19 January 2019

গুচ্ছ কবিতা—জকিয়া এস আরা



গিয়ারটা চেপে ধরো
এবার নিজেকে সামাল দাও, সামিনা,
গিয়ারটা চেপে
  ধরো,
জীবন মানেই কী, “কানামাছি ভোঁ ভোঁ যাকে পাবি তাকে ছোও”!
অথবা জাকিয়া যাবে—লং ড্রাইভে?
লং ড্রাইভ, জাকিয়া, লং ড্রাইভ!
শিলালিপির বয়স বাড়ছে, ওজোন—স্তর ক্ষয়ে যাচ্ছে!
আমাদের বদরাগী বাবার নিশ্বাসে
 কষ্ট হচ্ছে
উফ! হাসিটা থামাও
 তো বড্ড কানে লাগছে!
সামিনা তুমি কি শমীবৃক্ষ?
যুগ যুগ ধরে একই রকম থাকবে?
দেখছো না
 সবকিছু কেমন পালটে যাচ্ছে!
মোড়ের দোকানের মতিন এখন হবু শিল্পপতি!
ব্যবসাটা ভালোই
 বুঝেছে সে!
উফ! হাসিটা থামাও তো,
জীবনের
 গিয়ারটা চেপে ধরো!

14 January 2019

গুচ্ছ কবিতা —রিকি দাশ




অদৃশ্য স্রোত
শাড়ির আঁচলে লুকিয়ে রেখেছি প্রশমিত শামুকমায়া,
নবজাতকের কান্নার মতন ছিটকে আসা ভ্রুণ হাতে;
একবৃক্ষ আষাঢ়ী নকশার বেণী খুলে খুলে হতে চেয়েছিলাম গৃহত্যাগী!
 
পাছে জড়িয়ে পড়ি দু-হাত ভর্তি তেজস্ক্রিয় চুম্বনে
তোমার চোখের গভীরে উষ্ণ নিষিদ্ধ যে নদী;
তার শিরায় জু্ঁইফুলের সঙ্গম ঢেলে সুধার মতন পান করেছি কবিতা!

পৃথিবীর হরিৎ পেন্সিলে ভেসে উঠে এক একটি জিয়নকাঠি
বৈকালিক দেয়ালঘরে তুলসীতলায় ধুপধুনোর খেয়ালে;
ঠাঙিয়েছি অস্তিত্বের মোহমুগ্ধ চৌকাঠ!

হারিয়েছি,অতলে গিয়েছি,দেখেছি; দুপুরের অসুখে বুঁদ হয়ে থাকা স্তব্ধতা
হেমন্ত আকাশের কোন গোধূলি গন্ধে গৃহত্যাগী হব বলে বয়ে যাচ্ছি মানবীয় স্রোতে...!


চূর্ণী—উপহার



তুমি বলেছিলে বেশী কথা বলতে নেই।
কথা ফুরিয়ে গেলে সবকিছু বড় অসহ্য হয়ে ওঠে।
বলেছিলে—
এত প্রশ্ন কোরো না। করতে নেই।
আমি এমনিতেই ভীতু... এতসব ভারী ভারী কথায়,
গুটিয়ে গেছি আরও...
চুপচাপ রয়ে গেছি। প্রাচীন কোনো অসুখের মত।
মুখ তুলে চাইলেই
কড়া ওষুধ খেয়ে,
থামিয়ে দিতে পারো।

13 January 2019

গুচ্ছ কবিতা —সৈয়দ আহসান কবীর



চুপকথায় ডুবে আছে সময়
এভাবে কীভাবে চলে? চুপকথায় ডুব আছে সময়
ক্লান্ত হয়ে পড়ে আছে দিন, দুপুর; সাঁঝ—রাত—ভোর
শব্দহীন হয়ে আছে আমার যতো কবিতারা
গল্প বলে না কথা আর আগের মতোন।

07 January 2019

গুচ্ছ কবিতা— শাহিন চাষী



কালের পাণ্ডুলিপি
দিনের গল্প লিখতে গেলেই।
রাতের অক্ষর ভিড় করে দরোজায়;
অমানিশার উদরে হাসি?
অশ্রুর আলপনা চোখের পাতায়।

মাঠের বুকে—
রূঢ় মনে ফাঁদ পাতে নিষ্ঠুর মহাজন।
রক্তাক্ত শালিক,
নিহত সারস—বক;
হাড়গিলে, পানকৌড়ি শব্দহীন,
পৃথিবীর বুকে কেউ যেন নয় আপন!