দরজায় আলতো
করে কড়া নাড়ার শব্দ। পশ্চিমের দেয়ালে সেঁটে থাকা ঘড়ির দিকে তাকালাম- রাত ১১:৪২
মিনিট। মেয়েটি কিছুক্ষণ আগেই ‘গুট নাইট’ জানিয়ে
গেল। আবার কি বলতে চায়? আজ সারাদিন অনেক ধকল গেছে। ঘরের
দক্ষিণ কোণ থেকে উত্তরের সীমানা যেন কয়েক মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত। পায়ের পাতা মেঝের
সাথে থমকে থমকে যাচ্ছে যেন। ছোটবেলায় যখন স্কুলে যেতাম, খুব
করে যখন বৃষ্টি হত, খালি পায়ে এঁটেল মাটির কাদা চটকে চটকে
আমরা স্কুলে যেতাম। আমি আর রহিম। পরে রহিম স্কুল ছেড়ে সব মৌসুমেই কাদা চটকানোর কাজ
জুটিয়ে নিলো- কাদা চটকে চটকে গ্রামে গ্রামে কাঁচামাটির ঘর বানিয়ে বেড়াত। আমি ওকে
কাদা মিস্ত্রি বলতাম- সে অনেক অনেক দিন আগের কথা! আজ আমি মেঝেতে ঐ এঁটেল মাটির
গন্ধ পাচ্ছি। স্যাঁতসেঁতে-নোনতা গন্ধ, সাথে রহিমের শরীরের
ঘ্রাণটাও মিশে আছে। খুব কষ্ট করে দরজার কাছে পৌঁছলাম।
‘আবার
দরজা খুলছো কেন? একটু আগেই না একবার খুললে!’ -আমার স্ত্রী মশারি টাঙাতে টাঙাতে বলল।
এমনি
আমি উত্তরে বললাম। দরজা খুলেই খানিকটা দূরে দেখি মা দাঁড়িয়ে।
ওহ,
মা! কিছু বলবে?
‘আমি
বোধ হয়...!’
তুমি?
কি মা ! কিছু কি হয়েছে?
মা
অনেকক্ষণ কোন কথা বলেন না।
‘না,
কিছু না।’ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে মা সরে
যেতে লাগলো, সরে সরে যেতে থাকলো একটা প্রাচীন নিস্তব্ধতা।
আমি
দরজা লাগিয়ে দিলাম।
‘তোমার কি হয়েছে বলো তো?’ -নীলু বলল। ও ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে। ঘুমাতে যাওয়াটা ওর কাছে
পার্টিতে যাওয়ার মতই। কম করেও একঘণ্টা ঘুমানোর প্রস্তুতি চলবে আয়নার সামনে। আমি
দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ি প্রায়ই প্রতিরাতেই। আমার ঘুম ভাঙ্গে দরজায় কড়া
নাড়ার শব্দে। খুবই অস্পষ্ট শব্দ, যেন স্বপ্নের ওপার থেকে
ভেসে আসছে অস্তিত্বে। উঠে বসি। নীলু অঘোরে ঘুমোচ্ছে। সমস্ত পৃথিবীর সুখ এখন ওর
নিঃশ্বাসের পথ ধরে একটু একটু করে তলিয়ে যাচ্ছে। মশারির বাইরে এসে চোখটা ভালো করে
ডলে নিই। ঘড়ির দিকে তাকাই, রাত ১টা ৬মিনিট। দক্ষিণের
জানালা খোলা। বৃষ্টির ফোটার মতো জোছনা পোকা এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে। নাকি
বৃষ্টিই হচ্ছে, সোনালী বৃষ্টি? ঝিঁঝিঁ
পোকা ডেকে যাচ্ছে অনবরত। মাঝে মাঝে ডেকে উঠছে শেয়াল। মাঝরাতে পুরো শহরটা যেন
পরিপূর্ণ গ্রাম বনে যায়! এই শহরটা কোন এক সময় গ্রাম ছিল, শেয়ালগুলো
তখন থেকেই ডেকে আসছে। শেয়ালের ডাকের সাথে সাথে মাঝেমধ্যে আদিম মানুষেরও চিৎকার
শোনা যায় আনন্দ কিংবা বেদনার। দিনের আলোয় ওরা সভ্যতার সাথে মিশে যায়। সবকিছু
একাকার হয়ে যায় নীলুর শরীরের প্রতিটা ভাঁজে। আমি খুব আলতো করে দরজার দিকে পা
বাড়াই। ঘরের ফার্নিচার গুলোর দিকে একবার চোখ বুলিয়ে নিই। ঠিক জায়গাতেই আছে বোধ হয়!
