20 September 2017

অরুণিমা মন্ডল দাস





বৃষ্টি তুমি সংসারী হও         
বৃষ্টি তুমি সংসারী হও-
শ্রাবনের পেখমে রঙিন দেহ মেলে ধরো না
আলোর ছটায় পাগল হয়ে যাই
যৌবনের  জোনাকি পোকাগুলো উপচে পড়ছে আকাশ থেকে
ব্যথাগুলো রঞ্জনদাদার বিরহের ছেঁড়া অবহেলিত চিঠি-
ফুলে উঠা দুধের সর বিদগ্ধ যন্ত্রণায় মানুষ হতে চাইছে
গাভীর বোঁটা থেকে পাওয়া এক কৃত্রিম আ্যলিয়ান
বৃষ্টি তুমি সংসারী হও
গুছিয়ে থাকা তাকেই সারাক্ষণ কান্না করো
পুরুষের সোকেশে সেজে থাকো
বিছানার বালিশের ইস্ত্রির উত্তাপে-
ফিরে যাওয়া বরষাকে জড়িয়ে ধরো না,
সাদা সাদা আনন্দগুলোকে গিলে ফেলো না
উঠোন বেয়ে যাওয়া প্রেমের রসে ডুবতে যেও না
পিচ্ছিল  ঘৃণাতে আটকে থেকে যাবে।
বৃষ্টি তুমি সংসারী হও, বিবাহিত মাটির পুতুল হও
রাধিকার কলঙ্ক হও না।
অঙ্গে অঙ্গে পিপাসাই রেখো-
অতৃপ্ত আধাভেজা ক্ষুধার্ত  স্মৃতার্ত কাক হয়ে থেকো না।
              


কবিতায় শারদীয়া
১.
সোনালী রঙের মাটির দূর্গা দুলছে
খবরের কাগজে মিডিয়ায় কর্পোরেট সেক্টর থেকে সব জায়গায়
      দেবীর কাপড়ে দামী ডিজাইন
           হাত পা মুখ চোখ খসে পড়ছে বিজ্ঞাপনের চাপে
                     গোটা গোটা লাভ
                     রাত দিন কাজ-
মার্কেটিংয়ের বাজারে সেরা হওয়া চাই।
মাটির ঠাকুরের মাটিগুলো , কণাগুলো সচেতন সৎ নিউক্লিয়াস খুঁজছে 
গ্রামের মাটির ভিজে ভাব শক্ত পাষাণে পরিণত হচ্ছে।
       

২.
কবিতা  হেঁটে চলেছে। দূরে অনেক দূরে। ফুলগুলো আর ফুটছে না 
শরতের দরজা আস্তে আস্তে খুলছে-
ভিতরে রাজকীয় প্রসাদ, মা আসছেন, প্রচারে-গরীবের ছেঁড়া জামায়,
ধর্মঘট রাজনীতি ব্যবসায়ী সিস্টেমে মনে হাসি নেই।
চারিদিকে শকুনে ভরে গেছে 
                   গরু দুর্লভ প্রায় 
                             কষ্টগুলো মুদির দোকানে বসে থাকা দোকানদার
                                      রানাদাদা’র বইগুলোতে ও কোনো চিঠি নেই
                                      পূজোতে তাড়া নেই 
                                 প্রেমিকার জন্য সিনেমাও-
কালো মেঘের বৃষ্টি নিদারুন বিশ্বাসঘাতক প্রেম দিয়ে শরীর নিয়ে খোলসে আবার মুক্তো পরানোর প্রতিশ্রুতি নেই।
জল জল জল
ঠান্ডাতেও বাঁচি না আবার গরমে জল ছাড়া।





No comments:

Post a Comment