অনুরণন
উদ্ভ্রান্ত মস্তকে স্মৃতির অনুরণন
সন্ধ্যায় ভূত ভবিষ্যৎ
দাঁড়িয়ে থাকে উদাসীন চোখে
আমার স্বচক্ষে ইকোলোকেশনে পথ হাঁটা
বাঁধা তবু সম্মুখের রাজা
চারপাশ ঘিরে....
স্মৃতির গলিত চর্বিতচর্বণ
জাবরকাটা পশুর মতন
তুমি আমি আমি তুমি একদা অরণ্যে
পারমুটেশন আর কম্বিনেশন
আর কুয়াশা ধাক্কা মারে আজ
মগ্ন চৈতন্যে নিউরনে অনুরণন।
রাতের ভেতর সকাল খুঁজি
একটা রাতের ভেতর আমি সকালকে দেখবো বলে রাত জেগে থাকি।রাত ঘন হয়ে
তারা সপ্তর্ষি কিংবা চন্দ্রের সাথে বিক্রিয়া ঘটিয়ে সকাল হয়। সকালে আমি মহা বিরক্তি নিয়ে ঘুমিয়ে থাকি রাত দেখবো বলে।
রাতের ভেতর আমি খুঁজতে থাকি রাস্তার কিছু উশৃংখল,পঙ্গপাল, ভবঘুরে,ফকির
স্যাক্সোফোন বাঁশি। জীবন এদের
কিন্তু বৈচিত্র্য হলেও সাদামাটা নয়।অভাবের মাঝে আছে চাঁদের সাথে বৈঠক পাতার
নিমন্ত্রণ। জীবনের কিছু মানে বুঝে নেওয়ার
অভিপ্রায়। ইট কাঠ কংক্রিটের ভেতরে
প্রজননধারীরা রতিক্রিয়ায় মগ্ন।
ওটাও জীবন।
কোনো মানে নেই।
এদিকে রাতকে উলঙ্গ করে ওরা চাঁদের সাথে করে ভাব। সৃষ্টি করে
বিবাগী সুখের ভেতরে সকালের লম্বা সফর। রাত শুধু স্বার্থক হয় কোনো অন্ধ
স্যাক্সোফোনের কণ্ঠে, কিংবা উন্মাদের বকাবকিতে,
কিংবা ফকিরের বাঁশি, ভবঘুরের সংসারহীন
বিড়ির টান নিয়ন আলোর নিচে বসে।
আমি শুধু খুঁজি রাতের ভেতরে কোনো এক
সকাল।
ঝলসিত
হয়ে যায় প্রতিটি রাতবিরেতে হাঁটা-
অগুনতি পথিকগুলো আর স্থির ঝাউগাছগুলো
বেশ ভাল অতি মনোরম এই দৃশ্যে সব ঢাকা পড়ে।
অগুনতি পথিকগুলো আর স্থির ঝাউগাছগুলো
বেশ ভাল অতি মনোরম এই দৃশ্যে সব ঢাকা পড়ে।
নিজেকে বড়ই অচেনা লাগে এই নিয়ন আলোয় স্নান করে।
সবার লাগে কি?
লাগে হয়তবা।
সুপ্ত মনগুলো, লুপ্ত হয়ে থাকে এখানে সেখানে
কালিঝুলিমাখা কোনো আস্তিন আদলে, ফুটপাতে
সুপ্ত মনগুলো, লুপ্ত হয়ে থাকে এখানে সেখানে
কালিঝুলিমাখা কোনো আস্তিন আদলে, ফুটপাতে
রাস্তাবাসী, পঙ্গপাল, বাউন্ডুলেদের।
রাত্রিবেলা নিয়নের ধোঁয়ার নিকটে হেঁটে গেলে
বেসুরো গলায়
গীটারের গান আসে জীবনমুখী মনোরম।
আর...
ঘরমুখো মানুষের পায়ের শব্দ নিতে নিতে আমার ভেতরে কত স্বপ্ন উঁকি দেয়!
স্বপ্ন দেখে যাই আমি একা একা এই পথিক নীরবে
তিনশো বছরের ধূলি ধূসরিত এই সিমেন্টের জঙ্গলে।
আর...
ঘরমুখো মানুষের পায়ের শব্দ নিতে নিতে আমার ভেতরে কত স্বপ্ন উঁকি দেয়!
স্বপ্ন দেখে যাই আমি একা একা এই পথিক নীরবে
তিনশো বছরের ধূলি ধূসরিত এই সিমেন্টের জঙ্গলে।
No comments:
Post a Comment