মাঝেমধ্যে ওদের ফিসফাস শব্দ আমার গভীর ঘুম ভেদ করে আমাকে সেই বাল্যকালের ভুবনে নিয়ে
যায়। ওদের শব্দে আমি কদম ফুলের গন্ধ পাই।
মা?
এখনো ঘুমোও নি?
মা
কোনও কথা বলেন না।
কিছু
বলবে মা?
‘না,
বাবা।’
তাহলে
? তোমার কি শরীর খারাপ?
‘আমি কি
যেন একটা রেখে গিয়েছি?’
তুমি
আবার কি রেখে গেলে?
‘চশমা?
’
চশমা
তো তোমার চোখেই আছে!
‘ওহ!
তাহলে অন্য কিছু- মনে করতে পারছি না।’
ভেতরে
এসে দেখবে?
মা
ছায়ার মতো নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে থাকে। আমরা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে,
মাঝখানের দূরত্ব বাড়তে বাড়তে কয়েকশ’ বছর
ছাড়িয়ে যায়।
আমি
দাঁড়িয়ে থাকি সভ্যতার দিকে পিঠ দিয়ে ভবিষ্যৎ আর অতীত যেখানে অনন্তকাল ধরে বর্তমান সেই দিকে মুখ করে। মা কখন চলে
যায়, টের পাই না কিছুই।
নীলুর
ডাকে চমকে উঠি।
‘কি হল?
ওখানে ওভাবে দাঁড়িয়ে কেন?’
এমনি।
-আমি বিড়বিড় করে বলি।
দরজা
বন্ধ করে বারান্দায় যাই। সিগারেট ধরাই। সিগারেট খাওয়াটা নীলু একদমই পছন্দ করে না।
ওর ধারণা আমি ওকে মাঝবয়সেই একলা করে টিকিট কাটবো ওপারের। সিগারেটের ধোঁয়া
কুন্ডুলি পাকিয়ে অন্ধকারে মিশে যায়। আরও গাড়-ঘন হয়ে ওঠে অন্ধকার। আমার মতো ধোঁয়া
জ্বালিয়ে জ্বালিয়ে কারা যেন এই অন্ধকার তৈরি করে। কেউ একজন আদর করে তার নাম দিয়েছে
রাত। খুব মিষ্টি একটা নাম! অন্য নাম হলে অন্ধকার এতো মধুর হত কি না সন্দেহ। আমি
যখন বাল্যকালে নীলুর সাথে প্রেম করতাম, তখন আমি ওকে ‘মন্থন’ বলে ডাকতাম। শব্দটা আমি সমুদ্রের তলদেশ
থেকে কুড়িয়ে এনেছিলাম। আমাদের বাড়ির পেছনের বদ্ধ-জলাশয়টি থেকেও হতে পারে। ওর আরও
ডজনখানেক নাম ছিল আমি সুখ পেতাম ওই একটিতেই। একদল জোনাকি পোকা বাতি জ্বালিয়ে
হন্তদন্ত হয়ে রুমের মধ্যে প্রবেশ করে। একটি এসে বসে আমার বাম দিকের কলারের উপরে,
কানের ঠিক ইঞ্চি তিনেক নিচে। হয়ত কিছু বলতে চায় আমাকে। বলতে চায়,
নীলুর মতো ওরও সিগারেটের ধোঁয়া অসহ্য লাগে। কিন্তু ও কিছুই বলে
না। নিঃশব্দে জিরিয়ে নেই খানিকটা সময় তারপর আবার উড়ে যায় শূন্যে। বাকিরা আমার রুম
তন্নতন্ন করে তল্লাসি করে, কয়েকটি ঢুকে যায় নীলুর
