বার্তালাপ
ঘোরের আধারে শীতফুল ফুটে আছে
শহরের ঠোঁটে নিয়ন আলোর সুড়ঙ্গ
ধরে
দীর্ঘ বয়ে গেছে যে রাত তার বুকে
যাত্রীছাউনি নেই।কেবল রেলপথ, আছে
দুরারোগ্য মাইক্রোফোনে ভেসে আসা
আকাশের
চিবুকে তিলের ঘোর।চমৎকার সিল্ক
তিলে যেন জমে থাকে সমূহ উপকথা।
বয়স্ক রাতের ভুমি খুঁড়ে খুঁড়ে
প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতন বের করে আনি প্রেমের ভাস্কর্য।প্রফুল্ল শুভ্রতায় আমরা অপরিচিতের
মতন বার্তালাপ চালায়।
জন্মস্রোতে জ্বলতে জ্বলতে নিভে
যাওয়া মোমবাতির রক্তিম চুম্বন,সিঁড়ি বেয়ে উঠে আসে যুবতীর সৌন্দর্য,
কালোত্তীর্ণ অনুভুতি-
যেন প্রথম মেঘ ধরা,
প্রথম জ্যোস্না গিলে খাওয়া,
প্রথম প্রেমে পড়া...
জামরুল গাছটি
উঠোনের জামরুল গাছটি নির্জনতা
খোঁজে।
তার গায়ে লেগে থাকা বিকেলের চাকচিক্য
পাশ দিয়ে সাপের মতন ফোঁস করে যাওয়া,
ক্রোমিয়ামের তৈরি শাদা ধবধবে গাড়ি,
সাহেবি ট্রাউজার,মলিন কাপড়,অথবা
গেরুয়া বসন,
দু-পায়ের অস্থির ধ্যান...
জামরুল গাছটি নির্জনতা গায়ে মাখে।
তার ডালে অসংখ্য মুকুল,
হাওয়ায় বৈরাগী প্রেম,
শাখা-প্রশাখা স্টেনগান নিয়ে দাড়িয়ে
থাকা এক একটি উগ্র-পাহারাদার,
কুটে কুটে খাওয়া পাখিদের ভিটেবাড়ি,
জড়িয়ে থাকা প্রেমময়ী দুর্বাঘাসের
দল....
জামরুল গাছটি নির্জনতা শোনে
রাতবিরেতে সে আধার ভালোবাসে,
নৈঃশব্দের ঠোঁটে চিহ্ন এঁকে মানচিত্র
লেপ্টে দেয়।
নিরবতার ঐশ্বর্যে সমস্ত দিনের
প্রতিচ্ছবি দেখে।
___________________________
No comments:
Post a Comment