লক্ষ্মীটেরা
বংশে মেয়ে নেই বলে বিন্দুবাসিনীর আপেক্ষের শেষ নেই। ছোট বেটার বউ বিজয়ার কোল জুড়ে ফুটফুটে জমজ মেয়ে জন্ম নেওয়ায় বিন্দুবাসিনীর আনন্দের সীমা নেই! সে নিজে দুই নাতনি নাম রাখে সরমা ও পরমা। দুই নাতনিকে নিয়ে তার আনন্দে দিন কাটে। দুজনের মুখে ভাত দেবার পর দিনে পর দিন, মাসের পর মাস কাটে। এক একটা বছর ঘুরে আর একটা বছর আসে। সরমা ও পরমা বড় হয়ে উঠে। দুজনের চোখ আর গালের দিকে ভাল ভাবে তাকালেই দুজনের চেহারার পার্থক্য বোঝা যায়। সরমা ও পরমা ঢাকার নাম করা কলেজে একই ক্লাসে পড়ে। বিন্দুবাসিনী ভাবে, আমার নাতনি দুটোকে সিনেমার নায়িকা মতো দেখতে হচ্ছে দিন দিন।
সে সরমা ও পরমাকে সুধোয়, তোরা তো জানিস রমা আমাদের পাবনার মেয়ে। রমার মতো তোরা কি সিনেমার নায়িকা হবি? 'দিদিমার কথা শুনে পরমা খিলখিল করে হেসে উঠে বলে,' তুমি কি আমাদের মাঝে পাবনার রমাকে দেখতে পাও! সুরমা কোন কথা না বলে মিটমিট করে হাসে। সরমা পরমার চেয়ে চার ঘন্টার বড়। পরমা তাই সরমাকে দিদি বলে ডাকে। পরমা বলে উঠে, 'কথা বলার সময় দিদির গালে কিন্তু টোল পড়ে। দিদুন ,তুমি তো বল , গালে টোল পড়লে সে নাকি স্বামী সোহাগিনী হয়। অচ্ছা দিদুন, যে মেয়ে লক্ষ্মী টেরা তার স্বামী কেমন হয়? 'আসলে পরমা লক্ষ্মী টেরা। একবার তাকিয়ে বোঝা যায় না।
পরমা কথার জবাবে বিন্দুবাসিনী বলে, 'তোকে কী আর বলবো লক্ষ্মী টেরা মেয়েরা স্বামীর ভালবাসা পার সারা জীবন। আমাকে দেখেও বুঝিস্ না! জোয়ান বয়সে আমার গালে টোল পড়ত ।তোদের দাদুতো আমাকে... 'কথা শেষ করার আগেই পরমা বলে, 'তুমি তো বল লক্ষ্মী টেরা মেয়েরা নাকি ছেলেদের প্রেমে পড়ে ।আমি প্রমাণ করে দেব তোমার কথা মিথ্যে।''আমি লক্ষ্মী টেরা বলেই তোর দাদু আমার প্রেমে পড়েছিল । 'দিদিমা জবাবে বলে দিদিমার কথা শুনে পরমা ভাবে, সুশোভনকে এর পর থেকে আর পাত্তা দেওয়া ঠিক হবে না । আমি লক্ষ্মী টেরা বলেই তাহলে আমার পেছন পেছন ঘুর ঘুর করে ও ! -
No comments:
Post a Comment