পেটিকোটের ভিতরে, হয়ত আরও গভীরে আজকাল মানুষকে বিশ্বাস
করা বড়ই কঠিন, ওরাও সেটা সত্য বলে জানে।
দরজায়
কড়া নাড়ার শব্দে আবারও ঘুম ভেঙ্গে গেল। আমি বারান্দাতেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হাত
ঘড়িতে সময়টা দেখে নিই রাত ৩টা বেজে কয়েক মিনিট। বেশ বিরক্তের সাথে দরজার দিকে
এগোই।
‘মা,
তুমি? এখনো ঘুমাও নি?’ বিরক্ত কিছুটা মুখেও ফুটে ওঠে।
‘ঘুম
আসে না, বাবা।’
‘তুমি
ঘুমোওনি?’
আমার
সকালে অফিস মা। ভোরে উঠতে হবে।
‘ওহ।’
মা
পিছন দিকে পা বাড়ায়। আমি এগিয়ে যাই খানিকটা। মাইলের পর মাইল।
মা,
তোমার কি শরীর খারাপ? কি হয়েছে তোমার?
‘আমি কি
যেন পাচ্ছি না খুঁজে!’
কি, বলো মা? আমি তোমাকে খুঁজে দিচ্ছি।
‘ঠিক মনে করতে পারছি না, বাবা।’
মা চলে
যায়। মার পিছনে হাঁটতে হাঁটতে আমি সমুদ্র দেখে আসি। ছেলেবেলায় এমনি করে বাবার
পেছনে পেছনে আমাদের দক্ষিণ শালিকের মাঠের বিল দেখে বেড়াতাম। একবার সার্কাসও
দেখেছি। আর একবার অন্ধ গলির মধ্যে ঢুকে পড়েছিলাম। বড় হয়ে জেনেছি, ওটা ছিল নেশা আর নষ্ট মেয়েদের গলি। মেয়েরা কি আমাদের কলতলার পেয়ারা
গাছের পেয়ারা যে সময়মত না ছিঁড়লেই কলতলার সেই স্যাঁতসেঁতে মাটিতে পড়ে নষ্ট হয়ে
যাবে? সেদিনকার সেই প্রশ্নের উত্তর আজও পাইনি। বাবা বেঁচে
থাকলে জিজ্ঞেস করতাম। আমার জন্মের তিন দিন আগে তিনি আত্মহত্যা করেন। কারণ, তাঁর বেঁচে থাকতে ভালো লাগতো না- পরে আমাকে বাবা বলেছিল এই কথা। অনেকে
বাবার মৃত্যুর জন্য মাকে দায়ী করতো, আমাকেও করেছে কেউ
কেউ। আমি জানতাম, বাবার মৃত্যুর কোনও কারণ ছিল না। আমিও
একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলাম- চেষ্টাই বোধ হয়! বাবার মতো কোন কারণ ছাড়াই।
খ
আজ আমার ফিরতে বেশ রাত হল। প্রায়ই রাত হয়ে
যায়। সরু গলি ধরে বেশ খানিকটা হাঁটতে হল। আজ খুব বিচ্ছিরি অন্ধকার। মই বেয়ে ছাদে
ওঠার মতো বেশ সাবধানে পা ফেলতে হচ্ছে। ছোটবেলায় একবার মাকাল ফলের ভেতরে এমন
অন্ধকার দেখেছিলাম। বাবা আমাকে আর মিতুকে বোকা বানানোর জন্য এনে দিয়েছিল ফলটি।
আমাদের পাড়ার গোরস্থানে প্রচুর ফলতো এই ফল। মিতু আমার যমজ বোন। বাবা নাকি মাকে
বলতেন,
‘আমাদের মেয়ে হলে নাম রাখবো মিতু আর ছেলে হলে মিথুন।’ মিতু হয়নি, আমি একাই হয়েছিলাম। আজ বিদ্যুৎ নেই
