25 January 2018

গুচ্ছ কবিতা- অক্ষর অনীক


|| বৃষ্টির শহরে 
শহরে ভীষণ বৃষ্টি এখন। বেওয়ারিশ লাশের বুকে ভালোবাসাতোমার অলিতে গলিতে হারিয়ে যাওয়া পুরনো স্মৃতি। বৃষ্টির জলের মাঝে কি এখনো তুমিচোখের জলের তফাৎ খুঁজো?

বিশাখার প্রাক্তন প্রেমিকও এখন,  মাঝে মাঝে সেই তোমার মতো বিশাখার গল্প বলে। ওদের গল্পটা লিখেই ফেলবো ভাবছি আমি। আমাদের তো অসমাপ্ত পাণ্ডুলিপি।

শালুকালয়ে একাই ঝিমোয় দেশ বাঁচাও, দেশ বাঁচাও বলতে গিয়ে কালো বুটের দালালের লাথি খাওয়া সদ্য বউয়ের সিঁথিতে সিঁদুর পড়িয়ে আসা নব্য জামাই। কবিদের তালিকা থেকে সরকার ও তার নাম কেটেছে বহুকাল আগে।

গুচ্ছ কবিতা- সুলতানা শিরীন সাজি




একটা জীবন খেলার ছলেই
ফুলে ফুলে সাজলো বাগান।
সেই ফুলেরই সুবাস টুকু হাতছানি দেয়।
ফায়ার প্লেসের কাঠের ভিতর জমা ছিল স্মৃতির আগুন।
পাগলপারা একটা দিনের ছবি জুড়ে তুই আর আমি।
হাত বাড়ালেই তোরই আকাশ,তোর চোখে্তে আমার যে জল।
কেউ কারো যে কাছের হবো,হতে হতেই হারিয়ে যাবো।
জানতি কি তুই আমার মত?
তুই বললি তাই,হাত ইশারায় মেঘের কাছে যাই।
একটু পাশে সরতে পারিস? তোর বুকেতে রাখতে পারিস নদী?
ইচ্ছামতো যখন তখন অবাক সাঁতার নিরবধি!
হরিণ ছানার আদর টুকু দিতেই পারিস, ঠোঁটের কাছে একটা পাখি অবাক ডাকে,
আয় শুনি আয়, পাখির গানে; ভোরের বেলা ঘুম চোখেতে,কার কতটা ইচ্ছে নাচে?
আসবি নাকি প্রানের কবি? তোর কবিতায় ধূসর ছায়ায় দূরের কোন গল্প হবো।
একটা দুপুর কেমন করে আমার কাছেই, নাকের নোলক হারিয়ে গেলি।
বাগানটুকুর যত সবুজ,তার চেয়েও তুই যে অবুঝ।
ভালোবাসার কাছে এলে তানপুরা তোর এমন বাজে।
শিখতে গেলাম পাখির কাছে,
পাখি ত নয় তোরই মতন ,উলটপালট স্মৃতির উড়াল।
আমার কাছে তোর বালিহাঁস ভালোই আছে,বুকের ভিতর নদীর কাছে।
তুই শুধু তুই কোথায় থেকে কোথায় গেলি?
একটা জীবন কোন খেয়ালে ইচ্ছেমতন ভেসেই গেলি।
সুনামী আর দাবানলের স্রোতের তোপে,আগুন হয়ে,
একটা জীবন ,
মরীচিকার মতই শুধু হারিয়ে গেলো!

03 January 2018

একগুচ্ছ কবিতা —সেলিম রেজা




[ কবি সেলিম রেজা এই সময়ের একজন  প্রতিশ্রুতিশীল কবি। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি সাহিত্য সাধনা করে আসছেন, লেখালেখির পাশাপাশি তিনি সম্পাদনাও করেন ইতোমধ্যে বেশ কিছু সাহিত্য কাগজ তিনি সম্পাদনা করেছেন। কবি’র জন্মদিনে সংবেদ্য’র পক্ষ থেকে রইলো আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং প্রকাশিত হলো  কবি’র লেখা একগুচ্ছ কবিতা]



কী হবে আর বেঁচে!
কী হবে আর বেঁচে!
তুমিই যদি হারাও নিকষ অন্ধকারে;
চোখের আড়াল হবেই যখন
এত্ত স্মৃতি কেনই বা দিলে ?
পরাজয় একদম মানায় না তোমাকে
জানি দুঃখ পুষে রাখো অহোরাত্রি
নিঝুম রাতে জেগে থাকো একা একা
নিভৃতে খুলে বসো কথার পুরান সিন্দুক
মনে হয় ভুলে আছো মিলনের ঠিকানা
প্রথম যেদিন চোখাচোখি ছুটির শেষ প্রহরে
জিজ্ঞেস করলেদেখছেন কী!
তদুত্তরে বললাম কাজল কালো স্বপ্নিল দু’চোখ
কী হবে আর বেঁচে!
যদি টের না পাও আমার উপস্থিতি
বুঝতে না পার জীবন বৃক্ষের শেকড় আমি
এত্ত ভালোবাসা কেনই বা বাসলে ?


গুচ্ছ কবিতা—দুর্জয় আশরাফুল ইসলাম




ধ্যান
কোন স্মৃতি বিস্মৃতির আনয়ন নয়
অন্ধকার ভেঙে আসা এক হাওয়া
অন্তস্থ গভীরে খুব করে তাড়া
একটা ভয় সুগভীর,
চক্রাকার বেড়ে ওঠা বজ্রপাত মতো
বিদীর্ণ হাহাকার জুড়ে দেয় অকৃত্রিম
তার ভাষা বুঝবার অভিপ্রায় ছেড়ে
ফিরে আসি স্তব্ধতার ভেতর,
আকাশ যেরকম ধুলিসমেত সাজে
সে মতো দৈন্যদশা নিয়ে এক ধ্যানী