শান্তিনিকেতন
আগলে নিও মেঘলতা,
রোদ চাদরে চেপেছে জ্বর।
মুগ্ধ পারফিউমে,
যেন ঘুরছে শেক্সপিয়র...
দেখ রবীন্দ্রনাথ,
তোমার আকাশনীল বই ছুঁয়ে,
শহর থেকে দুরে,
দুপুরের হলদে হেমন্তে,
প্যারাডাইজ নেমে এল পৃথিবীতে!
আগলে নিও সমুদ্র...
কাঠপুতলির কর্কশ ঠোট,
বিষাক্ত আদিক্ষেতা,
সমুদয় আপেক্ষিকতা,
আত্মঘাতী পোস্ট-অফিস...
জ্বর চাপুক মস্তিষ্কের গুপ্ত
শহরে!
ডিটেকটিভ চোখ
পোড়া ঘর্মাক্ত কাঁঠালি পাতা
কাজলের পাল তুলেছে চোখ সমুদ্র!
যে সমুদ্র কিশোরীকে ঢেউয়ের
নাকফুলে সাজিয়ে তুলে নববধূতে।
যে চোখে বন্দী পৃথিবী,
ফুটে উঠেছে নির্লিপ্ত ব্যাকরণের
অক্ষিগোলকে...!
ডমরু বেজে উঠে উড়োবাতাসের সিগন্যালে
ভাবসাবের আদলে কর্নিয়া মিশে আচড়ে পড়েছে,
অপার্থিব প্রেমের দোরগোড়ায়।
সে চোখ কাজল পড়েছে অন্য চোখের
পাড়ায়...।
মৃত্যুকূপ
ঐ পথ ধরে কে যায়?
দিগন্তের চুম্বনে লাজুক মাটির
চিবুক ফেড়ে কোন ছাদে পাড়ি জমায় এক এক ছায়াবৃন্ত...!
সকাল-সন্ধে জন্ম-মৃত্যু কূপ আলো
আধারি চিহ্ন লেপটে দেয় যে পথে সে পথ ধরে সৃষ্টি তুমি কোন সৌন্দর্য মন্থনে ডুব দাও।
ঐ পথ ধরে কে যায়?
পিছু ডেকে যে সমুদ্রফুল ভুলে
যায়...!
সে পথ ধরে কেন যায়?
যেখানে জীবনের পর জীবন জমে
এক একটি মৃত্যুর কূপ হয়...!
No comments:
Post a Comment