কিংবা থাকলেও আমি তার অস্তিত্ব টের পাচ্ছি না। মাঝেমধ্যে আমি বড় অন্ধকার দেখি
চারপাশ। অন্ধকারে আমার বাড়ি খুঁজে পেতে বেশ কষ্ট হয়। মনে হয় গলির সবগুলো বাড়িতে
নীলু ড্রেসিং টেবিলে বসে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। পদক্ষেপ গুনে গুনে অগ্রসর হই।
ঠিক মনে করতে পারি না, কতটা এগোলে আমি ঠিকানা খুঁজে পাবো। অন্ধকারের
শাড়ি পরে প্রতিটা বাড়ি ঘোমটা দিয়ে দিব্যি বসে আছে। অন্ধকারের দেবতার সাথে এখন তার
মিলন ঘটবে, জন্ম হবে অনেকগুলো অন্ধকারের। আমি ঢুকে পড়ি
একটাতে। নীলু ড্রেসিং টেবিলে বসে। নীলুই তো? নীলুর মতই
সবকিছু শুধু ঘরের ফার্নিচারগুলো একটু এলোমেলো। ও ঘরে মা মিতুকে সেই কবেকার গল্প
শুনিয়ে ঘুম পাড়াচ্ছে। আমি ক্লান্ত- বেশ ক্লান্ত। নীলুকে দেখতে দেখতেই ঘুমিয়ে পড়ি।
আরও কি কি যেন দেখছিলাম! ঘুম ভাঙলো দরজায় কড়া নাড়ার শব্দে। আমি উঠে বসি। নীলু
কিংবা নীলুর মতো মেয়েটা অঘোরে ঘুমোচ্ছে। রাত ১টা ২৫মিনিট। ঘড়িটা দেয়ালের উত্তর
দিকে। কিংবা পশ্চিমের দেয়ালটাই উত্তর দিকে সরে গেছে। দরজায় হাত দিতেই খুলে যায়।
নীলু বোধ হয় লক করতে ভুলে গিয়েছিল। এই ভুলটা ওর খুব বেশি হয় না। আজ হয়েছে। দরজার
ওপাশে খাঁ খাঁ শূন্যতা।
মা? আমি এদিক-ওদিক তাকিয়ে বলি। কোথাও কেউ নেই। অনেক সময় মা এভাবেই চলে যায়।
আমি দাঁড়িয়ে থাকি অনেকক্ষণ। প্রতিদিনকার মতই নিথর, নিশ্চুপ,
শব্দহীন।
‘কী করছ ওখানে? এনিথিং রং? ওই দুর্ঘটনার পর থেকে তোমার কি হয়েছে বলো তো?’ -নীলুর কথায় চমকে উঠি।
ও কিছু
না। এমনি।
আমি
বারান্দায় গিয়ে বসি। সিগারেট ধরাই। সিগারেটের আলো জোনাকি পোকার মতো জ্বলে আর নেভে।
জোনাকি পোকাগুলো আজ এতক্ষণে বিশ্রামে গেছে। শেয়ারগুলো ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে
কবেই। ঝিঁঝিঁ পোকারা ডেকে চলেছে একটানা। ওরা ক্লান্ত হয় না সহজে। আরও একটা সিগারেট
ধরাই। বারান্দার সামনে একটা গাছ আছে, বৃক্ষ জাতীয়। আমি ওটার
নাম জানি না। পৃথিবীর সমস্ত গাছ বলতে আমি এখন ওটাকেই বুঝি। যেমন নারী বলতে নীরা।
গাছটি নিঃশ্বাস নেই বেশ জোরে জোরে। অনেকটা মার মতো করে। বাবাও এমন করে নিঃশ্বাস
