01 January 2016

রিকি দাশ





পদ্মপাতার কানন ধরে মেঘের মিশ্রণ ছুটে আসে শূন্য পৃষ্ঠায়। ফুটে উঠে এক একটা বিস্ময় ম্যুরাল। কখনো ঘন জলরঙা, কখনো রঙের টেরাকোটা। আঁটকে থাকি বকুল ফুলে, ভালোবাসি বলে। উঠোনের ফুটন্ত কৃষ্ণচূড়া তোমায় আর গায়ে জড়ানো হয়না। এভাবে পাশের বাড়ির বাগান গুলির নিত্যচর্চা চলে। তা দেখে এখন আমাদের আশেপাশের চার দেয়াল লুকোচুরি খেলে। আমি কনফিউজড, ওরা খেলে নাকি আমরা?

যাক গে! অমনটা একটু আধটু হয়, না হলেই বা হওয়ার মুল্য কোথায়!

এখানে নীলকণ্ঠী পাতা আছে, নিমের তলায় ইচ্ছেমতন ঘ্রাণ নিতে পারো! ঘাসে ঘাসে ঈর্ষনীয় সাইরেন আছে। আধিভৌতিক কুয়াশার কোন গল্প কিন্তু নয়! যদি লুফে নেওয়ার মতন চিবুক থাকে তবে তোমাকে রুখে কে?
এই যে সূর্য মায়ের আঁচল থেকে শিশুসুলভ দুটি চোখ নিয়ে বের হয়, ধীরে ধিরে পরিণত, বার্ধক্য
মায়ের আঁচলে যে জন্মায় নিত্যদিন। ওভাবে প্রেম জন্মায়। এখানের বাতাসে উপর্যুপরি স্নেহ আছে, আষাঢ়ের স্রোতে প্রেমাতাল আলো আছে, রাতের মোড়ে মোড়ে লোডশেডিং নেয়। মগজে আছে মাছরাঙার স্রোত,মা-নু-ষ!

এখানে আছে অসংখ্য তাঁরা, আমি কখনো তাঁরা গুনে দেখিনিকেবল মুগ্ধতার প্রলেপ ছিল কর্নিয়ায়। এখানে অপরাজিতা হাসে গোধূলির ঠোঁটে। মাঝির নদীপথে। কৈশোর শ্রাবণে উড়ে যায় হাতে হাত ধরে এক গুচ্ছ নীল আড্ডার প্রজাপতি


জলপ্রপাতের মতন মানবিক প্রেম, অহর্নিশি আকর্ষণ। এই আন্দোলনে তিলে তিলে ক্ষয়ে যাক সব শব্দসংঘ। ডুমুর বাজুক,সব সুত্র ভুলে ধীরে ধীরে লুপ্ত হোক আমি

No comments:

Post a Comment