প্রথম সকালের সূর্য চোখে নিয়ে-
কেউ একজন প্রশ্ন করেছিল,
ভালোবাসা চেনো বালিকা?
উত্তর দেবে কি,
বালিকা তখন তপ্ত রোদ্দুরে পুড়ে ছারখার..
তাকে জ্বলতে হয়েছিল এমন আগুনে,
যার জানা নেই কি করে নিভে যেতে হয়!
দ্বিতীয় প্রহরের বর্ষা হৃদয়ে নিয়ে-
সে আবার প্রশ্ন করেছিল,
কোনদিন কাউকে ভালবেসেছো, বালিকা?
নিরুত্তর বালিকা তখন
জলের প্রাবল্যে ভিজে একাকার..
সিক্ত দেহের আনাচে কানাচে
জল নিয়ে লণ্ডভণ্ড খেলা শিখেছিলো সে!
তৃতীয় পক্ষের চন্দ্রাহত রাত শরীরে নিয়ে
সেই একজনই বলেছিল-
এসো তোমায় শিখিয়ে দেই ভালোবাসা কি...
বালিকা এড়াতে পারেনি সেই জ্যোস্নার্ত আহবান,
তাই গিয়েছিল ভীরু পায়ে
তারপর একে একে পেরিয়েছিল
নিষিদ্ধ সব দরজা,
অজস্র পাপগ্রস্থ জানালা
বুঝেছিল জলে ও আগুনে একত্রিত দেহে
কি অসহ্য হাহাকার!
বালিকা তোমায় চিনতে হবেনা
ভালোবাসা কি,
শিখতে হবেনা ভালোবাসার স্বরূপ,
বুঝতে হবেনা ভালোবাসাহীন বিপরীত...
তুমি শুধু শৈশব শেষে দুরন্ত কৈশোর চেনো,
শেখো স্বপ্নভঙ্গ এড়িয়ে কি করে
রূপকথায় বাঁচতে হয়,
বুঝে নাও জীবনের মূলমন্ত্র
প্রার্থনা আর বাস্তবতায়।
আর তাহলেই তুমি জানবে
ভালোবাসা আসলে কাকে বলে,
কি করে ভালবাসতে হয়
নিজের চারপাশে বৃত্ত এঁকে
এবং কিভাবে মনকে
থামিয়ে রাখা যায় অনন্ত কৈশোরে!
No comments:
Post a Comment