নিতো, মার মুখে শুনেছি। গাছটির ফাঁক ফোকর দিয়ে খামচা
খামচা আকাশ দেখা যায়। তারাগুলো মনে হয় গাছে ঝুলে আছে। আমি একবার মিতুকে বলেছিলাম-
দেখ মা, আমাদের গাছটিতে কেমন তারা ধরেছে! মিতু আমার মেয়ে।
ওর জন্ম হওয়ার কথা ছিল এক অমাবস্যার রাতে। হয়নি। সেবার অমাবস্যা বেশ বিলম্ব করে
এসেছিল। মিতু আবদার করে বলেছিল, ‘আমাকে একটা তারা পেড়ে
দেবে, বাবা?’ আজ বিদঘুটে অন্ধকার,
আকাশের মেঘগুলো ছানা কাটা দুধের মতো বিগড়ে গেছে- কারা যেন চুরি
করে নিয়ে গেছে তারাগুলো। থাকলে আজই একটা পেড়ে দিতাম মিতুকে। গলির মোড়ে একটা কুকুর
ঘেউ ঘেউ করছে কখন থেকেই। ওর কণ্ঠস্বর আমার সেই ছেলেবেলার কুকুরটির সাথে অবিকল মিলে
যায়- যেমনি গ্রাম্যতায় তেমনি গন্ধে। ও অদৃশ্য চোরদের সন্ধান পেয়েছে বোধ হয়। নাকি
ওই সাবাড় করেছে সবগুলো তারা? হালকা বাতাস বইছে, কারও নিঃশ্বাসের মতো থেমে থেমে। বাতাসে পোড়া মাটির গন্ধ-ভাপসা মাটি
রোদে পুড়লে এমন গন্ধ হয়। আমাদের রান্নাঘর থেকে এরকম গন্ধ বের হতো, যখন মা চুলার পাশে অনেকক্ষণ বসে থাকতো। তখন অবশ্য গন্ধটা বেশ মিষ্টি
লাগলো। আমি ঘনঘন নিঃশ্বাস টেনে মার হলদে মাখা শরীরের গন্ধ নিতাম। রান্নাঘরে ঘনঘন
যাওয়া কারণ হিসেবে মা ধরে নিয়েছিল- আমি তাঁকে খুব ভালোবাসি। আসল কারণটা মা আজও
জানতে পারেনি। মাকে বলা হয়নি, আমি ভালোবাসতাম ভিকুর মাকে,
তার মাংসল বুকে মাথা রেখে ঘুমাতে আমার ভালো লাগতো, ভালোবাসতাম কলপাড়ের পেয়ারা গাছটিকে, গাছটির
পেয়ারা আমার ভালো লাগতো, তারপর আরেকটু যখন বড় হলাম তখন
ভালোবাসতাম নীলুকে, নীলুর উদোম শরীর আমার ভালো লাগতো,
এমনি করে বছরে বছরে আমার ভালোলাগা পাল্টেছে, বদলেছে ভালোবাসা- মাকে বলা হয়নি কিছুই।
আমার
সিগারেট থেকে একক-আলো উড়ে গিয়ে গাছটির ডালে বসে- জ্বলে আর নেভে।
ঘুম
ভেঙ্গে যায় কড়া নাড়ার শব্দে। জোনাকি পোকাটির দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে
পড়েছিলাম। উঠে দাঁড়ালাম। মিতু ওর মায়ের বুকে মাথা রেখে ঘুমুচ্ছে। আবার চেয়ারটিতে
এসে বসলাম। আচ্ছা, মিতুর কি আমাদের ছোটবেলার কথা মনে আছে? আরও একবার কড়া নাড়ার শব্দ।
___________________
No comments:
Post a Comment