11 April 2017

রুদ্র নীলিম





মোমের আলোয় আঁকা- ২০০৪
কি একটা আঁকবো বলে সকালে তোর কফির কাপ কেড়ে নেয়া রোদ আর আমার
গোপন আঁতাত;তুই উড়ে গেলি ঘুড়ি হয়ে বিহানের কুয়াশা ফুঁড়ে; দারুণ গতি ছিল;
আকাশে চোখ চাওয়া কতদিন কতকাল জানা নেই
আমিও অপেক্ষার পাগলা রক ওয়েটিং এ ভাঙা এক চেয়ারে কাটিয়ে দিলাম
গণনা বিহীন কুয়াশা বয়স;বসন্ত আর শিমুল তুলো মাখা চঞ্চল চোখ চাওয়া
অথচ তুই বর্ষার ছাইভস্ম মেখে দাঁড়ালি বিকালি জানালায়। মাঠ ভর্তি বিদি ঘাস ঠায় দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখলো,চিনেছিলি সাঁঝের ঘরফিরতি রাখালেরে; হাতে আধহাত মাপের শাসনের মসৃণ লাঠি।
তুইও ফিরে গেলি
তুইও রেখে গেলি
তুইও মেখে গেলি নাগরিক প্রসাধনী;নীল রঙ মনে রাখা অবাধ্য আঁকিবুঁকি
আমার ক্যানভাস চুরি হয়ে গেলো যেটায় তোর ছাপে একটা অসমাপ্ত সুখের মানচিত্র আঁচড় লুকানো ছিলো



ক্যামেরাবন্দি সুখ ২০০৩
পুলকিতা,
তোমার স্বপ্নচোর বন্দি ঘোরের শেকলে; উপরের সামিয়ানার আলো আধখানা
আবছা পাটখড়ি শরীরের ছায়ায় কুয়াশা
আর
সোডিয়াম;ফ্যান্টাসি ড্রিমে ফুটপাথে অগনিত জানালা
তবুও
চুলচেরা চোখাচোখি দেখছে মধ্যেবয়সী ক্যামেরার চোখ
আর আগামীকাল হাসছে হ্যাংলা সুখে

আমাদের চোখাচোখি আটকে আছে তো আছেই।



No comments:

Post a Comment