প্রথম পর্বের পর...
নিরুপমা কে দেখতেই চোখ আটকে যায় সিঁথির একচিলতে সিঁদুরে। এর মধ্যেই পল্লবী চলে আসে।
—দাদা আপনি এসেছেন আমি খুব খুশি হয়েছি। ও মা বাইরে দাড়িয়ে আছেন
যে ভেতরে আসুন। কি রে নিরু চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলি যে। কেউ আসলে তো ভিতরে আসতে বলতে হয়
না কি এটা ও ভুলে গেছিস।
—না এমনি।
প্রতাপ
ভিতরে গিয়ে ভাবতে থাকে নিরুপমা র কথা। তার চোখে জল আসে। কিন্তু সে জল যে চোখে ই আটকে
যায়। প্রতাপের খুব অস্বস্তি মনে হয়। এবার পল্লবী কে ডেকে বলেই ফেলে...
—পল্লবী আমি বেশী দেরী করব না আজকেই রাজশাহী ফিরতে হবে।
—দাদা এটা কি করে সম্ভব সবে মাত্র আসলেন আর এখনি বলছেন চলে যাবেন
তা কখনো হয় না কি।
—প্লিজ জেদ করো না। আজকে আমাকে যেতেই হবে। আমি ট্রেনের টিকিট
বুকিং দিয়ে এসেছি।
—টিকিট যখন বুকিং দিয়ে ফেলেছেন তখন আর কি বা বলবো।
নিরুপমা
পাশের রুমে বসে পল্লবী কে রান্না র কাজে সাহায্য করছে। নিরুপমা র ছোট্ট মেয়েটি এ ঘর
ঐ ঘর করছে। মেয়েটি কে প্রতাপ জিজ্ঞেস করে...
—কি নাম তোমার?
—অনুপমা।
এই বলে দৌড়ে তার মায়ের কাছে ছুটে
যায়। নিরুপমা কে তার মেয়ে বলে ঐ ঘরে বসে থাকা লোকটি কে মা? আমার নাম জিজ্ঞাসা করল।
নিরুপমা কি বলবে ভেবে পায় না । পাশ থেকে পল্লবী বলে ঐ আঙ্কেল টি তোমার মায়ের ছেলে বেলার
বন্ধু। দুপুর হয়ে যায়। রীতিমত প্রতাপ দুপুরে খাবার খেয়ে নেয়। বিদায় বেলা তে যখন প্রতাপ
ষ্টেশন এ যাওয়ার জন্য রওনা হবে এমন সময় নিরুপমা জিজ্ঞেস করে...
—এখন কি কাজ করছো?
নিরুপমা
র মুখ থেকে এ কথা শুনে যেন প্রতাপ সেই আগের দিনে ফিরে যায়। কিছুক্ষণ নিরবতার পর উত্তর
দেয়...
—চাকরি র চেষ্টা করছি।
এ
কথা বলে প্রতাপ তার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখতে পাই নিরুপমা র চোখের কোনে জল জমে আছে।
No comments:
Post a Comment