14 March 2019

সমকালীন কবিতা- রিকি দাশ



রংধনু
ব্রহ্মাকন্যা সন্ধ্যার পূর্বাভাসে,
টগবগে গন্ধরাজ ফুটেছে আকাশে!


বাঁধ 
এ ঘোর ও ঘোর ফেলে এ কোন ঘোরে মুখ গুঁজেছো,
নীলের নীলক্ষেতে কেন ত্রিমুখী বাঁধ সেজেছো!  



উপন্যাস 
জং ধরা শিল্পে পেরেক ঠুকছে কাঠঠোকরা,
তা নিয়ে উপন্যাস বানিয়ে দিল কিছু ছোকরা।  


বিকেল
দিনান্তের ঝুমঝুম,মোহমুগ্ধ নির্ঘুম। 
দু-হাতে বালি,নিমের ডালি।
বুক জুড়ে বাতাস,ব্যবধানের আভাস।


খোঁজ
সন্ধ্যা এলেই পোড়া আধার ডাকে,
নিখোঁজ নীলে কি যেন হারিয়েছিল!
শাঁইশাঁই শব্দে চলে যাওয়া সব, রক্তিম চুম্বন। 
গৌটা রোদ্দুরে আমার জ্যামিতি!  


বেঁচে থাকা
ওয়াই-ফাই অনলাইন,
স্যাটেলাইট কানেকশন,
ফ্রিজের কোমল জুস,
প্রতিদিনকার লং-এলাচ ঘ্রাণ,
এলোমেলো গুছানো সব,
বাইরের টা টিপটপ। 
গভীরে আমার সংসার, বৃষ্টি,
কাঞ্চনজঙ্ঘা আর পরতে পরতে তুমি!


ভ্রম
কদাচিৎ ঘুম ভাঙে আমার,
অথচ মনে হয় কতরাত ঘুমোয়নি..!          . 



রোমন্থন
মেঘের ভ্রূণ খসে পড়ছে মাটিতে,
রাজকীয় শিশিরে রোদের চোখ টিপে।
এমনতর খোপার ড্রয়ারে গুছিয়ে রেখেছি কত হরিণী শিল্প,
নদীমাখা অল্পবিস্তর গল্প!




বর্তমান
দোকানিদের ভিড়ে চুরি ঘটে যাওয়া বিকেলের ফোন নম্বরে সেদিন ফোন দিয়েছিলাম,
উত্তরে বললো,আমরা বাকি এবং অগ্রিম বুঝিনা বাপু!



রবীবাবু
সিঁধুর আকাশে মেঘ করলেই মনে পড়ে অমৃতহ্রদের কথা।
চৌরাস্তার প্যারাডাইজ...উফফ!
জ্বালিয়ে ছাড়লো রবীন্দ্রনাথ!


অতীত
মৃত্যুর আগের অধ্যায় আমি ভুলে গিয়েছি বেমালুম।
ঠিকমতন শ্যাওলাতে বৃষ্টিনাচন দেখেছি কিনা জানিনা,অথবা গভীর রাত।
ঠিক মনে নেই তুমি দেখতে কেমন ছিলে! 


দুপুর
দুপুরকে মনে হয় ঝাল তরকারির মতন ঝাঁঝালো আলুর দম, 
ফুলকো লুচির মতন ফুলে উঠে গিলে খায় গৌটা শহর।


জ্যোৎস্না
চল আধারে যাই,
কয়েক পেগ জ্যোৎস্না গিলে খাই।
প্রলয়
চোখে মুখে লেপ্টে আছে প্রলয়;
সো কলড ফর্মালিটি,
মাস শেষে মাইনে,
লং-এলাচ সংসার, 
তোমার-আমার ভেতর অবিরত প্রলয়।


সম্রাজ্ঞী
জলের ঘুঙুরে পাখির কোরাসে সেই এক সম্রাজ্ঞীর মতন মূর্ছনা জাগে।  



সময়
ঐ যে শাণিত গীটার কাঁচঘরে টুংটাং শব্দ তোলে, ম্লানমুখো টেবিলে ওপাশ মুখ করে  থাকা চন্দ্রমল্লিকার ঘ্রাণ; এক বলয় থেকে চলে যায় অন্য বলয়ে...!  


ডিটেকটিভ
শেলফে গুছানো আছে শার্লক হোমস্;
ঘুণে পোকার ডিটেকটিভ চোখ, 
এখন গিলে খাবে সমগ্র জীবন!



No comments:

Post a Comment