11 May 2019

যুগল কবিতা —আকিব শিকদার



ভালোবাসা পেলে, না পেলে
ভালোবাসা পেলে সব আগুন হবে জল
মরা গাছে ফুটবে কমল।

শ্যাওলা ধরা প্রাচীরের ছায়ায় বসবো দু’জন
মৌমাছি হয়ে চুষে নেবো তোমার যৌবন
নিজেকে উজাড় করে বিলিয়ে দেবো যখন তখন।

যদি ভালোবাসা না পাই তবে
সোনার সিংহাসন কালান্তরে মাটিতে মিলাবে।

সিন্ধু সোম—আবর্তেসু



শহুরে পাট ভেঙে ম্যানহোলের ঢাকনার মতোই খানিকটা হাঁ দিয়ে মুখের ওপর দুম করে বন্ধ হয়ে গেল গৃহশিক্ষকের গৃহ দরজা। ওই দরজার ভেতর টুকু ওনার এক্তিয়ার। বাইরেটা ছাত্র ছাত্র নিজেরাই সামলে আসছে। বুনো রামনাথের পদবী এনারা যথেষ্ট সিরিয়াসলি নিয়েছেন। বেড়া ভাঙা বকুলের ছায়াস্তব্ধ সেই পাঁচিল ঘেঁসে অজগরের মতো শুয়ে থাকা জমাট চাপ চাপ উদাসীনতার গলিতে সাইকেল নিয়ে সদ্য বেরিয়ে এল দুটি ছেলে। সতেরো আঠেরো বছরের খর যৌবন মুখের হালকা লোমে তুলি দিয়েছে। একজনের মুখটা একটু ভাঙা তোপসানো চওড়া, অন্য জনের নিটোল গোল। বড় বড় আয়ত চোখে প্রথম যৌনতা ও শিকড়ের সরলতার যুগপৎ ছাপ একটা আলো আঁধারি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছে। ব্যভিচারী ভাবের মতোই তার সঙ্গে মিশেল ধরিয়েছে কানপাতা দায়িত্ব, নেশাতুর স্বপ্ন, গোপন উৎকণ্ঠা আর অসবর্ণ বিদ্রোহ। মুখে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট পাখাটানা বকের মতোই ঝিমিয়ে আছে। মফস্বলের অঙ্কশায়িনী গ্রাম তার নিদ্রার শমন এখনও জারি রেখেছে ধুঁকে ধুঁকে। সেই আলোকিত অভ্যাসের মধ্যে হঠাৎ ঢুকে পড়া চামচিকের মতোই গতির প্রয়োজন গোঁৎ খায় মাঝে মধ্যেই। যে সময়ের কথা গোকুলপাসরী গ্রাম তখন আড়মোড়া ভাঙ্গছে শহরের কণ্ঠলগ্ন হয়ে!