08 October 2016

সেলিম রেজা




দহন তৃষ্ণায় তৃষ্ণিত প্রাণ
ওয়েটিং লবিতে আছো বসে সাথে ব্যাগ এন্ড ব্যাগেজ
দহন তৃষ্ণায় পারোনি ঘুমাতে বিলাসবহুল হোটেলে
এপাশ ওপাশ করেই কাটালে নির্ঘুম সারাটা রাত;
নির্জন স্ট্রীটে হাঁটছি নিজের কাছে নিজেই অচেনা
ভাবনার আকাশে মেঘ হলদে সব ফুলগুলো আধমরা
ভাবলেশহীন এতটা পথ হেঁটে হেঁটে পেরিয়ে যেন
তৃষ্ণার্ত পাঁপড়ির খুঁজে বনমালিও আজ শূন্য ছায়ায়
ঝিলের ঠিক কাছাকাছি আদিগন্ত মাঠে সবুজ স্নান
মনোমন্থনে সুন্দরের পূজারী ফিরে তাকায় রূপসান্নিধ্য
ভালোবাসার নিকানো উঠোনে লজ্জাবতী ঘোমটা টানে
খরস্রোতা নদীর মোহনায় জোয়ার ভাটার সন্ধিক্ষণে
 তৃষ্ণা জাগায় কামকেলি উত্তাপে পুড়ে হাত-স্বপ্ন-সাধ
কেন বুঝো না! দহন তৃষ্ণায় আমিও যে পারিনি ঘুমাতে... 





পুড়ে যাওয়া ক্ষত, মুছে যাওয়া দাগ
ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুষে নাও অমৃত
নির্ভরতার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমাও
হাতে হাত রেখে পাড়ি দাও সুউচ্চ চূড়া
ষোল আর ষাটে কী আসে যায়!
ইচ্ছে হলেই সাঁতার সাঁতার খেলায় মত্ত
আকাশ ছোঁয়ার অদম্য বাসনায় জাগো
বয়সে কী আসে যায় এমন
যুদ্ধ মাঠে পরাজয় মানতে কে রাজী !
অনভ্যস্ত বালির পথে ফেলে যাওয়া
স্বপ্ন ঘুড়ির নাটাই
চৌরঙ্গি মাঠে প্রেমিকযুগল চুমু খায়
ছুঁয়ে দেয় চিবুক
খোলা রাস্তার গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে টিনেজ সময়
রোদে ভিজে পান করে ওয়াটার ম
দীর্ঘ পথ হেঁটে হেঁটে পুষ্টিহীনতায় ভোগে চোখ
আয়না জলে দেখে নিষ্পাপ মুখ
ঢের আছে দেখা ঝরাপাতায় আগুন
পুড়ে যাওয়া ক্ষত, মুছে যাওয়া দাগ;
বেঁচে থাকার দীর্ঘ আয়ু ফিরে পায় স্বপ্ন বালক
নুব্জ্য সময় বয়সের ভারেও উড়ে কপোতীর পালক...



No comments:

Post a Comment