08 October 2016

রাজন্য রুহানি





ব্যবচ্ছেদে সমূহপঙতি


নিরাশ্রয়ী পথে পথে ভুলে গেছি দৌড়।
চিনেছি হাতের তালুরেখা,
ব্যোমচারী তাল।
আয়াতের মদিরায় কখনো কি মরেছে অন্ধত্ব
মনচোরা ঘোরে
ঝরাপাতা ছুঁয়ে বলো ধর্মবণিকেরা,
কাঁকলাস গুরু?

ছোঁয়াচে রোগের পাশে লেবুকাঁটারোদ,
রক্তঘ্রাণে ছুটে আসে মাছি
শাণিত চাকুর ঠোঁটে চুমু খেতে খেতে।
এই খেদ অহুরমজদা,
দিকে দিকে জেগেছে আহরিমান।

নাটাই ও ঘুড়ি, সুঁতোহীন ঘরে কেউ কারো নয়।






ঘুমলোকে প্রত্যক্ষবৎ আলো

মরে গেছি। অশ্রুজলে একা একা স্নান করালে আমারে গহীন অরণ্যে। পথশূন্য চারিধার। তোমার হলুদ-লাল ওড়না কাফন হলো আজ।

ডুবে যাচ্ছে সূর্য। আমাদের দিকেই আসছে কয়েকটা বাঘ। তুমি ভয় পাচ্ছ। বুকে নিয়ে আমারে কাঁপন থামালে তোমার। একটা কুয়োর মধ্যে ফেলে দিলে অসাড় দেহটা। গাছেই উঠলে তুমি তাড়া খাওয়া বিড়ালের পায়ে। বাঘেরাও উঠল তোমার পিছুপিছু। লাফ দিলে তুমি কুয়োর ভিতর। ফিরে পেলাম তখন জীবন আমার।

চোখ মেলে দেখি সমস্ত শরীরে তোমার অজস্র তারা। সে আলোয় মুখটা তোমার কী সুন্দর চকচকে! আমারে তখন তুমি বুকে নিয়ে বললা,এখন মরো দেখি?

গাছ থেকে ঝরছিল ফুল। সপ্তবর্ণা পাপড়ির ওমে ফের ঘুমে যাচ্ছিলাম আমরা দুজন। জলদমন্দ্রে শুনছিলাম, তোমরা এখানেই নিরাপদ। থাকো থাকো। উড়োজাহাজ এলেই লুকাবে ঐ দূরের গুহায়। তার আগেই আমরা যাচ্ছিলাম সেই গুহা অভিমুখে।

এক সবুজ হরিণ বলল, আমার দুধ খেলে সেরে যাবে তোমাদের সমস্ত অসুখ। তারপর শুভ হবে গুহাটা তখন। দোহাতে থাকলা তুমি আরোগ্য লাভের সেই নীলদুধ। সুবর্ণধামের মাটিতে গড়িয়ে গেলো সবটুকু। আমি ভূতগ্রস্তের মতোন মাটির থেকেই শুষলাম দুধের রং। মাটিসহ খেতেই থাকলা তুমি দুধের নহর।

তারপর দেখি এক অদ্ভুতুড়ে কাঠি দিয়ে তুমি আঘাত করলা মাথাকে আমার। চিচিংফাঁকে দ্বিখণ্ডিত হলো দ্বারবন্ধ খুলি। তার ভিতরে তোমার চোখ দুটো রেখে দিয়ে বললা, এদের দৃষ্টিই তোমারে স্বর্গে নিয়ে যাবে।

-------------------------

No comments:

Post a Comment