07 March 2016

দেবাশীষ মজুমদার




সত্যরে লও সহজে,
সমুদ্রে পেতেছি শয্যা, শিশিরে কি ভয়?


এই যে, এই মুহূর্তে খুব মরে যেতে চাইছেন, মনে হচ্ছে এই মরে যাওয়াটুকুই আসলে সমাপ্তি। আটকাতে চাইছি না, সহ্য বলে যে বিষয়টা জানা আছে সেটা বহুকাল আগেই ফুরিয়ে গেছে। এটাও মেনে নেয়া যেতে পারে যে, তেমন সমস্ত সম্ভাবনার দুয়ারে আপনি অযুতবার কড়া নেড়ে জেনে ফেলেছেন

ঘুরছে কেবলই নাগরদোলা,
ককিয়ে উঠছে সময়

চূড়ান্তভাবে জেনে ফেলেছেন আপনিই এই ব্রহ্মাণ্ডের একমাত্র ক্ষরা জর্জরিত মানুষ। আসলেই আপনাকে একদম আটকাতে চাইছি না। দাম্পত্য শব্দটা বেশ ঘোলাটে ঠেকছে, সুখি মানুষের জামা খুঁজেছেন প্রতিটা মুহূর্তে, সম্পর্কের ক্লান্তি গ্রাস করে ফেলেছে প্রতিটা রোমকূপ। এবার মৃত্যু হোক। আপনি মরুন।
মৃত্যুর পরবর্তী কালে যে সমস্ত ব্যাপারগুলো এই মৌলিক গল্পের ধাঁচে একই রকম রয়ে যাবে বিগত বেলার ভাত তার মধ্যে একটি। ঠাণ্ডাভাতের কদর হবে, নুন তখনও হবে তার পাড়াতুতো বোন আর কাঁচালঙ্কা বেপাড়ার মেয়ে, ঝাঁঝের ঘাঘরায় ভরপুর উত্তেজনায় জিভে জল আসতেই থাকবে। জলের কী দোষ, ভিজতে উসুক যখন রুক্ষ মাটি, অনাদিকাল এইসব অভ্যস্ততায় খোঁয়াড়ে ফিরে আসে গৃহস্থ রাজহাঁস। যে কোন কারণে এবার মরতে ব্যর্থ হলে পরবর্তী মৃত্যুর আগেও এসব নিয়ে একবার ভাবুনতারপর? মরুন।
জলেরতো গড়ানো স্বভাব, কথা দিচ্ছি, কোনভাবেই আটকাবনা...



No comments:

Post a Comment