বইমেলায় মুজিব ইরম প্রণীত দু’টি বই: চম্পূকাব্য ও জয় বাংলা
অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে মুজিব ইরম প্রণীত কাব্যগ্রন্থ চম্পূকাব্য ও মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস জয় বাংলা। চম্পূকাব্য প্রকাশ করেছে চৈতন্য প্রকাশন। প্রচ্ছদ করেছেন আনওয়ার ফারুক। ‘চম্পূকাব্য’ পাওয়া যাচ্ছে মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৬৩৪-৬৩৫ নং স্টলে এবং বাংলা একাডেমির লিটলম্যাগ চত্বরের ৭০ নং স্টলে।
মুক্তিযুদ্ধের
উপন্যাস জয় বাংলা প্রকাশ করেছে বেহুলাবাংলা। প্রচ্ছদ করেছেন দেওয়ান আতিকুর রহমান। বইটি
পাওয়া যাচ্ছে বেহুলাবাংলার ২৭৬নং স্টলে এবং লিটলম্যাগ কর্নারে।
কাব্যগ্রন্থ
চম্পূকাব্য নিয়ে মুজিব ইরম বলেন: “চম্পূকাব্য আমার ১৩তম কবিতার বই। প্রায় এক যুগ
ধরে চম্পূগুলো লিখেছি। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এই মেলায় তার আপাত পরিসমাপ্তি
ঘটলো। পেলো তার গ্রন্থরূপ। আলঙ্কারিক দণ্ডী তাঁর ‘কাব্যাদর্শ’ গ্রন্থে বলেছিলেন:
‘গদ্যপদ্যময়ী কাচিৎ চম্পূরিতাভিধীয়তে’ অর্থাৎ ‘গদ্য ও পদ্যে রচিত কাব্যকে চম্পূকাব্য
বলা হয়’। অন্য এক আলঙ্কারিক বিশ্বনাথ কবিরাজ ‘সাহিত্যদর্পণ’ বইয়ে বলেছিলেন: ‘গদ্য-পদ্যময়
কাব্য হলো চম্পূ’। চম্পূ শব্দের ব্যুৎপত্তিতে বলা হচ্ছে: ‘চম্পূয়তি যোজয়তি গদ্যেপদ্যে
ইতি চম্পূঃ’। অর্থাৎ ‘যে কাব্যে গদ্য ও পদ্য যোজনা করা হয়, সেটিই চম্পূ’। অতএব বুঝতেই
পারছেন, এই বইয়ের চম্পূগুলোতে আমি গদ্য-পদ্যের অসম বিবাহ দিতে চেষ্টা করেছি, ধরতে
চেয়েছি মাধ্যমিক মন, মনের বেদনা।“
আর
জয় বাংলা নিয়ে মুজিব ইরম বলেন: ''জয় বাংলা মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস। লিখতে শুরু করেছিলাম
২০০০ সালে। উপন্যাসটি হয়তো কোনো দিন শেষ হতো না যদি না বেহুলা
বাংলার কর্ণধার, কবি, প্রিয় চন্দন চৌধুরী নতুন করে উসকে না দিতেন। এক কিশোর চরিত্রকে
নিয় সব বয়সী পাঠকের পড়ার মতো আউট বই জয় বাংলা।''


পুরস্কার: মুজিব
ইরম ভনে শোনে কাব্যবান-এর জন্য পেয়েছেন বাংলা একাডেমি তরুণ লেখক প্রকল্প পুরস্কার
১৯৯৬। বাংলা কবিতায় সার্বিক অবদানের জন্য পেয়েছেন সংহতি সাহিত্য পদক ২০০৯, কবি দিলওয়ার
সাহিত্য পুরস্কার ২০১৪। কবিবংশ কাব্যগ্রন্থের জন্য পেয়েছেন ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য
পুরস্কার ২০১৪। শ্রীহট্টকীর্তন কাব্যগ্রন্থের জন্য পেয়েছেন সিটি-আনন্দ আলো সাহিত্য
পুরস্কার ২০১৬।
______________________________
No comments:
Post a Comment