিত আসত। কিন্তু এখন ইচ্ছে হলেও আর আসতে পারে না। তবে যখন তার মনটা স্মৃতিকাতর হয়ে ওঠে তখন না-এসেও পারে না। আজও তেমনই একটা দিন। স্মৃতির সান্নিধ্য পেতেই যেন এখানে ছুটে এসেছে সে। মন ভালো নেই। ভালো লাগানোর জন্যই আসা। কিন্তু এখানে এলে আরেকটু বেশিই খারাপ হয়ে যায় মনটা।
নদীর দিকে একমনে চেয়ে ছিল। হঠাৎ একজন এসে হাত রাখল তার কাঁধে। চমকে উঠল প্রতাপ। পেছনে তাকিয়ে দেখে পল্লবী। নিরুপমার খুব কাছের বান্ধবী। তাকে দেখে অবাকই হয় প্রতাপ। এখানে, এ জায়গায় একসময় নিরুপমার সঙ্গে অনেক সময় কেটেছে। পল্লবীও আসত মাঝেমধ্যে। তখন থেকেই প্রতাপকে 'দাদা' ডাকে মেয়েটি।

শব্দ —ফারিয়া তাবাসসুম



বাইরে আষাঢ় এর বৃষ্টির শব্দ, ভিতরে ঝাপসা অস্পষ্ট-কোলাহল। বেশকিছু অগোছালো টেবিল চেয়ার। এক কোনায় বসে বই পড়ার মতো নিরিবিলি জায়গা, আরেক কোনায় দেয়ালে  পুরনো ভাব ফুটিয়ে তুলতে ইট-সিমেন্ট এর খেলা করান হয়েছে, আর আবছা আলো-আধারের খেলা। এসবের সাথে বোনাস হলো উষ্ণ কফির গন্ধ। জায়গাটাতে একটু ক্ল্যাসিক ভাব আছে তা বলতেই হবে। আজকে এসব কোনটাই মনঃপুত হচ্ছে না, কেবল মাত্র বৃষ্টিটার জন্য, সব কেমন স্যাঁতস্যাতে লাগছে। ক্যাফেটেরিয়াও অসহ্য লাগছে এই অপরিচিত কোলাহলের জন্য। অন্যান্য দিন ঘন্টার পর ঘন্টা পার করা যায় নিজের পছন্দের সল্ট কফি আর ল্যাপটপের সাথে। আজ সব অসহ্য লাগছে। বৃষ্টি বাড়ার সাথে তাল মিলিয়ে কেমন যেন অসহ্যটাও বাড়ছে। মানুষের মনে এত রং কোথা থেকে আসে? এই পানি পরা দেখে। কবিতা গল্প গান প্রেমিক প্রেমিকার প্রেমের সিনেও বৃষ্টি নামক পানির ব্যবহার থাকা চাই।