দিগন্ত
ছুঁয়ে দেখার লোভে!
চর জেগে উঠেছে বিস্তৃত সব মেঘে,
খসে পড়ছে অ্যাংলোস্যাক্সন ইতিহাস
পার করে আসা সহস্র ভূগোল
ফেলে চলেছি এতকালের গুছানো সব সন্ধ্যা, মুগ্ধ নগর।
কোন শব্দ নেই থমথমে নিমতলার মতন নিঃসাড় শহরের কর্পোরেট গলি ছেড়ে;
হেঁটে চলেছি ক্রমশ গ্যালাক্সি জুড়ে।
কবিতার ক্ষেতে বুনে চলা রসায়ন চুষে শরীরে রাঙিয়ে নিবো যাযাবরের ব্যাধি।
উষ্ণ ঠোঁটে আলিঙ্গন করে শাণিত সব সকাল, একদিন যেন এক ঋদ্ধ আমি!
চিবুকের বা-পাশে রবীন্দ্রনাথ জপ-তপে ডানা মেলে ইট-কাঠের তান্ডব নীলকমলে।
গতির তীব্রতায় ছিটকে যাবে ভিসুভিয়াস।
ভূ-খন্ড ভেসে উঠবে পৃথিবীর লাভায়। ঠাই দাঁড়িয়ে শিল্প ছোঁয়ার তাড়নায় হেঁটে যাবো
অদৃশ্যে।
দু-চোখ ভরে দিগন্ত ছোঁয়ার লোভে...
অপার্থিব
এক কড়কড়ে দুপুর খসে পড়েছিল ঐ পথের বাড়ির ছাদে
একটি চেতনাশূন্য শ্রাবণ ফুটেছিল চোখে।
বলেছিলাম হৃদয় অবাধ্য মেয়ে!
একটি ঘুড়ি খুঁজেছিল শুভ্রনীল...
কাগজের নৌকায় ভাসিয়ে দিলাম সকল পার্থিব মুগ্ধতা...!
প্রকাশিতব্য মেঘ!
পৃথিবীর অভ্যন্তরে উত্তর মেরু ঘেষে ক্লান্ত বাতাস যখন চোখে কাঁটাতারের মতন বিঁধে,
বারান্দায় দাঁড়িয়ে বুক ফুলিয়ে তখন ঈশ্বরের কাছে আমি চাইতে থাকি প্রকাশিতব্য
চোখসম মেঘ!
স্পন্দনহীন দেয়ালে দেয়ালে ভাষ্কর্য খচিত হয় মেঘের কথা।
পরেরবার বৃষ্টি এলে আমরা নাম দিই সুখগাঁথা।
রজনীগন্ধার বেনুনি ঝুলিয়ে মেতে উঠি সমুদ্রমন্থনে।
যেমন করে টর্নেডো ঝুলিয়ে রাখে পরবর্তী রোদ!
ঠিক যেমন করে সহস্র অশ্রু ঝরে গেলে স্নিগ্ধ হয় হৃৎপিণ্ড!
তেমন করে চড়ুইয়ের সংসার জুড়ে চলে কেবল তোমার আমার শব্দ গোছানো।
সন্ধ্যার শীতল স্পর্শে উড়ে আসে সমূহ বাগানের রোজকার গল্প।
নিয়তির ঊর্ণনাভ ক্রমশ
বেঁধে ফেলে অপেক্ষার জালে।
ঝাঁঝালো দিন, স্নিগ্ধ সন্ধ্যা,শান্ত রাত সব পরিষ্কার করে তুলে রাখি এক কৌটায়।
শিমুল তুলোর মতন উড়ে উড়ে যায় গল্পকথার খোসা।
তবুও মাঝ বিকেলে পৃথিবীর অভ্যন্তরে উত্তর মেরু ঘেষে দাঁড়িয়ে আমি পাঠ করি প্রকাশিতব্য
চোখসম মেঘ।
দেখি ব্যবধানের বৃষ্টিদানা ক্ষেত,
নিঃসাড় কিছু অস্তিত্ব কেবল!
:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
No comments:
Post a Comment